এরা রোহিঙ্গা, এরা জঙ্গী! এদেরকে দেশে ঢুকতে দেয়া যাবেনা। এরা আমাদের টাকাপয়সা খরচ করবে।এরা বার্মিজ মেয়েকে রেপ করেছিল..............
বেশিদিন হয় নি, ভিকারুননিসার 'প' আদ্যক্ষরযুক্ত নামধারী এক শিক্ষক ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত হয়। তার সাথে অভিযুক্ত হয় তার সমাজের আরও ছয়জন শিক্ষক নামধারী পশু। পাশের দেশ হলে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সংখ্যালঘু মুসলমানদের কমসেকম ৫০০০ লাশ পড়ত।
এই বিশেষ শ্রেণীর লোকজন এইদেশে বাড়ি বানায় না। এইদেশে টাকা খরচ করতে তাদের নিচু শ্রেণীর মনমানসিকতা সায় দেয় না। তারা পাশের উক্ত দেশে এই দেশের টাকা নিয়ে জমানোর স্বপ্ন দেখে। তাদের জন্য রোহিঙ্গাদের চাইতেও বেশি টাকা এদেশ থেকে কলকাতার ভাগাড়ে গিয়ে জমা হচ্ছে।
তারা এদেশের সুনাম করতেও তৎপর। তারা তৈরী করতে সমর্থ হয়েছে তসলিমার মত একজন মন্দিরগণিকাকে। প্রশাসন পুলিশ থেকে শুরু করে সর্বত্র তাদের অবাধ বিচরণ! বহির্বিশ্বে এইদেশকে যতটুকু অপমানিত হতে হয় তার প্রায় পুরোটাই তাদের দালালদের অপপ্রচারের কারণে। যা অন্তত রোহিঙ্গাদের তুলনায় অনেক কম।
২০০১ সালে একজন পূর্ণিমা রাণী শীলের কাহিনীর জের ধরে তারা বলল, দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হচ্ছে। এখন এ প্রসঙ্গে স্টালিনের একটি কথা বলতে হয়, একজন মানুষের মৃত্যু ট্রাজেডি, আর লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু কেবলই পরিসংখ্যান।
ট্রাজেডিকে দাঙ্গা বলে না। দাঙ্গা হলো পরিসংখ্যান। এদেশে ট্রাজেডিকে টেনেটুনে দাঙ্গা নামে চালিয়ে দেয়া যায়।
এইদেশে যেসব মেয়েরা তাদের সম্ভ্রম হারায় তাদের অধিকাংশই মুসলমান। যারা জায়গা জমি হারায় তাদের অধিকাংশই মুসলমান। কিন্তু তাদের কাহিনী কখনো ট্রাজেডি হয় না। যদি দূর্ঘটনাক্রমে কখনো দাদাদের কোন এদেশীয় টাকা সাপ্লাইয়ারের জমিজিরাত দখলের আওতায় পড়ে, তখন সেটা হয় ট্রাজেডি।
এসব মেকি ট্রাজেডি দেখতে দেখতে আমরা ক্লান্ত। এখন আমরা সত্যি সত্যিই পরিসংখ্যান দেখতে চাই। রাখাল তো বারংবার বলত, বাঘ আসল বাঘ আসল! সত্যিই একদিন বাঘ এসেছিল। আমাদের দেশে(এবং ব্লগে তো অবশ্যই) এসব মিথ্যাবাদী রাখালদের বাঘ কবে আসবে?
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুন, ২০১২ রাত ৯:৩৫