এক দিন দুদিনের কথা নয়, হাজার হাজার বছরের অতীত ইতিহাসে তাকালে দেখি দূর দূরান্ত হতে ছুটে ছুটে এসেছে দূর দূরান্তের মানুষ আর দূর দূরান্তের সব সভ্যতার কাষ্ঠে বানানো ছড়ি ঘুরিয়েছে আমাদের পূর্ব পূর্ব পূর্ব সব পুরুষের ( নারী সহ) উপর। ভিনদেশিদের দ্বারা শাসিত হবার সহজাত এক অভ্যাস- অতীত ঐতিহ্য। সেই ঐতিহ্যের ধারাবহিক রক্ত এবং জিনগত গঠন ক্রমান্বয়ে অবশ্যই এসেছে আজকের আমাদের মাঝে। হারিয়ে যায়নি।
আমরা সবাই আপন জাতির মাঝে তাই খুঁজে না পাই একজন প্রকৃত শাসক । খুঁজে পাইনা একজন মানুষ যে আমাদের তত্বাবধায়ন করবে অন্তত মাত্র তিনটি মাস।
আচ্ছা আমরা তো ছোট বড় প্রোজেক্ট বাস্তবায়ন করতে ভাড়া করে নিয়ে আসি বিদেশি ব্যক্তিবর্গকে। বাংলাদেশে ব্যাংক এর বিশাল এক রুম ছেড়ে দিয়ে রাখি লাখ টাকার বেশী বেতনের একজন আইএম এফ এর পাঠানো কনসালটেন্ট এর নিকট। দেশের রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের জন্যে বিদেশি রাষ্ট্রদূতের বাসায় দাওয়াতের পায়তারা খুঁজি।
বিদেশ থেকে তিনমাসের জন্যে আমাদের তত্ত্বাবধায়নের জন্য কাউকে ভাড়া করে নিয়ে আসলে কেমন হয়! নেই যখন আমাদের কোন মুরদ তত্ত্বাবধায়ক হবার। তিসমাস কেন আরও বেশী দিনের জন্যে লিজ দিলেও কেমন হয়। হায় হায় এইটা কি বললাম? রাষ্ট্র বিরোধী টাইপ কথা নাকি? না বুইঝা বলেছি, ও কিছুনা। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পৃথিবীর কোন দেশে ই লাগেনা। আমাগো লাগে, আমরা সে মতে আইন পাল্টে ও নিয়েছি। ধার করা সরকারের কনসেপ্ট ও পৃথিবীর কোন দেশে নেই । আইনে একটু রদবদল করে নিলেই হবে, রদবদল তো আমরা করতেই জানি।
কি লজ্জা; গোটা বিশেক লাশ এর বিনিময়েও আমরা একজন তত্তাবধায়ক সরকারের প্রধন উপদেষ্টা খুঁজে পাইনা। একমাত্র এক প্রেসিডেন্ট তারে অতিরিক্ত হয়েই সে দায়িত্ব নিতে হয়। ১৪ কোটি মানুষের দেশে এত মানুষ , কিন্তু দ্বায়িত্ব অতিরিক্ত। কি আর করার যাগো আমরা দেশের বিচারের পতি মেনেছি সেই সব সাবেকেদের জামার ভেতর নাকি আওয়ামী বিএনপি ট্যাটু আঁকা। কি হবে আমাদের দেশের বিচারের। নব বিচারকরাও তো সেই পথের অনুসরণকারী। ভবিষ্যতে আরও কত লজ্জিত, বিব্রত, কুণ্ঠিত, অসুস্থতার ভান দেখব কে জানে।
পুরাতন কালে যখন সভ্যতা আসেনাই ( আমিও দেখি নাই) শুনেছি, পড়েছি মানুষ নামরে অসভ্যরা দলে দলে বাস করত। একদলে অন্য দলের কেউ চলে আসলে তার খবর ছিল। অ্যাটাক্ট করা হতো। হয়তো মারতে মারতে সে অসভ্য স্টাইলে তারা মেরও ফেলত। কিন্তু টিভিতে যাদের দেখি ওরা তো আমার মতই কাপড়চোপড় পড়া সভ্য জগতের বাসিন্দা বলেই মনে হয়। ওরাও সেই অসভ্যতার মত কেনো অন্যদলের লোককে পেটায়? প্রশ্ন থেকেই যায়। নিজের কাছে নিজেই উত্তর পাইনা, অন্যের কাছে কি পাব আর।
আলোচনার পর আলোচনা করেও যারা একটা ডিসিশন নিতে পারেনা সেই সব কিংকর্তব্যবিমূঢ় ইনডিসিশন এ ভোগা নির্বোাধদেরকে কি করে দেশের শাসন ভার দেয়ার জন্য মেনে নিতে পারি? পারিনা তো।
যারা একে অপরকে থ্রেট এর পর থ্রেট করে চলেছে প্রকাশ্যে জান মালের ক্ষতির তাদেরকে কি করে দেব আমাদের নিরাপত্তা রক্ষার দ্বায়িত্ব? দেব নাতো।
কিন্তু তারাই ছড়ি ঘুরাবে। আমরা চেয়ে চেয়ে দেখব। নিরপেক্ষ বললে আমাকে পাগল বলে উপহাস করা হবে। আমি পাগল হতে চাইনা কিন্তু উপহাসের পাত্র কিন্তু ঠিকই হবো।
শেষ একটি অনুযোগের কথা ঃ আমাদের দেশে অনেক অনেক সুশীল ব্যক্তি আছে। যাদের নিয়ে সুশিল সমাজ।
আমি বা আমার মত নির্বোধ গোবেচারা মানুষরা সব দর্শক দেশের চরম অরাজকাতার । সুশীল সমাজের সদস্যরাও তাই। তাইলেও আমিও সুশীল সমাজের নিষ্ক্রিয়তার মতই মানে আমিও সুশীল সমাজের তাইলে।যুত্তিবিদ্যা ফলালাম। যুক্তিবিদ্যায় সব কিছু সত্য হয়না।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


