মনে করছিলাম সরকার তাড়াতাড়িই একটা আইন এনে কাদের মোল্লাসহ সকল যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের ব্যবস্থা করে জনগণের আকাঙ্খা পূরণ করবে। হ্যাঁ, করছে। কিন্তু এতো যদি দেরী হয়, তাহলে না জানি আরো কত লাশ দেখতে হবে রাজীব হায়দারের মতো!
ভাবতেই অবাক লাগে কতটা ভীতু হলে জামাতীরা/শিবিরেরা ব্লগার রাজীব হায়দারকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। আরে, ভয় তো তোরা প্রজন্মের ব্লগারদের করছিস না, জনগণের সামনে প্রমাণ করছিস তোরাই আসলে ভীতু বনে গেছিস। ভয় যদি নাই পেয়ে থাকিস, তাহলে কেন এমন সময়ে হত্যা করতে গেলি একজন নিরপরাধ ব্লগারকে? কি করেছে তিনি তোদের? তোদের আসল রূপ লোকের সামনে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে? কিন্তু তাই বলে তাকে খুন কেন? তোদেরকে কি এমন কাপুরুষের মতো খুন করেছে একটা ব্লগারও? বাপের বেটা যদি আসলেই হয়ে থাকিস, তাহলে ভীতুর মতো পিছন থেকে না মেরে সামনে এসে দাঁড়া। অস্ত্র দিয়ে মারতে তো আমার মতো নবীন ব্লগারও পারে। শুধু তোদের কাছে জিনিসটা আছে বলেই মারছিস। নির্দোষের থেকে যদি রক্ত নিতে পারিস, তাহলে তো সাহসও থাকা উচিত রক্ত দেবার। তাহলে কেন ডরাইয়া যাস আযম, নিজামী, সাঈদী, কাদের মোল্লার ফাঁসির জন্য?
আর সব কথায় ইসলাম, আল্লাহ ইত্যাদি আনিস কোন হিসাবে? ইসলামের রক্ষক কি তোরাই শুধু? নাকি মনে করিস তোফায়েল, নাসিম, হানিফ, ইনু, ড. কামাল, মেনন - এরা মুসলিম না? তোরাই শুধু মুসলিম? ওরা নামাজ-রোজা করে না? তোরাই শুধু ধর্মের বাহক? কেন রে, ধর্মটা কি তোদের বাপের কেনা? ইসলামে কোথায় বলেছে নিরপরাধ মানুষকে মারতে? কোথায় বলেছে অবলা নারীকে ধর্ষণ করতে? সেসব তো করেছিসই, এখন আবার সেটা অস্বীকারও করছিস। কেন, যদি প্রকৃত মুসলিমই হোস, তাহলে কেয়ামতের দিন আল্লাহ কি তোদের প্রশ্ন করবে না তোদের এসব কর্মগুলো নিয়ে? আরে, বয়স তো কম হলো না? স্বীকার করলে তো কমপক্ষে আল্লাহর হাতে শাস্তি কিছুটা হলেও লঘু হতো। এতো হাজার-লক্ষ মানুষের অভিশাপ শুনতে কত আর ভালো লাগে? আরে, আল্লাহরে তো একটু ভয় পা! তোদের জন্য যদি দোযখেও ঠাঁই হবে না বলি তাহলে কম বলা হবে। কোনো আল্লাহ-খোদা-ভগবান তোদের কেয়ামত বা পরকালে যে কী করবে তা ভাষায়ও না, কল্পনাও করা সম্ভব না আমাদের সাধারণ মানুষের।
তাই, চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি ... সাহস থাকলে পর্দার আড়ালে না থেকে সামনে এসে বাপের বেটা প্রমাণ কর। স্বীকার করে নে তোদের এতো বছরের অপকর্মের কথা। নইলে যেই আল্লাহ-খোদার দোহাই দিয়ে জনগণের সাথে ছলনা করছিস, একদিন সেই আল্লাহ-খোদাই তোদের ছাড়বে না। এখানে তো শুধু সর্বোচ্চ ফাঁসীই হবে ... এ আর এমন কী! সেই তাঁহার আদালতের বিচারে যেই সাজা হবে তা কল্পনাও করতে পারবি না। প্রজন্ম চত্বরের প্রতিবাদের ঝংকারে মুখর বাতাসে যেই ভয়কম্পন হয়, তাতেই যদি লুঙ্গী ভিজিয়ে দিস, তাহলে সেই দরবারে যে কী হবে ... ছ্যাঁ, ছ্যাঁ, ছ্যাঁ
মূলপোস্ট