হেফাজতে ইসলাম ১৩ টি দাবী জানিয়েছে এই দাবী সমূহ নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করছি ২ টা দাবী নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি শেষ হয়েছে বাকিগুলো নিয়ে চলছে... আপাতত দুটি দাবী পবিত্র কোরআন এর কিছু আয়াত এর পাশে রেখে আলোচনা করার চেষ্টা করলাম। দ্বিমত পোষণকারীরা আমাকে মোবাইল ফোনে গালাগালি বা ইমেইল এর মাধ্যমে থ্রেট না দিয়ে আলোচনা করে বুঝিয়ে বললে ভালো হয়।
হেফাজতে ইসলামের ১৩ টি দাবীর ২ টি হল
-আল্লাহ, রাসুল (সা.) ও ইসলাম ধর্মের অবমাননা এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে কুত্সা রোধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে আইন পাস।
-কথিত শাহবাগি আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী স্বঘোষিত নাস্তিক-মুরতাদ এবং প্রিয় নবী (সা.)-এর শানে জঘন্য কুত্সা রটনাকারী ব্লগার ও ইসলামবিদ্বেষীদের সব অপপ্রচার বন্ধসহ কঠোর শাস্তিদানের ব্যবস্থা করা।
রসূল (সাঃ) এর বিরুদ্ধে যে সব আজে বাজে কথা বলা হতো এ সম্পর্কে আল্লাহ্ আদেশ দিয়ে বলেছেন-
"লোকে যা বলে, তুমি তাতে ধৈর্য ধারণ কর এবং সৌজন্য সহকারে এগুলোকে পরিহার কর।"
সূরা মুযাম্মেল, আয়াত নম্বর-১০
"আমি তো জানি, তারা যা বলে তাতে তোমার অন্তর সংকুচিত হয়;
সুতরাং তুমি তোমার প্রতিপালকের সপ্রশংস পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর এবং তুমি সিজদাকারীদের অন্তর্ভুক্ত হও;
তোমার মৃত্যু উপস্থিত না হওয়া পর্যন্ত তুমি তোমার প্রতিপালকের ইবাদত কর।"
সূরা হিজর, আয়াত নম্বর ৯৭,৯৮ ও ৯৯
"কিতাবে তোমাদের প্রতি তিনি তো অবতীর্ণ করেছেন যে, যখন তোমরা শুনবে, আল্লাহর আয়াত প্রত্যাখ্যাত হচ্ছে এবং এর বিদ্রুপ করা হচ্ছে, তখন যে পর্যন্ত তারা অন্য প্রসঙ্গে লিপ্ত না হবে তোমরা তাদের সঙ্গে বসবে না; অন্যথায় তোমরাও তাদের মত হবে। মুনাফিক এবং কাফির সকলকেই আল্লাহ্ তো জাহান্নামে একত্র করবেন।
সূরা নিসা, আয়াত নম্বর-১৪০"
আমার কথা হল, বিদ্রুপ বা কটাক্ষ করার শাস্তি অবশ্যই আছে কিন্তু তা পরকালে। জাগতিক কোন শাস্তির নির্দেশ নেই। বরং আল্লাহ্ তা’লার আদেশ হল, তাদেরকে এরিয়ে চল, তাদেরকে আল্লাহ্ জাহান্নামে একত্র করবেন।
এছারাও লক্ষ করুন, পবিত্র কুরআনের উপহাস ও বিদ্রুপের ক্ষেত্রে মহানবী মুহাম্মদ (সাঃ)-কে অপরাধীদের এড়িয়ে যেতে আদেশ দেয়া হয়েছে। সেই সাথে বলা হয়েছে উপদেশ দানই মুমিনদের দায়িত্ব।
হেফাজতে ইসলাম সাথে অন্যান্য দলগুলী এই দিন যে নব ধর্ম শিক্ষা আমাদের দেয়ার চেষ্টা করলো তাদের সম্পর্কে আমি একটা কথা বলি- ৭১ এ আপনাদের মত কিছু লোক ইসলাম এর নামে এই দেশে লক্ষ লক্ষ মানুষ মেরেছিল কোন ইসলামিক নেতা এর প্রতিবাদ করেন নাই, এখনো করছেন না। ইতিহাস আপনাদের কি হিসাবে মনে রাখবে তা সময়ই বলবে। আর আমরা যারা ইসলাম রক্ষায় নাচা নাচি করলাম তারা মনে হয় মিথ্যাচার ভালো মত চর্চা করলে ভালো হবে কারন নেক্সট জেনারেশন এর কোন ত্যাঁদড় বাচ্চা যখন কোরআন পড়ে আমাদের প্রশ্ন করবে তখন তাকে নাস্তিক উপাধি দিয়ে মেরে ফেলা এত ইজি হবে না। আজকে আমাকে ৭ দিন এর আল্টিমেটাম দেয়া হল ফোনে, তাদের বলি আমার মুখ বন্ধ হবে না যদি ছয় দিনও বেঁচে থাকি ইসলাম এর নামে ভণ্ডামি আমি সহ্য করবো না। আমি আমার বাবাকে দেখে বড় হয়েছি যিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন একি সাথে একজন ধর্মপ্রাণ মুসলিম ছিলেন, তাকে নিয়ে আমি গর্বিত। আমি ওনার মত হতে পারি নি, আমাকে নিয়ে গর্ব করারও কিছু নাই, কিন্তু আমাকে ভালোবাসে এমন কিছু মানুষ আছে ( ঘৃণা করে এমন মানুষই বেশি)। আছে অনেক ভালবাসার শ্রেষ্ঠা ( ৭ মাস বয়সী ভাতিজী) ও অপার ( ৪ মাস বয়সী শ্যলিকা) যারা বড় হয়ে আমি নিশ্চিত জানি আমাকে শাহবাগ আন্দোলন নিয়ে খুব সুইট করে থেঙ্কু দিবে।
জয় বাংলা
জয় জনতা
জয় তারুণ্য
জয় শাহবাগ

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




