somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মা, তোর বদনখানি মলিন হলে

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজ মুহম্মদ জাফর ইকবাল রচিত ‘’ বদনখানি মলিন হলে’’ নামক একটি কলাম সংকলন পড়ছিলাম যার প্রথম কলামটি ছিল ‘মা, তোর বদনখানি মলিন হলে...’। এখানেই দেখলাম যে আমাদের স্কুলের বাংলাবইগুলোয় জাতীয় সঙ্গীতটি দুইভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রথমটি কবি গুরু যেভাবে লিখেছিলেন আর পরেরটি যে ভাবে গাওয়া হবে মানে কোন বাক্যটি দুইবার গাইতে হবে কোন বাক্যটি অর্ধেক গেয়ে আবার গোঁড়ায় শুরু করতে হবে সেই ভাবে। তার কারণ আমাদের দেশে স্বাধীনতার এতো বছর পরও আমরা জাতীয় সংগীতটি সবাই একভাবে গাই না। তাই শিশুকাল থেকে যদি এটা শেখানো হয় কয়েক বছর পরেই হয়তো সারা দেশে একভাবে গানটি গাওয়া হবে। তিনি সুরের জন্য ইউটিউবের সাহায্য নিতে বলেছেন কিন্তু সেখানে যেয়েই আমি বিপদে পড়ে গেলাম। আমি বইয়ের পাতাটি খুলে এক একটি ভার্সন শুনছি আর লক্ষ্য করছি একটিও বইয়ের বাণীর সাথে মিলছে না। এবং দুর্ভাগ্য একটার সাথে আর একটারও মিল নেই। সুর বাদ দিয়েই বলছি কারণ আমি সুরের তারতম্য বুঝিনা বাণীতেই দেখি বেশ পার্থক্য। কেউ আমের বনের ঘ্রাণে বলছেন কেউ শেষ করার আগে আবার চিরদিন তোমার আকাশ তোমার বাতাস সহ প্রথম অংশটি গাচ্ছেন। কিন্তু সৌভাগ্যের কথা বই অনুমোদিত রুপেও দুএকজন গেয়েছেন । এখন আমাদের কর্তব্য এই অনুমোদিত রূপটি সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়া। আর হ্যাঁ, আপনারা অনেকে এটাকে রবীন্দ্র সংগীত হিসেবে শুনতে পছন্দ করেন কেউ বা এটা নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে ভালোবাসেন, তাতে আমার কোন সমস্যা নেই। এটা আমাদের জাতীয় সংগীত হলেও এটা একটি রবীন্দ্রসগীত। তাই ভিন্ন ভাবে গাওয়া যাবে না এটা আমি মনে করি না। তবে সেই পরীক্ষার কারণে যদি আমরা সঠিক জাতীয় সংগীতটি ভুলে যায় বা কেউ সন্দিহান হয়ে পড়ে যে কোনটা আমাদের জাতীয় সংগীত তাহলে বেশ সমস্যা। হয়তো কোন অনুষ্ঠানে জাতীয় সংগীত গাইতে হবে যিনি প্রধান গায়ক তিনি একভাবে এক কথায় গাচ্ছেন তার সাথের জনই অন্য কথায় গাচ্ছেন। এই পরিস্থিতি আসলে আমাদের কারোরই কাম্য নয়। এই ইউটিউবে আপনি অনেক গুলো ভার্সন পাবেন যা বর্ণনা করা হয়েছে আমাদের জাতীয় সংগীত বলে কিন্তু টা জাতীয় সঙ্গীতের কথা অনুসরন করা হয়নি। এখন কেউ যদি কথিত এই রূপ গুলোকে জাতীয় সংগীত মনে করে টা অবশ্যই পরিতাপের বিষয় হয়ে উঠবে। আপনারা অনেকেই জানেন তারপরও পাঠ্য বইয়ের ওই পৃষ্ঠাটি আমি সংযুক্ত করে দিচ্ছি


এবার আসুন শুনি এই রূপটির সাথে মিলে যাওয়া গানটি।
View this link
আমি আরও কয়েকটা লিংক দিচ্ছি যারা একটু অন্যরকম করে গেয়েছেন
View this link
স্বাগতালক্ষী দাসের কণ্ঠে
এবার বহুল আলোচিত ‘ক্ষ’ ভার্সনView this link
জাগরণের গান
View this link
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৫ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×