একটা সাধারণ ধারণা ছিল যে, পরপর ২ বার বিএনপি যদি ক্ষমতায় যেতে না পারে, বিএনপি টিকবে না; এখন সেটা প্রমাণের সময় এসেছে; এবং অবস্হা দেখে মনে হচ্ছে, ধারণাটা ভুল নয়। বিএনপি'র বিলুপ্তির শুরু হয়নি এখনো, তবে মনে হয় সেদিকে এগুচ্ছে; কারণ, বিএনপি'র নেতারা পার্টির প্রতি খেয়াল না দিয়ে ক্ষমতা ধরার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে: তাদের কথাবার্তায় মনে হচ্ছে যে, ক্ষমতা তাদের আজকেই দরকার; আজকে ক্ষমতা নেয়ার যেসব পথ এক সময় ছিল, সেসব পথ এখন খুব একটা সোজা নয়; মিলিটারীর সাহায্য নিয়ে(১৯৭৫ সালের মতো), বা গণ বিপ্লব করে(এরশাদের পতনের ন্যায়) ক্ষমতায় যাবার ক্ষমতা বিএনপি'র নেই।
আর্মি ক্ষমতায় যেতে চেয়েছিল এক সময়, এখন সেই সময় নেই: ভারত ও আমেরিকা থেকে বিরোধিতা করা হবে; হাসিনা সরকারের পতনের জন্য যে পরিমাণ সংগঠনের দরকার তা বিএনপি'র নেই; শুধু একটা আশা, হাসিনার অপশাসনের ফলে যদি মানুষ ফেটে পড়ে! সেটার সম্ভাবনা আপাতত নেই; তবে, সে ধরণের কিছু ঘটতে সময়ের দরকার হয় না; তবে, সেই ধরণের কিচু ঘটলে, এবার খালেদাকে ক্ষমটায় যেতে দেবা না সাধরণ মানুষ।
শেখ হাসিনা প্রশাসনে আওয়ামী লীগ পন্হিদের নিয়ে আসার চেস্টা করছে টিকে থাকার জন্য; কিন্তু এটা হাসিনাকে যে বিরাট সুবিধা দেবে তা নয়; কারণ, যারা প্রশাসনে আসছে, তারা মোটামুটি দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছে; দুর্নীতিবাজেরা ২ পয়সায় বিক্রি হয়ে যায়; ফলে, হাসিনার বুদ্ধি কাজ করার সম্ভাবনা কম।
হাসিনা বিএনপি'র বিরুদ্ধে সঠিক কোন পদক্ষেপও নিচ্ছে না, যা বিএনপি'র নেতাদের চাপের মুখে রাখতো; ২০১৩ সালে খালেদা-জামাত-শিবিরের আক্রমণে জাতি ১১০ বিলিয়ন ডলারের হারায়: ৩০০ মানুষকে আগুনে পোড়ানো হয়েছে, ১০৯ জন পুলিশকে হত্যা করা হয়েছে; এগুলোর জন্য খালেদাকে কোর্টে নিলে, বিএনপি'র অন্য নেতারা উৎসাহ হারিয়ে ফেলে অনেকে বিদেশ চলে যাবে। খালেদা ও তারেকের বিরু্দ্ধে ব্যবস্হা না নেয়া হাসিনার বড় ভুল হবে; ২০১৩ সালের ক্ষতিপুরণ চেয়ে ফখরুল, রিজভী, খোকা, আববাস, গয়েস্বর, হান্নান শাহসহ প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আলাদাভাবে ব্যবস্হা নিয়ে দেখতে পারে হাসিন এতে বিএনপি'র পতন শুরু হতে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জুন, ২০১৪ রাত ৯:২৯