somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দুধ লাল (গল্প)

০৯ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

এসএসসি পাশ করেই আমার বন্ধুদের সাথে গ্রাম থেকে শহরের কলেজে গিয়ে ভর্তি হয়েছি। কলেজে ভর্তি হওয়ার পর নোটিশ অনুযায়ী নির্দিষ্ট দিনে প্রথম ক্লাস করার জন্য কলেজে গিয়ে হাজির হলাম। দশটায় ক্লাস শুরু। আমার সাথের অন্যান্য বন্ধুদের সাথে আমিও শিক্ষক আসার আগেই ক্লাসে গিয়ে বেঞ্চে জায়গা দখল করে বসে আছি। আমার ডান পাশে আমার স্কুলজীবনের দুই সহপাঠী, বাম পাশে মাঝারী ধরনের চেহারের ফর্সা রঙের একজন অপরিচিত ছাত্র।

কলেজ জীবনের প্রথম ক্লাস। অতি আগ্রহ নিয়ে সবাই অপেক্ষা করছি স্যারের জন্য। কিছুক্ষণ পরেই বাংলা স্যার ছাত্র হাজিরা খাতাসহ ক্লাসে ঢুকলেন। গ্রাম্য স্কুলের স্বভাব অনুযায়ী বেশিরভাগ ছাত্রই উঠে দাঁড়ালাম। স্যার আমাদের হাত ইশারায় বসতে বললেন। সবাই স্যারের ইশারায় বসে গেলাম। স্যার তার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দিয়ে বললেন, আজ তোমাদের কলেজ জীবনের প্রথম ক্লাস। রোল নাম্বারের পাশাপাশি নাম ধরে ডাকব। পরবর্তী ক্লাস থেকে আর কখনও নাম ধরে রোল কল করা হবে না। তোমরা তোমাদের নামের পাশে রোল নাম্বার মনে রাখবে। বলেই রোল নাম্বারের পাশাপাশি সবার নাম ধরে ধরে রোল কল করা শুরু করলেন। প্রায় তিন শ’ ছাত্র। কলেজ জীবনের প্রথম ক্লাস হওয়ায় ক্লাসে ছাত্রের উপস্থিতি অনেক। বেঞ্চে জায়গা হচ্ছে না। পিছনে কিছু ছাত্র দাঁড়িয়ে আছে। এক শ’ সিরিয়ালের পরে আমাদের তিন বন্ধুর রোল এবং নাম কল করলে ইয়েস স্যার বলে জবাব দিয়ে বসে পড়ি। আরো কয়েক জন ছাত্রের নাম ডাকার পরে স্যার রোল নাম্বার বলার পরে ‘দুধ লাল, দুধ লাল’ বলেই থেমে গেলেন। আমি স্যারের মুখে ‘দুধ লাল’ শুনে হাসি চেপে রাখতে না পেরে হো হো করে হেসে উঠলাম। স্যার তৎক্ষনাত বলে উঠলেন, কে কে, হেসে উঠল কে?

আমি সাত আটটি বেঞ্চ পরেই বসা ছিলাম। আমার দিকে আঙ্গুল ইশারা করে বললেন, এই ছেলে দাঁড়াও। ক্লাসে অনেক ছাত্র থাকায় আমি ঠিক বুঝতে পারছিলাম না কাকে দাঁড়াতে বলছেন। আমি স্যারের দিকে তাকেতেই স্যার আঙুল তুলে বললেন, ইউ, ইউ। আমি বুকে হাত দিয়ে নিজেকে দেখিয়ে বললাম আমি কিনা? স্যার বললেন, ইয়েস, ইউ। আমি কিছু না বুঝেই অপরাধীর মত দাঁড়িয়ে গেলাম। স্যার কিছুটা বিরক্ত হয়েই বললেন, এই ছেলে, তুমি হাসলে কেন?

কলেজের প্রথম ক্লাস হওয়ায় আমার মধ্যে কিছুটা জড়তা কাজ করছিল। জড়তার মাঝেও সাহস নিয়ে বললাম, স্যার, সারা জীবন দেখে এসেছি দুধ সাদা, আজই প্রথম শুনলাম দুধ লাল।
একথা বলার সাথে সাথে পুরো ক্লাস জুড়ে সবাই হো হো করে হেসে উঠল। পুরো ক্লাসে হাসি দেখে স্যার জোরে শব্দ করে বলে উঠলেন, প্লিজ সাইলেন্ট।

সবাই থেমে গেলে স্যার বললেন, কারো নাম নিয়ে হাসাহাসি করা ঠিক নয়। সবাইর নাম তো এক হতে পারে না। বিভিন্ন জনের বিভিন্ন নাম হতেই পারে। তাই বলে কি তোমরা হাসাহাসি করবে? সবার যদি একই নাম হয়, তহলে কে কাকে ডাকল, কি করে বুঝবে? কাজেই আন কমন নাম নিয়ে কেউ হাসবে না। বলেই স্যার বললেন, দুধ লাল কে?
দুধ লাল যে আমার পাশেই বসা ছিল আমি ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারিনি। এবার দেখি সে আস্তে আস্তে দাঁড়িয়ে বলল, জি স্যার, আমার নাম দুধ লাল।

দুধ লাল দাঁড়ানোর সাথে সাথে পুরো ক্লাসের ছাত্ররা তার দিকে তাকিয়ে দেখছে। স্যারও তাকে এক নজর দেখেই বললেন, ঠিক আছে বস। বলেই স্যার আবার রোল কল করতে লাগলেন।

দুধ লাল বেঞ্চে বসে নিচের দিকে মাথা নত করে থাকল। স্যার রোল কল করে অল্প সময় প্রথম ক্লাস হিসাবে নানা প্রসঙ্গ নিয়ে কিছু বক্তৃতা দিয়ে চলে গেলেন।

স্যার চলে গেলে বেশিরভাগ ছাত্রই বেঞ্চ থেকে উঠে দাঁড়িয়ে যায়। ক্লাসে স্যার না থাকায় কেউ কেউ বারান্দায় হাঁটাহাঁটি করছে আবার কেউ কেউ বেঞ্চে বসে পরস্পর গল্পগুজোব করছে । কিন্তু তখনও দেখি দুধ লাল নিচের দিকে মাথা দিয়ে বসে আছে। আমি সহপাঠি হিসাবে তাকে লক্ষ্য করে বললাম, কিরে, তোর নাম যে দুধ লাল আগে বলবি না? আমি স্যারের সাথে তোর নাম নিয়ে ইয়ার্কী করলাম।
দুধ লাল মাথা তুলে বলল, তাতে কি হয়েছে, তুই তো আর আমার নাম জানিস না, জানলে তো আর ইয়ার্কী করতিস না।

এর পরে ওকে লক্ষ্য করেছি ক্লাসে আসলেই আমার কাছে বসে ক্লাস করতো। আমার পাশে সিট না থাকলে একবারে পিছনে চলে যেত। শহরের কারো কাছে বসতো না। আমার পাশে বসে ক্লাস করায় ওর সাথে আমার মোটামুটি ভাল সখ্যতা হয়েছে। সেকেন্ড ইয়ারে উঠার পর অনেক দিন ওর সাথে দেখা হয় না।
একদিন কলেজ থেকে ফিরে শহরে ঢুকতেই আমার পায়ের চপ্পলের ফিতা ছিঁড়ে গেল। রেল গেট পার হয়েই দেখি একজন তরুণ মুচী মাথা নিচু করে জুতা সেলাই করছে। আমি পা থেকে চপ্পল খুলে তার সামনে দিয়ে বললাম, এই--, আমার চপ্পলের ফিতেটা সেলাই করে দেতো।
তরুণ মুচীটি মাথা না তুলেই আমার চপ্পল সেলাই করে সামনে ঠেলে দিয়ে অন্য একটি জুতা সেলাই করতে লাগল। মাথা না তুলে জুতা সেলাই করাটা আমার কাছে খুব অহঙ্কারী মনে হলো। আমি তার অহঙ্কারকে তুচ্ছ করার জন্য তুচ্ছ ভাবেই বললাম, সেলাই কত রে?
তরুণ মুচী মাথা না তুলেই জবাব দিল, পয়সা লাগবে না।

আমার কাছে তার কথাটা আশ্চার্য মনে হলো। চেনা নাই জানা নাই মুচী পয়সা নিবে না, এ আবার কেমন কথা! আমি তাকে পাল্টা প্রশ্ন করলাম, কেন রে, পয়সা লাগবে না কেন?

ও বলল, ইচ্ছা হলো না তাই পয়সা নেব না।
-- কাজ করেছিস পয়সা নিবি না মানে?
-- আমার ইচ্ছা আমি নেব না।
-- নিবি না কেন, নিতেই হবে, বলেই আমি দু’টি টাকা তার সামনে ফেলে দিলাম।
সে টাকাটা আমার পায়ের কাছে ছুঁড়ে দিল।
মুচীর ব্যাহারটা আমার কাছে খুব খারাপ লাগল। একে তো মুচী তারোপর মুখ না তুলেই অহঙ্কার করে কথা বলছে। জুতা সেলাইয়ের টাকা দিলাম তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে আমার পায়ের কাছে ছুঁড়ে দিল। হাজার হলেও মুচী, নীচু জাত, ওর কাছে ছোট হওয়া যাবে না। আমি আরো দু’টি টাকা ওর সামনে দিয়ে সরে যাওয়ার চেষ্টা করলাম। ও তৎক্ষনাৎ টাকাটা সামনে ছুঁড়ে দিয়ে বলল, বললাম তো টাকা নিব না।
তরুণ মুচীর দেমাগ মার্কা কথায় মেজাজ বিগড়ে গেল। চোখটা বড় করে ধমকের সুরে বললাম, নিবি না কেন? টাকা তুলে রাখ, না হলে লাথি দিয়ে মাথা চ্যাপ্টা করে দিব।
-- লাথি দিলে দে তারপরেও তোর টাকা নিব না।
মুচীর মুখে তুই তোকারী কথা শুনে আরো অপমানবোধ করলাম। এই মুচী তো দেখচি আচ্ছা ঠ্যাটা। অনেক বয়স্ক মুচীকে দেখেছি বাবুজি ছাড়া কথা বলে না আর অল্প বয়স্ক এই মুচী আমাকে তুই তোকারী করে কথা বলে। মুচী যাতে আর কোনদিন আমাকে তুই করে কথা বলার সাহস না পায় সেই রকম একটা ভাব নিয়ে রাগত স্বরে বললাম, তুই আমাকে তুচ্ছভাবে কথা বললি কেন রে?
-- আমি তোর বন্ধু এই জন্য তুচ্ছভাবে কথা বললাম।
-- আমি তোর কবে বন্ধু হলাম রে?
-- অনেক আগে।
-- দেখি তোর মুখটা?
-- মুখ দেখাবো না, তুই চলে যা।
ওর কথায় আমি আরো গো ধরে বললাম, আমি তোর মুখ না দেখে যাবো না। বলেই ওর চুল ধরে উপর দিকে মুখটা তুলতেই হতভম্ব হয়ে গেলাম। এ যে দুধ লাল! দুধ লাল যে মুচী, এটা ঘুণাক্ষরেও জানতাম না। মনের অজান্তেই দুটি কথা বেরিয়ে গেল, দুধ লাল, তুই কি মুচী রে?
ও মাথা নেরে বলল, হ্যাঁ।
আমার মুখের দিকে তাকিয়ে ভেজা ভেজা চোখে বলল, তুই কি এখন আমাকে ঘৃণা করবি রে?
একে তো ক্লাস ফ্রেন্ড তারোপর চোখের জল ছেড়ে দেয়ায় মায়া হলো। মুহুর্তেই ঘৃণার কথা ভুলে গেলাম। সহজ সরল ভাবে দুধ লালের চোখর দিকে একপলক তাকিয়ে থেকে বললাম, না রে, তুই আমার বন্ধু, তোকে কি আমি ঘৃণা করতে পারি?
ও আমার মুখের দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থেকে বলল, সত্যিই বলছিস? তুই আমাকে ঘৃণা করবি না তো?
আমি মাথা নাড়ালাম, না।
আমার কথা শুনে ওর মলিন মুখটি মুহুর্তেই উজ্জল হয়ে উঠল। খুশিতে গদগদ হয়ে বলল, তোর প্রতি আমি খুব খুশি হলাম রে। স্কুল জীবনের অনেক বন্ধুই কলেজে পড়ে। কিন্তু মুচী হওয়ার কারণে তারা কেউ আমাকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করে না। স্কুলেও আমাকে কাছে ঘেষতে দিত না, কলেজে এসেও কাছে ঘেষতে দেয় না। পরিচয় না জানার করণে কলেজে একমাত্র তুই আমাকে কাছে বসতে দিয়েছিস। কাজেই তোকে আমি বন্ধু হিসাবে পেয়ে খুব খুশি রে। তুই যখন আমাকে জুতা সেলাই করতে দিয়েছিস, তখন আমি লজ্জায় মুখ দেখাতে পারছিলাম না। তাই নিচের দিকে মুখ করে বসে ছিলাম। তুই চুল ধরে মাথা না উঠালে আমি কখনই মুখ তুলতাম না।
এতক্ষণে ওর মাথা নিচু করে বসে থাকার কারণ বুঝতে পারলাম। আমি তখন প্রসঙ্গ ঘুরিয়ে অন্য প্রসঙ্গ নেয়ার চেষ্টা করে বললাম, তুই কলেজে যাস না কেন?
দুধ লাল অসহায়ভাবে বলল, আমার বাবা খুব অসুস্থ্য। যে কারণে কলেজে যাওয়া বন্ধ করে কাজ করতে হচ্ছে।
আমি বললাম, তোর বাবা সুস্থ্য হলে কলেজে আসিস। বলেই আমি ওর কাছ থেকে দ্রুত সরে গেলাম। ওর সামনে থেকে দ্রুত সরে গেলে কি হবে, ওকে লাথি মারতে চেয়ে যে অপরাধ করেছি সে অপরাধবোধ মনের মধ্যে উকি দিতে লাগল। নিজের বিবেকের কাছে নিজেই হেয় হতে লাগলাম।
০০০ সমাপ্ত ০০০

(ছবি ইন্টারনেট)
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৩৮
২৬টি মন্তব্য ২৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে এসো রাফসান দি ছোট ভাই

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮

রাফসানের বাবার ঋণ খেলাপির পোস্ট আমিও শেয়ার করেছি । কথা হলো এমন শত ঋণ খেলাপির কথা আমরা জানি না । ভাইরাল হয় না । হয়েছে মূলতো রাফসানের কারণে । কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুমীরের কাছে শিয়ালের আলু ও ধান চাষের গল্প।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪০



ইহা নিউইয়র্কের ১জন মোটামুটি বড় বাংগালী ব্যবসায়ীর নিজমুখে বলা কাহিনী। আমি উনাকে ঘনিষ্টভাবে জানতাম; উনি ইমোশানেল হয়ে মাঝেমাঝে নিজকে নিয়ে ও নিজের পরিবারকে নিয়ে রূপকথা বলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×