somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

প্রদীপ হালদার
আমি জাতিস্মর। সপ্তমবার মানব জন্ম। অষ্টমবার মানব জন্ম নিয়ে আবার পৃথিবীর বুকে ফিরবো। সীতারাম নন্দী(১ম), কৃষ্ণকান্ত নন্দী(২য়),কাশিমবাজার রাজা কৃষ্ণনাথ রায়(৩য়),বিজয়কৃষ্ণদুলাল পাল(৪র্থ),হরিদাস মুখার্জী(৫ম),রমেশ সাহা(৬ষ্ঠ),প্রদীপ হালদার(৭ম)।

ভগবান শিব সাধনা

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


সূর্য সূর্য সূর্য
তুমি স্বয়ংসম্পূর্ণ ভগবান সূর্য।
প্রভাতবেলায় তোমাকে জোড়হস্তে করি প্রণাম
তুমি আমার ভগবান।
এই প্রভাতবেলায়
আমি প্রদীপ আলগা গায়
তোমার সাধনায়।
তুমি ভগবান সূর্য
তুমি তাপ শক্তির উৎস।
তোমার তাপ আমার সারাগায়
তুমি মহাবিশ্বের সূর্য তোমাকে প্রণাম জানাই।
ও সূর্য ও সূর্য
কালিম্পঙের আকাশে মেঘেদের লুকোচুরি বন্ধ।
ভিখারির লুকোচুরি নাই
ফুটপাতে বসে ভিখারি ভিক্ষা চায়।
যারা চলে রাজপথে
তারা লুকোচুরি খেলে।
ফুটপাতে লুকোচুরি নাই
যারা ভিখারি তাদেরই অবস্থান।
সূর্য সূর্য সূর্য
তুমি স্বয়ংসম্পূর্ণ ভগবান সূর্য।
ওরে ও বৃক্ষ
সূর্য ছাড়া তুই অসম্পূর্ণ।
যে বৃক্ষের মুখে কথা নাই
সেই বৃক্ষের কি করে হয় অহঙ্কার?
তুই বৃক্ষ সূর্যকে করিস অবহেলা
তাই স্বাক্ষর করা কাগজ ছাড়া
তুই বৃক্ষ সূর্যের তাপ উত্তাপ পাবি না।

সূর্যের আদালত
স্বয়ং সূর্য সম্রাট।
বৃক্ষ আসে সেথায়
সূর্যের তাপ উত্তাপ চায়।
মানুষের কল্যাণে
সূর্য তাপ উত্তাপ দেয় বৃক্ষকে।
বৃক্ষ প্রশ্ন করে আজ
কাগজ ছাড়া বৃক্ষকে নয় আর তাপ উত্তাপ।
কোন্‌ জাতের বৃক্ষ রে তুই থাকিস কালিম্পঙে
কত শত নাম রে তোর কে দিয়েছে তোকে?

শিশুকালে শিশুর মাথায় খেলনা গাড়ী
শিশুর মুখে দুধ সহ চামচ বাটি।
শিশুর ক্ষমতা নাই
একা একা দুধ খায়।
যতই থাকুক শিশুর দুইখানি হাত
দুধের বাটি ধরার ন্যূনতম ক্ষমতা তার নাই।
মা সাহায্য না করলে
শিশুর মুখে দুধ ওঠে না অতিসহজে।
শিশু খায় গড়াগড়ি
মাটি পেলে হয় কাঁদি।
শিশুর কাছে পোষাক মাটির কোন ভেদাভেদ নাই
হাত থেকেও চামচ ধরার কোন ক্ষমতা তার নাই।
যৌবনকালে প্রেম প্রীতি সুখকর ভালোবাসা
আঠার মতোন পরস্পরকে এক সাথে জড়িয়ে থাকা।
যৌবনে নারী পুরুষ সঙ্গী
পতি পত্নী স্বামী স্ত্রী
এক অঙ্গে মিলে মিশে থাকি।

দুই হাত পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে
ভালোবাসার বন্ধনে দুই হাত সাহায্য করে।
দুধের বাটি ধরতে আর কোন অসুবিধা নাই
চামচ ছাড়া বাটি ধরে দুধ খাওয়া যায়।
শিশুকালে ছিল দুইটি হাত তার
সামনে ছিল দুধ সহ বাটি ও চামচ।
খাওয়ার ক্ষমতা ছিল না তার
যতই থাকুক ছোট্ট দুটি হাত তার।
মায়ের হাত ছাড়া শিশুর দুধ খাওয়া সম্ভব নয়
যতই থাকুক মায়ের হাত, বাটি ছাড়া চামচ প্রয়োজন হয়।
যৌবনকালে শিশুর সেই দুটি হাত শক্তপোক্ত হয়
সামনে দুধ সহ বাটি থাকলেও চামচের প্রয়োজন নয়।
বাটি ধরে সেই মুখে দুধ খাওয়া যায়
চামচের প্রয়োজনীয়তা এখন আর নাই।
কারণ এখন অল্প দুধের প্রয়োজন নয়
এখন বেশী দুধের প্রয়োজন হয়।
শিশু অবস্থায় দুধ সহ চামচ বাটি
যৌবনকালে দুধ সহ গেলাস বাটি।
শিশু অবস্থায় চামচ বাটি সহ মায়ের হাত
যৌবনকালে বাটি সহ নিজের হাত
মায়ের হাত সম্পূর্ণ বাদ।
শিশুকালে মায়ের হাত
যৌবনকালে নিজের হাত।
বৃদ্ধকালে সেই হাত ছাড়াছাড়ি
কেউ ধরে না মুখে আর দুধের বাটি।
হাতের ব্যবহার যৌবনকালে
না শিশুকালে, না বৃদ্ধকালে।

বৃদ্ধকালে এই দুটি হাত আর কাউকে ধরে না
বৃদ্ধের আজ আর প্রয়োজন নাই দুধের বাটিটা।
যতই থাকুক বৃদ্ধের দুটি হাত
নাই প্রয়োজন তার দুধের বাটি ধরার।
দুধ বাটি ঘটি গেলাস যাই থাকুক
বৃদ্ধের কাজে আর নাই বা লাগুক।
শিশু অবস্থায় যে দুটি হাতের ক্ষমতা নাই
দুধের বাটি ও চামচ ধরার,
বৃদ্ধাবস্থায় সেই দুটি হাতের একই অবস্থা হয়
ধরার ক্ষমতা থাকলেও ধরার প্রয়োজন তত নয়।
ধরার প্রয়োজন হয় মাঝবয়সী অবস্থায়
যৌবনাবস্থায় দুধ সহ বাটি গেলাস ধরা যায়।
যৌবনে করতে হয় লড়াই
নিজের হাত নিজেকে ব্যবহার করতে হয়।
শিশু অবস্থায় যে দুই হাতের ব্যবহার নাই
বৃদ্ধাবস্থায় সেই দুই হাতের একই অবস্থা হয়।
শিশু অবস্থায় শিশুর হাত থেকেও যেন হাত নাই
যতই থাকুক মুখের সামনে দুধ সহ বাটি ও চামচ।
মা ছাড়া শিশু বড় অসহায়
শিশু অবস্থায় মা স্বয়ং ভগবান হয়।
মা না দুধ খাওয়ালে
কে খাওয়াবে দুধ শিশুকে?
যৌবনকালে চামচের প্রয়োজন নাই
যৌবনকালে সবার হাত সক্রিয় হয়।
বার্ধক্যে চামচ বাটির প্রয়োজন নাই
সবার হাত নিষ্ক্রিয় হয়।
তাহলে যৌবনে বার্ধক্যে ভগবানের প্রয়োজন নয়
একমাত্র শিশু অবস্থায় ভগবানের প্রয়োজন হয়।
কে ভগবান হয়
মা স্বয়ং ভগবান হয়।

সোনার চামচ নিয়ে জন্ম যার
সেই স্বয়ং রাজা কৃষ্ণনাথ রায়।
সোনার চামচ ফেলে দিয়ে কুড়িয়ে পাওয়া ঝিনুকে খায় দুধ
চামচের চেয়ে বেশী দামী নাকি মায়ের হাতের ঝিনুক বাটি দুধ।
চামচ ধরতে মায়ের হাত
ওরে ও শিশু যতই থাক তোর ওই দুহাত।
এই চামচ করে মা তোকে দুধ খাওয়ায়
যদি না থাকতো চামচ, কি করে খেতিস দুধ বল্‌তো আমায়?
এতো বুকের দুধ নয় যে তুই চুষবি
এতো গোরুর দুধ হয় কি করে তুই চুষবি?
তুই তো গোরুর বাছুর না
যে বাছুরের মতোন করে চুষবি গাভীর বোঁটাটা?
বাছুর খায় তার মায়ের দুধ
গাভীর দুধে বাছুরের সর্বসুখ।
ওরে ও শিশু তুই যেমন করে খাস মায়ের বুকের দুধ
বাছুরও ঠিক তেমন করে খায় গাভীর বুকের দুধ।
যার দুধ তার ভালো
মা স্বয়ং ভগবান হলো।
মায়ের দুধ শিশু খায়
মা স্বয়ং ভগবান হয়।
শিশু একটু বড় হয়
মা নিজের বুক ছেড়ে গাভীর বুক ধরায়।
গাভীর দুধে শিশু বড় হয়
তখন চামচের প্রয়োজন হয়।
নিজের বুকের দুধে চামচ নাই
গাভীর বুকের দুধে চামচ ধরতে হয়।
শুধু একটা চামচ হলেও হয় না
গাভীর দুধ ফুটিয়ে গরম করতে হয়, নইলে ও দুধ খাওয়ানো যায় না।
গরম দুধে ছোট্ট চামচ
সেই চামচ ধরতে মা স্বয়ং ভগবান উপস্থিত।

গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধান উপপ্রধান
জাতের কাগজ লিখতে তারাই চামচ এখন।
শিশু চায় জাতের কাগজ
যতই থাকুক দুই হাত তার।
ওই হাতে নাই ক্ষমতা তার
তার প্রয়োজন একটা চামচ।
চামচ ছাড়া কে খাওয়াবে দুধ
যতই থাকুক হাত, চামচ ছাড়া নয়কো দুধ।
দুধের চামচ ধরতে মা স্বয়ং ভগবান
জাতের চামচ ধরতে স্বয়ং প্রধান উপপ্রধান।

মায়ের প্রয়োজনীয়তা কখন হয়
বল্‌ ওরে বৃক্ষ আমায়?
শিশু অবস্থায়
মায়ের প্রয়োজন সর্বাধিক হয়।
মা ছাড়া
শিশু চলতে পারে না।
শিশুর মলমূত্র পরিষ্কার করা থেকে দুধ খাওয়ানো
সবই মায়ের কাজ হইলো।
শিশু অবস্থায়
শিশুর মা স্বয়ং ভগবান।
ওরে ও শিশু তুই তোর ভগবানকে কি দিয়েছিস বল্‌ আমায়
মাকে বাদ দিয়ে তোরা কোন্‌ ভগবান খুঁজছিস বল্‌ আমায়?
তোকে তো জন্ম দিলো মা
মায়ের গর্ভ থেকে তোর জন্ম হলো কিনা।
এবার তুই প্রশ্ন করতে পারিস তোর পিতা কে
তুই শিশু জানবি কোত্থেকে?
একমাত্র তোর ভগবান স্বয়ং মা বলবে
তোর পিতা আসলে কে?
সেই মাকে ছেড়ে
কে কত পণ্ডিত হয়েছিস বল্‌ তোরা আমাকে?
ওরে ওরে ও বৃক্ষ শোন্‌ আমার কথা
মা হলো ভগবান, মা হলো ভগবান, মা ছাড়া কেউ ভগবান না।
মা খাওয়ায় তার বুকের দুধ
আমি খুঁজি সেই দুধে সর্বসুখ।
মায়ের বুকের দুধ ফোটাতে হয় না
মায়ের বুকের দুধ খেতে চামচ লাগে না।

চামচ লাগে যখন হয় গোরুর দুধ
মায়ের দুধ খেতে লাগে শুধু মুখ।
মুখ থাকলে মায়ের দুধ
চামচ হলে গোরুর দুধ।
মুখে মায়ের দুধ
চামচে গোরুর দুধ।
আগে মা, পরে গাভী
আগে মুখ, পরে চামচ বাটি।
প্রথমে মুখ
খাই মায়ের বুকের দুধ।
পরে চামচ বাটি
খাই গাভীর বুকের দুধটি।
মায়ের বুকের দুধে চামচ নাই
মা ভগবান সমান সম্মান।

শোন্‌ ওরে ও বাছুর
তোর মা গাভী দেয় দুধ।
তুই বাছুর
তুই চুষিস গাভীর দুধ।
তারপর একদিন হবি বলদ
টানবি জমির লাঙল।
তোর মলে তৈরী হবে ঘুঁটে মশাল
তারপর বধ করে খাবে তোর শরীর।
গাভীর দুধে পেট ভরবে সবার
জমিচাষে বলদজোড়া দরকার।
শোন্‌ বাছুর
আমি প্রদীপ খাই মায়ের দুধ।
শোন্‌ বাছুর
মায়ের দুধ খেলে আমি হবো মানুষ।
শোন্‌ ওরে বাছুর
মায়ের দুধ খেয়ে বেঁচে থাকা কঠিন যারা হয় মানুষ।
মায়ের বুকের দুধ খেয়ে বেঁচে থাকা যায়
শুধু বাঁচা নয় বরং প্রকৃত মানুষ হওয়া যায়।
কিন্তু এ পৃথিবী কঠিন প্রস্তর দিয়ে গঠিত হয়
সেই প্রস্তরে চলতে গেলে বারবার হোঁচট খেতে হয়।
মানুষ হয়ে সেই হোঁচট সহ্য করবো কি করে বল্‌তো ওহে বাছুর
তাই মা আমাকে তার বুকের দুধ ছেড়ে খাওয়ায় তোর গাভীর দুধ।
যাতে বাছুর
আমি হতে পারি তোর মতোন একজন অমানুষ।
বাছুর আর অমানুষ
এক কিনা বল্‌ ওরে বাছুর।
মায়ের বুকের দুধ খেলে হবো আমি মানুষ
কিন্তু গাভীর দুধ খেলে আমি হবো বাছুর তথা অমানুষ।
মা আমাকে গাভীর দুধ খাওয়ায়
ঝিনুক বাটিতে করে জোর করে খাওয়ায়।
যাতে আমি হতে পারি তোর মতোন বাছুর
নইলে এ পৃথিবীতে ঠাঁই নাই যদি হই মানুষ।
এ পৃথিবী মানুষের জন্য নয়
এ পৃথিবী বাছুরের জন্য হয়।
হাড়ভাঙা খাটুনি খাটা
মানুষের পক্ষে সম্ভব না।
যারা হয় অমানুষ তারাই পারে
জমিতে চাষবাস করতে।
মানুষের চামড়া গায়ে থাকলে
কোনদিনও চাষবাস করতে পারবো না জমিতে।
মানুষের চামড়া গায়ে থাকলে
কোনদিনও পারবো না রিক্সা চালাতে।
মানুষের চামড়া গায়ে থাকলে
কোনদিনও পারবো না পরের মোট বইতে।
মানুষের চামড়া গায়ে থাকলে
কোনদিনও পারবো না অভিনেতা অভিনেত্রী হতে।
মানুষের চামড়া গায়ে থাকলে
কোনদিনও পারবো না রাজনৈতিক দল তৈরী করতে।
মানুষের চামড়া গায়ে থাকলে
কোনদিনও পারবো না বড় বড় চোর ডাকাত হতে।
মানুষের চামড়া গায়ে থাকলে
কোনদিনও পারবো না মানুষ হয়ে বাঁচতে।
তাই মা চিরদিন খাওয়ায় না তার বুকের দুধ
মায়ের বুকের দুধ ছেড়ে ধরি গাভীর দুধ।
যাতে আমি মানব শিশু থেকে হই বাছুর
তাই তাড়াতাড়ি খাই আমি গাভীর দুধ।
বাছুর কেমন লাফায়
আমার শিশু কেন ঘুমায়?
ওরে ও শিশু আর ঘুমাস না
খা তুই গাভীর দুধ খা।
গাভীর দুধ খেয়ে বাছুরের মতোন করে ছুটে বেড়া
আর তুই পড়ে পড়ে ঘুমাস না, বাছুর হয়ে এখনই দৌড়া।
ওরে ও মানব শিশু তুই দৌড়াদৌড়ি কর
বুকের দুধ ছেড়ে গাভীর দুধ মুখে ধর।
মায়ের বুকের দুধ খেলে তুই শিশু হবি মানুষ
এই পৃথিবীর বুকে দাঁড়াতে গেলে তোকে হতে হবে অমানুষ।
তাই তুই আজ থেকে ওই মুখে ধর গাভীর দুধ
যাতে তুই হতে পারিস আমার ছোট্ট বাছুর।
ওরে ও বাছুর, ওরে ও বাছুর
তুই খাস তুই তোর মায়ের দুধ।
আমার বেলায় আজ নাই মায়ের দুধ
মা বলে মায়ের দুধে নাকি আমি মানুষ।
তাই মা আমাকে বানায় অমানুষ
আসলে মা আমাকে বানায় বাছুর।
তাই ও বাছুর
আমিও খাই তোর মতোন গাভীর দুধ।
আমাকে হতে হবে বাছুর
তাই আমি খাই গাভীর দুধ।
আমি মানব শিশু থেকে হতে পারি মানুষ
কিন্তু গাভীর দুধ খেয়ে আমি হতে পারি বাছুর।
আমি প্রদীপ নই মানুষ, আমি অমানুষ
আসলে আমি বাছুর।

শিশুর খেলনা গাড়ি
মুখে ধরে দুধসহ চামচ বাটি।
যৌবনে প্রেম প্রীতি
পতি পত্নী, স্বামী স্ত্রী।
বার্ধক্যে সব ছাই
সবাই মত্ত ভজনায়।
বার্ধক্যে সবাই খোঁজে ভগবান
কোথায় কার ভগবান?
শোন্‌ ওরে বৃদ্ধ বৃদ্ধা
ভগবান তোর পিতামাতা।
মহাবিশ্বের সব সন্তানেরা
আজ বল্‌ তোরা।
কে তোদের ভগবান হয়
কেন সে তোদের ভগবান হয়?
যে তোদের ভগবান হয়
কি করেছিস তার জন্যে বল্‌ তোরা আমায়?
সূর্য সাক্ষী
সাক্ষী লতাপাতা বৃক্ষ প্রজাপতি।
সাক্ষী পৃথিবীর মানুষ
সাক্ষী যেথায় যত অমানুষ।
আমার ভগবান
আমার মা ঊর্মিলা হালদার।
আমি আমার মায়ের জন্য কিছু করি নাই
মা ছেড়ে দিয়েছে বিশ্বের মাঝে আমায়।
মা আমার কাছে কিছুই চায় নাই
মা বলেছে বড় হয়ে খুঁজবি সত্য কোথায়?
সূর্য সূর্য সূর্য
তুমিই একমাত্র স্বয়ংসম্পূর্ণ।
শিশুর কাছে স্বয়ংসম্পূর্ণ একমাত্র তার মা
ঊর্মিলা হালদার আমার মা।

শিশু অবস্থায়
মা ভগবান হয়।
যার মা নাই
এ দুনিয়ায় তার কেউ নাই।
তোমরা খুঁজছো মায়ের চেহারা
তবে বানাবে তোমরা তাকে ভগবান কিনা।
নাকি খুঁজছো পোষাকপরিচ্ছদ
নইলে তোমার চলে যায় আত্মসম্মান।
পোষাকের যত মূল্য হয়
মানুষটার তত মূল্য নয়।
পোষাক না হলে নাকি জাত সম্মান সব চলে যায়
পোষাকই নাকি ধরে রাখে মানুষের আত্মসম্মান।
মায়ের আবার পোষাক কি রে
সব মায়েরই পোষাক আছে।
মমতাময়ী মা
একডাকে যে শোনে কথা
সেই তো সবার মা।
মা ছাড়া
কে বুঝবে শিশুসন্তানের কথা?
শোন্‌ তবে তোরা
আমার মায়ের কথা।
আমার মা ঊর্মিলা
পিতৃভক্ত ঊর্মিলা।
রসিকলাল রায়ের জ্যেষ্ঠা কন্যা
আমার মা ঊর্মিলা।
আমার মা ঊর্মিলা
লেখাপড়া জানে না।
না জানে অ আ
না জানে ক খ লেখাপড়া।
লিখতে পড়তে জানে না
আমার মহামূর্খ মা ঊর্মিলা।
যারা মূর্খ হয়
তাদের মনটা সাদাসিধা হয়।
সাদা মনে কাদা নাই
আমার মা ভগবান হয়।

ও সূর্য ও সূর্য
তুমি ভগবান সূর্য।
তোমার হাতে গড়া
সমগ্র বিশ্বজগৎটা।
তুমি সূর্য ছাড়া
বিশ্বজগতের অস্তিত্ব থাকে না।
মা ঊর্মিলা আমার ভগবান
মা ঊর্মিলা আমার সাধন ভজন।
ওরে প্রদীপ ওরে প্রদীপ
আমি তোর মা ঊর্মিলা হালদার।
রাজপ্রাসাদ ছেড়ে তুই এসেছিস আমার কুঁড়ে ঘরে
তুই রাজা কৃষ্ণনাথ তোকে রাখবো আমি কোন্‌খানে?
নাই আমার সোনার পালঙ্ক, নাই আমার দাসদাসী
তোকে এখন আমি কোথায় বল্‌তো রাখি?
তুই কত রাগী
তুই নিজের হাতে করেছিস আত্মহত্যা নাকি?
তোর মা ঊর্মিলা
লেখাপড়া জানে না।
তোর মতোন রাজাকে কি করে মানুষ করতে হয় আমার জানা নাই
ভুলত্রুটি হলে তুই বড় হয়ে এই মূর্খ মা ঊর্মিলাকে ক্ষমা করিস তাই।
ও রাজা ও রাজা কৃষ্ণনাথ
জোড়হস্তে তোর কাছে ক্ষমা ভিক্ষা চাই।
যত কঠিন পরীক্ষা দিতে বলিস দেবো আমি
তবুও ক্ষমা করিস যদি কিছু ভুলত্রুটি করে থাকি।
আমার ঘরে কিছু নাই
মাটির ঘরে রাখবো তোকে কোথায়?

দিন আনতে পান্তা ফুরায়
তোর ঠাকুরদাদা সুন্দরবন জঙ্গলে গিয়ে আর ফেরে নাই।
সবাই বলে বাঘের পেটে
আমি কোনদিন দেখি নি শ্বশুরমশাইকে।
তোর ঠাকুদাদা হরিপদ হালদার
তোর ঠাকুর মা ভাগ্যবতী হালদার।
আমি ঊর্মিলা হালদার
তোর পিতা নিমাই হালদার।
আমার পিতা রসিকলাল রায়
মনে রাখিস তুই আমায়।
এইটুকু আমার প্রার্থনা
তোর কাছে আমি কিছুই চাই না।
তুই, যে কাজে এসেছিস ধরাধামে
তোর সেই কাজ পূরণ হোক তোর জীবিতকালে।
চাই না বাবা আমার নাম
তুই আমাকে মনে রাখলে তাতেই আমার সুনাম।
মা মা
তুমি মা।
তুমি ভগবান
তোমার জন্যে সাধনা আমার।
তোমার প্রদীপ জ্বলবে
তোমার জন্যে।
তুমি মা তুমি ভগবান
সাক্ষী সূর্য সাক্ষী লতাপাতা বৃক্ষ বনের বাঘ ভালুক সবাই।
মায়ের প্রয়োজন সবসময়
মা ছাড়া এ সমগ্র জীবন সম্পূর্ণ নয়।

আমি রাজা কৃষ্ণনাথ রায়
ভগবান সূর্য সাধনায়।
কে সূর্য
তাকে সেই চেনে যে হয় বৃক্ষ।
বৃক্ষের কাছে সূর্যের মর্যাদা
প্রাণীরা সূর্যকে করে অমর্যাদা।
মানুষ বাদে সব প্রাণীরা সূর্যকে চায়
একমাত্র মানুষ যারা তারা সূর্যকে দেয় বাদ।
বল্‌ ওরে ও মানুষ কে তোদের ভগবান হয়
বল্‌ ওরে তোরা, সূর্য কেন ভগবান নয়?
সূর্য যদি ভগবান না হয়
কে তোদের ভগবান হয়?
ভগবান সেই হয়
যার কাছে চাইলে কিছু পাওয়া যায়।
সেই তো মা হয়
একমাত্র মা ভগবান হয়।
মা ছাড়া আর যা কিছু হয়
সবই অপদেবতা হয়।
বল্‌ মহাবিশ্বের সব সন্তান
মাতা ছাড়া তোদের জন্ম নয়।
কে কি করেছিস মায়ের জন্যে
বল্‌ তোরা সকলে?
আমার মাকে কেড়ে নিয়েছে ভ্রাতা
মরণকালে দেখতে পেলাম না মায়ের মুখখানা।
আমি তোদের সবার প্রদীপ, আমি সকলের প্রদীপ
মায়ের মরণকালে জ্বলতে পারলাম না আমি প্রদীপ।

আমার শিশুকালে যে মা
পরিত্যাগ করেছিলো সোমেন্দ্রর এক কোটি টাকা,
সেই ঊর্মিলা মা
আমার গর্ভধারিণী মা।
কাশিমবাজার বড় রাজবাড়ি পেলো না প্রদীপকে
মা ঊর্মিলা প্রদীপকে কিনে নিলো সম্মিলিতভাবে এক টাকাতে।
মা ঊর্মিলার প্রদীপ আমি
মা ঊর্মিলার জন্যে আমি প্রদীপ জ্বলছি।
মা ঊর্মিলা আমার মুখের প্রথম দুধ
মা ঊর্মিলা আমার জীবনের সর্বসুখ।
মা ঊর্মিলা আমার গোরুর দুধের চামচ বাটি
মা ঊর্মিলা আমার ক্ষুধার খাঁটি দুধ বৈকি।
মা ঊর্মিলা খাঁটি
বাকি সব ভেজালে ভর্তি।
মা ঊর্মিলার বুকের দুধ খেয়ে খুঁজে পাই রাজবাড়ি
পরে যা কিছু খেয়েছি সবই ভেজালে ভর্তি।
তাই রাজবাড়ি আর আসে না
মায়ের দুধ আমি আর পাই না।
তাহলে আমাকে শিশু হতে হয়
তাতে যদি মা ঊর্মিলার আশীর্বাদ পাই।
মা ঊর্মিলার আশীর্বাদ ছাড়া
কোন মহৎ কাজ পূরণ করা সম্ভব না।
মা ঊর্মিলার আশীর্বাদ সাথে
তার প্রদীপ জ্বলবে মহাবিশ্বে।
মায়ের প্রয়োজনীয়তা সবসময়
মনে রাখিস মহাবিশ্বের মানুষ সবাই।

যে সব সন্তানদের বৃদ্ধ পিতামাতা থাকে বৃদ্ধাশ্রমে
সেইসব সন্তানরা মহাবিশ্বের কুলাঙ্গার শুনে রাখ্‌ সকলে।
তোরা সন্তান বড় জ্ঞানের পণ্ডিত হয়ে
বৃদ্ধ পিতামাতাকে রাখিস বৃদ্ধাশ্রমে।
তোদের শিশু অবস্থায়
তোদের পিতামাতা তোদেরকে দাসদাসীদের কাছে রাখে নাই।
তোদের মতোন কুলাঙ্গার সন্তানকে
শিশুকালে রাখা উচিত ছিল দাসদাসীদের কাছে।
মায়ের পরিচয় দেহে নয়, শরীরে নয়
পোষাকে নয়, পাণ্ডিত্যে নয়।
মায়ের পরিচয়
মা আমার জন্মভূমি হয়।
মাতৃগর্ভ জন্মভূমি
কোনদিন কি দেখেছিস জন্মভূমির দ্বারটি?
যদি দেখে থাকিস জন্মভূমির দ্বার
বল্‌ না আমায় কি করে খুলতে হয় জন্মভূমির দ্বার?
ঢুকতে চাই জন্মভূমিতে
যে ভূমিতে জন্ম নিয়ে
বলতে পারিস কি তোরা আমাকে
সেই ভূমির ক্ষুধার্তে
কি করেছি আমরা এতকাল সকলে?
ক্ষুধা কি কেবল আমারই আছে
জন্মভূমির কি পারে না ক্ষুধা থাকতে?
কার পেটে ক্ষুধা নাই
সবার পেটে ক্ষুধা হয়।

মা আমার জন্মভূমি
কোনদিনও দেখতে পাবো না জন্মভূমির দ্বারটি।
মা আমার জন্মভূমি
মাকে রক্ষা করতে আমি প্রদীপ দুইবার জ্বলেছি।
আর একবার জ্বলার অপেক্ষায়
মা ঊর্মিলাকে দর্শন দিতে জ্বলবে স্বয়ং প্রদীপ হালদার।
সবাই কে কি করেছিস মায়ের জন্যে
দেখ একবার পেছনে ফিরে।
আমি আমার মা ঊর্মিলাকে রক্ষা করতে দুইবার জ্বলেছি
সেই আলো আমার মা ঊর্মিলা দেখতে পায় নি।
মায়ের দুই আঁখি ছিলো যে বন্ধ
মা তখন শিব সাধনায় ছিলো যে মগ্ন।

মা ঊর্মিলা আমার কাছে চায়
ও প্রদীপ, তোর কাছে চাই না আমি টাকা কড়ি বিষয় সম্পদ।
ও প্রদীপ, তোর কাছে চাই না
মায়া মমতা ভালোবাসা।
ও প্রদীপ, তোর কাছে চাই না
তোর জ্ঞানের পাণ্ডিত্যটা।
ও প্রদীপ, তোর কাছে চাই না
পেটের ক্ষুধার জন্যে ভাত মাছ মাংস শাকসবজিটা।
ও প্রদীপ, তোর কাছে চাই না
সোনা রূপা হীরা।
ও প্রদীপ, তোর কাছে চাই না কোন অলঙ্কার
ও প্রদীপ, তোর কাছে চাই না বিষয় সম্পত্তির পাহাড়।
ও প্রদীপ, তোর কাছে চাই না
মৃত স্বামীর জীবনটা।
ও প্রদীপ, তোর কাছে চাই না
মৃত শ্বশুর শাশুড়ির জীবনটা।
ও প্রদীপ, তোর কাছে চাই না
আমার মৃত পিতামাতার জীবনটা।
ও প্রদীপ, তোর কাছে চাই
যে আলো আমি দেখতে পাই নাই
সেই আলোর একবার দর্শন চাই।
ও প্রদীপ, তোর আলোর দর্শন চাই
এইটুকু প্রার্থনা তোর কাছে করি সবিনয় নিবেদন।
ও প্রদীপ, তোর আলো একবার দেখতে চাই
আমার মৃত্যুর পরে দেখা দিবি তাই দিস, সেই আলো দেখতে চাই।
জীবিত থাকতে দেখা দিবি না, আমার মরার পর দেখা দিবি তাই দিস
তাতে তোর মায়ের কোন আপত্তি নাই, ভূত অবস্থায় দেখা দিবি দিস।
ও প্রদীপ, একবার মানুষ করে দিস আমায়
যাতে মানুষ হয়ে দেখতে পাই তোর আলো একবার।
আমার প্রদীপ বলে
তাই হবে।
আমার প্রদীপ জ্বলবে
আমি প্রদীপের মা স্বয়ং ঊর্মিলা বলছি সকলকে।
প্রদীপ আমার জাতিস্মর
কাশিমবাজার বড় রাজবাড়ি তার।
সবাইকে করি সাবধান
প্রদীপ স্বয়ংসম্পূর্ণ অলৌকিক জাতিস্মর।
যে কোন মুহূর্তে প্রদীপ জ্বলে উঠতে পারে
সবাইকে সাবধান করে যাই এই কথা কয়টি বলে।
প্রদীপ স্বয়ংসম্পূর্ণ জাতিস্মর
কেউ প্রদীপকে প্রচারের আলোকে আনে নাই
তাই কারোর পক্ষে প্রদীপকে জানা সম্ভব হয় নাই।
প্রদীপের তলায় জমেছে আজ গাঢ় অন্ধকার
হঠাৎ প্রদীপ জ্বলে উঠলে দূর হয়ে যাবে সব অন্ধকার।
আগামী বর্ষে প্রদীপ জ্বলবে ভারতবর্ষে
মহাবিশ্ব যাবে রসাতলে।
সবাইকে করি সাবধান
আমি প্রদীপের মা স্বয়ং ঊর্মিলা হালদার।

সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪০
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

সম্পর্ক

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪২


আমারা সম্পর্কে বাঁচি সম্পর্কে জড়িয়ে জীবন কে সুখ বা দুঃখে বিলীন করি । সম্পর্ক আছে বলে জীবনে এত গল্প সৃষ্টি হয় । কিন্তু
কিছু সম্পর্কে আপনি থাকতে চাইলেও থাকতে পারবেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×