
মাজারের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল এই মালা বাবা।

মেলার রাস্তা দিয়ে মানুষের ভির ঠেলে হাঁটছি। হঠাৎ চোখে পড়ল এই শিকল বাবাকে। হনহন করে হেঁটে যাচ্ছে, পিছনে পিছনে দৌড়ালাম। পুকুর পাড়ে গিয়ে মুখ ঘুরিয়ে দাঁড়ালে ছবি তুলতে ভুল করি নাই।

মেলার ভিরের মধ্যেই দেখা পেলাম এই শিঙা বাবাকে।

মাজারের গেটেই ঘুমে বিভোর ছিল এই দোহাই বাবা। উনার মাথায় ব্যানার লাগানো দোহাই বাবা।

এ পাগলও মাজারের সিঁড়িতে বসে ছিল।

মাজারের প্রধান গেটের সিঁড়িতে বসে ছিল এই সুন্দরী পাগলী।

এ পাগল মাজারের দেয়ালে ঠেস দিয়ে বসেছিল।

হয়তো এই লোকটির একশ' একটি মোমবাতি জ্বালানোর মানত আছে। সে অনবরত মোমবাতি জ্বালিয়ে যাচ্ছেন।

লেংটা মাজারের মূল কবরের দায়িত্বে ছিল এই খাদেম। অনেকেই টাকা পয়সাসহ নানা উপঢৌকন দিচ্ছে আর উনি দু'হাত ভরে নিচ্ছে।

স্টিলের রড দিয়ে ঘেরা ফুল দিয়ে সাজানো এটাই লেংটা পাগলার মাজার।

আগর বাতি জ্বালানোর দায়িত্বে আছে এই পাগল।

মাজারের পাশেই পুকুর। পুকুর পাড়ে এই পাগল এভাবেই ঘুমিয়েছিল।

পুকুর পারে নিরিবিলি সম্ভাবত গাঞ্জা পাগলদের আড্ডা।

আমি ছবি তোলার পূর্বমুহুর্তে এই পাগলীকে বিড়ি টানতে দেখেছি।

হাঁটতে হাঁটতে গেলাম বেলতলী বাজারে। বাজারের পশ্চিম পার্শ্বে নদীর পাড়ে গিয়ে পেলাম আরেক মাজার। এটা বাবা হযরত জালাল শাহ লেংটার মাজার। সোলায়মান শাহ লেংটার কাহিনী আছে, কিন্তু এই লেংটার কি কাহিনী আছে জানা হয় নাই।

বেলতলী বাজারের এই মাজারে একটি পুরানো বট গাছ আছে। এই মাজারের কাহিনী সত্য মিথ্যা যাই হোক না কেন পরিবেশ কিন্তু চমৎকার। চৈত্রের দুপুরে এই মাজারের বটের ছায়ায় বসে বাতাস খেতে মন্দ না। নদীর খোলা হাওয়ায় মন জুড়িয়ে যায়। কংক্রিটের বেঞ্চে গা এলিয়ে দিলে নিমিষেই ঘুম চলে আসে। আহা! একটু বসতেই মনে হলো ঘুমিয়ে যাই!

পুরো মেলা ঘুরে মনে হলো সবাই ভাবের পাগল, আর মাটিতে বসে যে পাগলটি খিচুরি খাচ্ছে, এটাই হলো আসল পাগল। তার ময়লা নোংরা বেশভূষায় কোন ভাব নেই, আছে মানসিক ভারসাম্যহীনতা। হাতা পা না ধুয়েই কাঁদা মাটিতে বসে মনের সুখে খিচুরি খাচ্ছে। টাকা পয়সা হয়তো চিনে না। চিনলে এক প্লেট খিচুরিতে সন্তুষ্ট হতো না, মানুষের কাছে হাত পেতে বলতো, লেংটা বাবার দোহাই, দে কিছু দে। হয়তো নেংটা পাগল এধরনেরই কোন এক পাগল ছিল। এখন তাকে পুঁজি করে কোটি কোটি টাকা বাণিজ্য করা হচ্ছে
লেংটা মেলার ছবিসহ বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন -- - -
ঘুরে এলাম লেংটার মেলা (চার শততম পোষ্ট)
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:১১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



