ফুটবলে বিশ্ব কাপের সময় বাংলাদেশের মানুষের আগ্রহ দেখে মনে হয় যে, বাংলাদেশ খেলছে; বিদেশী খেলোয়াড়দের প্রতি সন্মান, বিদেশী দলের প্রতি সমর্থন দেখলে মনে হয়, বাংলাদেশের মানুষ কোনভাবে বৃটিশ বা ব্রাজিলের মানুষ থেকে খেলা কম উপভোগ করছে না; শুধু কাপে আমাদের নাম নেই, আমরা খেলতে পারছি না।
৪ বছরের প্রস্তুতি নিয়ে খেলা সম্ভব, ৪ বছরে ১০০ জন খেলোয়াড়কে প্রশিক্ষণ দিয়ে বিশ্ব মানের একটা টিম গড়া সম্ভব।
আমাদের জাতি বিশৃখংখলার মাঝ দিয়ে যাচ্ছে, যার ফলে, খেলাধুলায় সঠিকভাবে মনযোগ দিতে পারছে না। ফুটবল খেলা সাধারণত: কিশোর বয়স থেকে শুরু হয়; কিন্তু বাংলাদেশের কিশোরদের প্রতি নজর দেয়ার মত কোন সংগঠন নেই; কিন্তু গড়ে তোলা সম্ভব। এখন প্রায় কিশোরেই স্কুলে আছে, তাদের মাঝে যারা খেলতে আগ্রহী ওদের জন্য ফুটবল খেলার ব্যবস্হা করা সম্ভব, সব খেলপয়াড়দের জন্য ট্রেইনার পাওয়া যাবে।
আপনারা এবার খেলা দেখুন, এবারের টিম সম্পর্কে জানুন, বিখ্যাত খেলোয়াড়দের সাফল্যের কারণ ও প্যাটার্ণ বুঝার চেস্টা করুন, দেখবেন, আমাদের জাতিও ফুটবল খেলার পজিশনে যেতে পারবে।
এবারের খেলার শেষে, বাংগালীদের উৎসাহ উদ্দীপনা বুঝা যাবে; যারা ফুটবল ভালোবাসেন, তাদের ইচ্ছা থাকলে বাংলাদেশে বিশ্বমানের খেলয়াড় তৈরি করা সম্ভব হবে; দরকার হবে অর্গেনাইজেশন, ট্রেনিং এর ব্যবস্হা, ও ঐকান্তিক প্রচেস্টা। সবাই ভাবুন, ও তৈরি হোন, আমরা ২০১৮ সালে খেলবো।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:৩০