somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এই মুহুর্তে বাংলাদেশের সবচেয়ে আলোচিত খবর রাঙামাটির পাহাড়ি-বাঙ্গালী সংঘর্ষ

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গত ১০ জানুয়ারী প্রধানমন্ত্রীর রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজ উদ্বোধনের বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ করে পাহাড়ী সন্ত্রাসীরা রাঙ্গামাটিসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে তান্ডবের সৃষ্টি করেছে। তার ধারাবাহিকতায় রবিবারে রাঙ্গামাটি শহরে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে বাঙ্গালীদের বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় । মার্ভেল আর কান্তার গুলিতে অনেকে আহত হয়ে হাসপাতালে কাতরাচ্ছে ।
মেডিকেল কলেজ স্থাপনের আপত্তি জানিয়েছে সন্তুলারমার পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি এবং তাদের সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ। পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত রাঙামাটিতে মেডিকেল কলেজ স্থাপন করতে দিবে না । চুক্তিতে কী অপর পার্বত্য চট্রগ্রামের আরেক সমিতি ইউপিডিএফ সমস্যার সমাধান হবে, যারা চুক্তি মানে না? এই ইউপিডিএফ এখন পুরো খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটির কেন্দ্রীয় অংশ ব্যতিত বেশিরভাগ অংশ ও বান্দরবানের বেশিরভাগ অংশ, এমনকি টেকনাফের অংশবিশেষ দখল করে আছে। এই ইউপিডিএফকে সামলাবে কে ? দুনিয়ার সবখানে মানুষ আন্দোলন করে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল স্থাপনের জন্য, সেগুলো স্থাপনের প্রতিবাদ করে আন্দোলন করছে এক নতুন ঘটনা ।
এই অঞ্চলগুলোয় পাহাড়ি ও বাঙালি জনগোষ্ঠির মাঝে বিরোধ প্রায় সময়ই রক্তক্ষয়ী হয়ে উঠে। এর বড় কারন হচ্ছে ভূমি বিরোধ। সঠিক পদ্ধতিতে ভূমি জরিপ করে পাহাড়ি জনগোষ্ঠির বংশ পরম্পরায় (১৮৬০ সাল থেকে তারা আছে) ভোগকৃত জমি তাঁদের নামে রেকর্ড করে নিয়মিত করা খুব একটা কঠিন কাজ না । এদের এই যোক্তিক দাবি সমর্থন যোগ্য । কিন্তু আমি যতদূর জানি, মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম চলছে রাঙ্গামাটি মেডিকেল হাসপাতালে। এখানে ভূমি বেদখল কোথায় হলো?
দেশের সার্থে পাহাড়ীদের কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ,কর্ণফুলি পেপারমিল মেনে নেওয়া উচিত । তাদের সাথে একসময় হয়তো অন্যায় হতো । সেটেলার ঢুকানো হতো । ঘর-বাড়ি পোড়ানো হতো কিন্তু আজকে বাঙ্গালীর ঘর-বাড়ি পোড়ানো হয়েছে কাল আবার হয়তো এই পাহাড়িদের ঘর-বাড়ি হয়তো পোড়ানো হবে । তার চেয়ে উচিত জিনিস টা বন্ধ করা । আর শিক্ষিত জাতি পারে নিজেদের উন্নত করতে । অবাক হচ্ছি আমাদের সুশীল সমাজ কেন এই জাতীয় ইস্যুতে চুপ । তারা কি সমাধান করতে পারছে না নাকি সদিচ্ছার অভাব !!!
একটি মেডিকেল কলেজ হচ্ছে, সেটার বিরোধীতা করা হচ্ছে কেন? সেখানের বেশিরভাগ আসন নিশ্চিত করা হয়েছে পাহাড়ীদের জন্য। এরপরও কেন বিরোধীতা? কারণ, সারাদেশে উপজাতি কোটা এত বেশি যে, তাদের এসব না পেলেও চলে। অপরদিকে দুইটা বাঙালি ছেলে পড়ার সুযোগ পাবে, তাতেই এই সমস্যা? বাংলাদেশের অনেক সমতল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক পাহাড়িরা পড়ছে কিন্তু বাঙ্গালীরা কখনো তাদের সাথে সংঘাতের পথ বেছে নেয় নি । আমার অনেক বন্ধু আছে যাদের সাথে আমিও যেমন তাদের কখনো উপজাতি নজরে দেখিনি তারাও আমাকে কখনো বাঙ্গালী এই নজরে দেখেনি মানুষ হিসেবেই মিশছে । তাহলে ঐ এলাকায় ৫০ জন ছাত্রের জন্য কি সমস্যা হবে !! যেখানে বলা হচ্ছে, প্রাথমিক শিক্ষা না থাকলে এসবের দরকার কী? প্রাথমিক শিক্ষা না পেয়ে দেশের একমাত্র ৮০% শিক্ষিত জনগোষ্ঠী কীভাবে তারা হলো, আমার মাথায় ধরে না
আসল ব্যাপারটা হলো পাহাড়ি জনগণের আস্থা অর্জনের চেয়ে, সন্তু লারমার আস্থা অর্জন হলো কিনা, তা নিয়েই বেশি উদ্বিগ্ন আমাদের নামধারী কিছু সুশীল । তারা ধরেই নিয়েছে, সন্তু লারমা পাহাড়ি জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেন। আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচন আয়োজন করলে যে অবস্থা দাঁড়াইছে সন্তু সাহেবের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। তিনি মানুষকে জিম্মি করে তার রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করেন, আর সুশীলেরা তার গঠনমূলক সমালোচনা না করে তেল দেন !!!!
এত বড় একটা ঘটনা অথচ বাংলাদেশের গণমাধ্যম গুলো এখন চুপ !!! কোন সংবাদ প্রচার করছে না তারা এই বিষয়ে কিন্তু প্রশ্নটা হচ্ছে কেন ?? রুবেল-হ্যাপীর পুটু মারামারি কি এখনো শেষ হয়নি !!
আর আমরা রাঙ্গামাটির এই ব্যাপারে কিছুই জানিনা !!
এমন বাংলাদেশ কি চেয়েছিলাম আমরা ?? !!!!!!!!!!!! :| :| :|
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তীব্র তাপদাহ চলছে : আমরা কি মানবিক হতে পেরেছি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৯

তীব্র তাপদাহ চলছে : আমরা কি মানবিক হতে পেরেছি ???



আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকির মুখে আছি,
আমাদেরও যার যার অবস্হান থেকে করণীয় ছিল অনেক ।
বলা হয়ে থাকে গাছ না কেটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্যবহারে বংশের পরিচয় নয় ব্যক্তিক পরিচয়।

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৫

১ম ধাপঃ

দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে কত মানুষের সাথে দেখা হয়। মানুষের প্রকৃত বৈশিষ্ট্য আসলেই লুকিয়ে রাখে। এভাবেই চলাফেরা করে। মানুষের আভিজাত্য বৈশিষ্ট্য তার বৈশিষ্ট্য। সময়ের সাথে সাথে কেউ কেউ সম্পূর্ণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×