সেবামূলক ও লাভজনক সরকারী প্রতিষ্ঠান অধুনালুপ্ত বিটিটিবি/টিএন্ডটি তথা বিটিসিএলকে ক্রমান্বয়ে ধ্বংস করে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নের ভিত্তিমূলে কুঠারাঘাত করার ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার উদাত্ত আহ্বান।
১) টিআইবি প্রতিবেদনে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান সমূহের তালিকায় বিটিটিবি’র নাম না থাকলেও দুদক কর্তৃক বিটিটিবি’র গত ৮ বছরের অত্যাবশ্যকীয় খরচকে ঢালাওভাবে অর্থ আত্মসাৎ হিসেবে অভিযোগ উত্থাপন করে মামলা দায়ের করা হচ্ছে । অধিকন্তু বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ বিষয়টি প্রচার করে কর্মকর্তা/কর্মচারীদেরকে সামাজিকভাবে হেয় ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তোলা হচ্ছে। ফলে কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।
২) দৈনন্দিন ও জরুরী রক্ষণাবেক্ষণ ছাড়া উচ্চ প্রযুক্তির এ টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখা সম্ভব নয়। এ কারণেই বিটিটিবি এবং তৎপূর্ববর্তী এ প্রতিষ্ঠানের সৃষ্টিকাল থেকে Post and Telegraph Manual, Initial Account Code অনুযায়ী এবং প্রচলিত সরকারী আর্থিক বিধি বিধান অনুসরণপূর্বক রক্ষণাবেক্ষণ এবং সরবরাহ ও সেবা খাতে ব্যয় নির্বাহ করা হয়েছে। অথচ সংশ্লিষ্ট বিধি-বিধান বিবেচনায় না নিয়ে বিটিটিবি’র সমস্ত রক্ষণাবেণ ও সরবরাহ-সেবা খাতের খরচকে দুদক কর্তৃক ব্যক্তিগতভাবে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হচ্ছে।
৩) উল্লেখ্য যে, ২০০০-০১ হতে ২০০৭-০৮ পর্যন্ত ৮(আট) অর্থবছরে বিটিটিবি প্রায় ১২,০০০ (বার হাজার) কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে।
৪) ১৯২৮ খ্রিঃ এর পর থেকে আজ পর্যন্ত বিটিটিবি ও তৎপূর্ববর্তী এ প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় ব্যয় প্রতি বছর সরকারের অডিট অধিদপ্তর, মন্ত্রণালয় ও পাবলিক একাউন্টস কমিটি কর্তৃক নিরীতি / মীমাংসিত / নিষ্পত্তিকৃত। প্রসঙ্গত বিটিটিবিতে দুদক পরিচালিত অনুসন্ধান ও তদন্তকাজে নিয়োজিত দলের দলনেতা যখন সরকারের অডিট অধিদপ্তর এর পক্ষে বিটিটিবিতে অডিট কাজে নিয়োজিত ছিলেন তখন তিনি তাঁর প্রতিবেদনে এরূপ অর্থ আত্মসাতের কোন অভিযোগ আনেন নাই। কিন্তু বর্তমানে একই কর্মকর্তা দুদকের দুর্নীতির অনুসন্ধান কাজের দলনেতা হিসাবে বিটিটিবিতে এসে একই ব্যয়কে ব্যক্তিগতভাবে আত্মসাৎ হিসাবে চিহ্নিত করেছেন যা স্ববিরোধী, উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক, কোন সিন্ডিকেটের স্বার্থ রাকারী এবং সরকারী লাভজনক প্রতিষ্ঠান বিটিসিএল (অধুনালুপ্ত বিটিটিবি) কে ধ্বংসের অশুভ চক্রান্ত।
এ অশুভ চক্রান্ত থেকে সরকারী লাভজনক প্রতিষ্ঠান বিটিসিএল কে রক্ষা করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল মহলকে
কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের উদাত্ত আহ্বান জানানো যাচ্ছে।
বিটিসিএল (সাবেক বিটিটিবি) এর সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:০৩