যুদ্ধাপরাধী! যুদ্ধাপরাধী!!!
বিচার চাই, করতে হবে।আমাদের মাতম কিংবা স্লোগান চলতে থাকে...
অনেকের সঙ্গে কৌশিক শামীমরা কী বোর্ড হাতড়ানো ছেড়ে পথে নামে। আমরা আশায় বুক বাধি। কৌশিক, শামীম শুনে রাখ
আমি যুদ্ধাপরাধী বুঝি না। আমি বুঝি...
যারা ৭১-এ এ দেশে হত্যা, ধর্ষণের মত অপরাধ করেছে। কিংবা এ ধরনের অপরাধ করতে সরাসরি মদদ যুগিয়েছে তাদের বিচার করতেই হবে। তারা যুদ্ধাপরাধী হোক, রাজাকার হোক, আলবদর, আল শামশ যেই হোক না কেন। । এদের বিচার হতেই হবে। যুদ্ধাপরাধীর ধুয়ো তুলে এই সব চিহ্নিত অপরাধীরা পার পেয়ে যাবে তা হবে না।
নিজামী, মুজাহিদদের মুখে খৈ ফোটে তারা যুদ্ধাপরাধী না। এই কুলাঙ্গাররা কী তা আমাদের জানার দরকার নেই।
আমরা জানি, এরা আমাদের মা-বোনকে বীরাঙ্গনা করেছে, ধর্ষণে সহায়তা করেছে, নিজ হাতে আমার যোদ্ধা ভাইকে হত্যা করেছে। তারা আমাদেরকে উপহার দিয়েছে রক্তাক্ত ৭১, বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে। মায়ের কান্না, বাবার আহাজারি, কঙ্কাল, বধ্যভূমির এই করুণগাঁথা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মন্তরের শরীরে দগদগে ঘাঁ হয়ে বসত গেড়েছে তাদের জন্য। এদের কোন ক্ষমা নেই। এদের বিচার হতেই হবে সভ্য জাতি হিসেবে সুন্দর আগামী নিশ্চিত করতে।
কিন্তু একটা কিন্তু থেকে যায় বটে...! আর তা হল আইন, কূটনীতি আর রাজনীতির মারপ্যাঁচে শেষমেশ এদের অপরাধের শাস্তি এবং তার বাস্তবায়ন হবে তো? সংশয় থেকে যায় কেননা...
রাজনীতির খেলায় পাশার ঘুঁটি যে কীভাবে কখন পাল্টায় তা বোঝা মুশকিল। এই আওয়ামী লীগ যারা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তি হিসেবে নিজেদের ঘোষণা করে তারা কিন্তু ৯১-এ জামাতের কাঁধে কাধ মিলিয়ে আন্দোলন করতে মাঠে নেমেছিল। এইতো গত ৫ সেপ্টেম্বর সৌদী রাষ্ট্রদূতের বাসায় ইফতার পার্টিতে হাতে হাত মিলিয়েছেন জিল্লুর-নিজামী।
এই জিল্লুরই এখন রাষ্ট্রপতি হতে যাচ্ছেন।
জিল্লুরের বাড়ানো এই বন্ধুত্বের হাত নিজামীদের গলায় ফাঁসির দড়ি পরাতে পারবে তো?
পারবে তো??
পারবে তো???
[কৌশিক দা , শামীম আমাদের এ আন্দোলন নিজামীদের ফাঁসি নিশ্চিত না করা পর্যন্ত যেন না থামে]