মাসুদ আলম,কুমিল্লা॥
কুমিল্লা নগরীর শাসনগাছায় ৫১ কোটি ৪২ লাখ টাকা ব্যয়ে রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণ কাজ চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুমিল্লায় এসে ওই প্রকল্পের কাজ এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এ ওভারপাসটির দৈর্ঘ্য ৮৫০ মিটার এবং প্রস্থ ৯.৫ মিটার। শাসনগাছা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে নগরীর রেইসকোর্স মুক্তি হাসপাতাল পর্যন্ত এটি নির্মিত হবে। বর্তমানে ওভারপাসটির নির্মাণ কাজ পুরো দমে চলছে। কিন্তু ওই সড়কে যান চলাচলের বিকল্প ব্যবস্থা না রাখায় যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সচেতন মহল বলছে ওভারপাসটি নির্মাণকালীন সময়ে যদি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক সড়কটি সম্পূর্ণ বন্ধ না করে বিকল্প ব্যবস্থায় যান চলাচলের সুযোগ দিতেন তাহলে যাত্রীদের এত ভোগান্তি পোহাতে হতো না।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কুমিল্লা নগরির কান্দিরপাড়-শাসনগাছা রাস্তার শাসনগাছা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে নগরীর রেইসকোর্স মুক্তি হাসপাতাল পর্যন্ত ওভারপাস নির্মাণ কাজ চলছে। বর্তমানে নিমার্ণ কাজের জন্য মুক্তি হাসপাতাল থেকে শাসনছাড়া পর্যন্ত রাস্তাটি সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। কান্দিরপাড় থেকে শাসনগাছা যাতায়াতের জন্য বিকল্প সড়ক হিসেবে কান্দিরপাড় থেকে রানীরবাজার হয়ে শাসনগাছা। কান্দিরপাড় থেকে রেইসকোর্স হয়ে শাসনগাছা এ দুটি বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু রাস্তা দুটির বিভিন্নস্থানে খানা খন্দরের কারনে যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
ভুক্তভূগি সাধারণ যাত্রীরা মধ্যে সুজামিয়া জানান ‘‘কি আর কমো ভাই, গাড়ি না চলার কারণে মাথায় করে আমের বস্তাটা নিতে হচ্ছে বাস স্ট্যান্ডে। ড্রাইভারকে বললাম অন্য কোন রাস্তা আছেনি শাসনগাছা যাওয়ার জন্য ডাইবার বলে মাজাও ভাঙ্গবেন টাকাও দিবেন’’।
মাসুদ আলম নামে অন্য এক যাত্রী জানান ‘‘ওভারপাস করার কারণে যেহেতু রাস্তা বন্ধ করে দিবে সেহেতু অন্য কোন বিকল্প রাস্তার সংস্কার করে যাচলাচলের উপযুগি করলে মানুষের এতো সমস্যা হতো না। বাদশামিয়ার বাজার থেকে বাস স্টান যেতে রাস্তায় কাঁদাপানির জন্য হাটা যায় না। এমনকি বর্ষার মৌসুম কিছুক্ষন পর পর আবার বৃষ্টি হচ্ছে’’।
পরিবহন চালকদের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান- ‘‘আমরা যাত্রীদেরকে পর্যাপ্ত পরিমাণ সুবিধা দিতে ইচ্ছুক কিন্তুওভারপাসের কাজের জন্য রাস্তা অতিক্রম করতে পারছিনা এমনকি বিকল্প কোন ভালো রাস্তা নাই’’।
এ বিষয়ে ওভারপাস নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, বর্তমানে ওভারপাস নির্মাণ কাজের ফাইলিং চলছে। তাই কাজের সুবিধার্থে রাস্তা সর্ম্পূণ বন্ধ রাখা হয়েছে। ফাইলিং এর কাজ শেষে হলে রাস্তার কিছু অংশ খুলে দেয়া সম্ভব হবে।