অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত গরু বা কোনো পশু যেন রাজধানীতে না আসতে পারে, সে জন্য বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ঢাকার প্রবেশমুখে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। পুলিশ, স্বাস্থ্য ও প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা এর সমন্বয়ের দায়িত্বে রয়েছেন। আজ রোববার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধে করণীয় ও সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে এক সভা শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
বৈঠকে উপস্থিত প্রাণীসম্পদমন্ত্রী আবদুল লতিফ বিশ্বাস বলেন, এ পর্যন্ত সিরাজগঞ্জ ও পাবনা জেলার সাত উপজেলায় ২২টি গরু ও পাঁচটি ছাগল এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এসব পশু জবাই করা হয়েছে অথবা মারা গেছে। জবাই করা প্রাণীর মাংস নাড়াচাড়া ও খাওয়ার কারণে কিছু লোক এতে আক্রান্ত হয়েছে। তবে চিকিৎসার মাধ্যমে তাদের সুস্থ করে তোলা হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, সরকারের কাছে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন রয়েছে। মানুষের চিকিৎসার জন্যও পর্যাপ্ত ওষুধ রয়েছে। এ রোগের বিস্তারও বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে। ফলে আতঙ্কের কিছু নেই।
সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হকের সভাপতিত্বে প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ছাড়াও স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মজিবুর রহমান ফকির, স্বাস্থ্যসচিব হুমায়ুন কবির, প্রাণিসম্পদ-সচিব শরফুল আলম, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আশরাফ আলী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ মনির হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।