somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দুঃখিত, ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি এ মুহূর্তে নিষিদ্ধের পক্ষে নেই আমি..

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ধর্মের জুজু দেখানো রাজনীতি এ দেশে চলে না। বিগত নির্বাচনগুলোতে সুস্পষ্ট তার প্রতিফলন দেখা গেছে। বায়তুল মোকাররম মসজিদের আশপাশ দিয়ে তাফালিং করলেও ভোটের বাকসো এদের আজীবন খালিই থাকে এবং থাকবে। এদেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ। বকধার্মিক রা তাদের এলেবেলে বুঝিয়ে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে আমজনতাকে পথে নামানোর পাঁয়তারা করেছে বার বার... লাভ হয় নাই। ইতিহাস তাই-ই বলে। [ধর্মজীবী দলগুলো হচ্ছে_
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী,
জাকের পার্টি,
বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন,
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন,
বাংলাদেশ মুসলিম লীগ,
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ,
ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ,
ইসলামী ঐক্য জোট,
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস,
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ,
বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট,খেলাফত মজলিস ]
তবে ধর্মের সত্যিকারের অবমাননা ধর্মপ্রাণ মানুষ কখনোই মেনে নেবে না। ফলে ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি বন্ধের দাবি উঠলে..হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। যারা আজকে ধর্মের নামে আস্ফালন করছে..এরা রাজনীতিতে থাকলেও করবে, না থাকলেও করবে। এদের নিষিদ্ধ করে লম্ফজম্ফ বন্ধ করা যাবে না।
নির্বাচন কমিশনের ওয়েবে দেখা যাচ্ছে, দেশে বর্তমানে ৩৮টি নিবন্ধিত দল রয়েছে।
এর মধ্যে ১২টি ধর্ম ভিত্তিক। তবে মজার ব্যাপরা হচ্ছে, নির্বাচন কমিশন থেকে নতুন করে নিবন্ধন প্রাপ্ত এসব দল বলতে গেলে এখন আর ধর্ম ভিত্তিক দল নেই! কেননা, সংশোধিত গঠনতন্ত্রে ধর্ম বিশ্বাসের মূল ভিত্তিতেই পরিবর্তন এনেছে এরা। আর এই পরিবর্তন সাপেক্ষে তারা নিবন্ধন পেয়েছে। এখন তাদের ধর্ম ভিত্তিক না বলে ধর্মজীবী দল বলাই যায়..!!! তাহলে এদের নিষিদ্ধ করার দাবি আসলে কার লাভ?
বরঞ্চ ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিকে পুঁজি করে..সাধারণ মানুষকে উস্কে দিচ্ছ এরা। ফলে শাহবাগ এবং নতুন প্রজন্ম নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা তৈরি হচ্ছে। আজকে মানিকগঞ্জে সাধারণ গ্রামবাসীর ফুঁসে ওঠা এ আশঙ্কারই ইঙ্গিত বার্তা হয়ে উঠেছে। এতে করে আন্দোলনের মূল মোটিভ... সকল যদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামাত নিষিদ্ধের দাবি ম্রিয়মান হয়ে যাচ্ছে। এর বেনিফিট চলে যাচ্ছে ওই জামাতিদের পকেটে। সাধারণ মানুষ সত্যিই এখন জামাতিদের ঘৃণা করে। তবে অন্য ১১টি দলের ব্যাপার আলাদা। তাদের নিয়ে এই মুহূর্তে মাথা না ঘামালেও চলবে, যদি আমরা যদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই।

আমাদের এই মুহূর্তের একটাই দাবি হোক...'যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি এবং জামাত নিষিদ্ধকরণ'।
২. অনেকেই শাহবাদের আন্দোলন অহিংস, নিস্তেজ বলে অস্থির এবং হতাশ হয়ে পড়ছেন। তাদের জন্য বলছি, কোনোভাবেই এ আন্দোলন ৫২, ৬৬, ৬৯ কিংবা স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের মতো নয়। যে রাতারাতি ফল পাওয়া যাবে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সময়সাপেক্ষ, ফলে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে হবে। তবে, ট্রাইব্যুনাল, প্রসিকিউশনে দুর্বলতা আছে কিনা তা কড়া নজরদারিতে রাখতে হবে। যেমন সাঈদীর বিচার প্রক্রিয়া এক মাস আগে প্রায় শেষ হয়েছে। তবে রায় হচ্ছে না কেন...তা আন্দোলনকারীদের আমলে নিতে হবে।

অন্য ধর্মজীবী দল নয়..যুদ্ধাপরাধের দায়ে এই মুহূর্তে জামাতকে নিষিদ্ধ করার জন্য আল্টিমেটাম দিতে হবে। নিষিদ্ধ করার প্রসেসিং শুরু হচ্ছে বলে ধুনফুন কথাবার্তা শোনার টাইম নাই। শুধু জামাত নিষিদ্ধের দাবি উঠলে তা বাস্তবায়ন করা সহজ হবে।
দাবি একটাই রাজাকারের ফাঁসি চাই,
জামাত-শিবিরের নিস্তার নাই।

জয় বাংলা
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×