বিরক্ত হচ্ছি প্রতিদিন; ত্যক্ত করছে সবগুলো প্রত্যুষ, মধ্যাহ্ণ, বিকেল, রাত, স্ট্রিটলাইট, কাঁটাচামচ, সিগারেটের পোড়া টুকরো এবং একটি ব্ল্যাকবোর্ড ও একটি হোয়াইটবোর্ড। এমনকী দুরবর্তী চাপা দীর্ঘশ্বাসও আছড়ে পড়ে আমার কানে বজ্রনিনাদে। বদলে যাচ্ছে সব, আমি অবাক হয়ে দেখছি হঠাৎ হঠাৎ ফুল থেকে কাঠ পাথর; রক্ত থেকে কালচে গোলাপ; অশ্রুবিন্দু থেকে উপাখ্যান; এক টুকরো নীরবতা থেকে আবক্ষ প্রলয়; ঘুঘুর ডাক থেকে নীল খড়িমাটি এবং বুকের ঠিক বামপাশে একটি গর্ত। তবুও এরই মাঝে কয়েকজন নিশ্চল মূর্তি রয়ে যায় সময় এবং অন্যান্য মাত্রাগুলো ভেঙ্গে পড়বার ঠিক আগমুহূর্তে।
যদিও আমি জানি সবাই বিরক্ত হয় অনেকসময় কিন্তু কেঊই চায় না কালের গহবরে শিবলিঙ্গের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে। এও জানি সবাই দ্যাখে কুৎসিত আর অশ্লীল কতগুলো বিরলকেশ চাঁদিতে আলোছায়ার খেলা এবং সারি সারি উলটো হয়ে ঝুলে থাকা ইউক্যালিপ্টাস । কিন্তু আমার মতোন বিরক্ত হয় না কেউ, কারণ...
আমি এখনো পর্যন্ত নীল-শাদা ভালোবাসি, বেগুনী-হলুদ নয়।
-আগস্ট ২০০৭
(লেখকের কথাঃ এইটা পড়ে আমার এক বন্ধু আমাকে দশে সাড়ে সাত নম্বর দিয়েছিল। তাতে আমি যারপরনাই উল্লসিত হয়েছিলাম বলে মনে পড়ে।)
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৩৮