“বৃটিশ করেছে শোষন! পাকিস্তান করেছে শাসন! বাঙ্গালী দিচ্ছে ভাষণ” !!!
সমাজের এক শ্রেণির মানুষ যেখানে ইফতার করতে অঢেল অর্থ ব্যয় করছে , সেখানে অন্য এক শ্রেণির মানুষ শুধু পানি আর মুড়ি দিয়ে ইফতার করেই সন্তুষ্ট থাকছে। যেখানে এক শ্রেণির লোক খাওয়ার আইটেম প্লেটে রাখার জায়গা পাচ্ছে না, সেখানে অন্য এক শ্রেণির লোক প্লেটে তোলার মতো খাবারই পাচ্ছে না।
না, অন্য কোন দেশের কথা বলছি না। বলছিলাম পৃথিবীর চতুর্থ বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র বাংলাদেশেরই কথা! স্বাধীনতার পরে বাংলাদেশ কতটা উন্নতি করেছে তার পরিসংখ্যান দেয়াটা বড়ই মুশকিল। কিন্তু এটা বলা যায়, বাংলাদেশ দুটি ভাগে বিভক্ত হয়েছে। একটা শাষিত শ্রেণি অন্যটা শোষিত শ্রেণি।এ দুয়ের মাঝে তফাত হচ্ছে একদল কলুর বলদের মতো খেটে যায় অন্য দল হামেশাই ফল ভোগ করে যায়। স্বাধীনতার পরে একদল মেরেই যাচ্ছে অন্যদল মার খেয়েই যাচ্ছে। থানায় মামলা হচ্ছে বস্তির ছেলে রেলের পাত চুরি করেছে, কিন্তু যে কলমের খোঁচায় রেলগাড়িটাই সাবাড় করে নিচ্ছে তার নামে কথাও বলা যাচ্ছে না। ধনী লোকদের মাল গরীবরা চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে, চুরি কেন বন্ধ হচ্ছে না,তার জন্য মানববন্ধন হচ্ছে। কিন্তু চুরি করছে তার কারণ কেউ খুঁজে বের করছে না। ইউপি বোর্ডের রিলিফ কার্ডে কেউ চালাকি করে দুবার রেশন নিচ্ছে সেটা মহা বড় অপরাধ। কিন্তু যে প্রতিনিধি পুরো রেশনের অর্ধেকটাই সাবাড় করে নিল সে পায় ডি.লিট উপাধি। আজকে বাংলাদেশের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা দেশের মানুষকে শুধু বক্তব্য দিয়েই যাচ্ছে, কিন্ত তার কোন ফল আজো আমার জাতি দেখেনি। স্বাধীনতার পর যারা চুরি করতে পেরেছে তারাই আজ সমাজে নেতা সেজে বসে আছে। কিন্তু যারা পারেনি তারাই আজ দরিদ্র। যাদেরকে আজ আমরা দরিদ্র তারাই সে সময় তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তখনকার সময় তারা স্বাধানতা পেল কি পেলনা সেটা মাথায় ছিল না। তারা ছিল তাদের স্বজন ও সর্বস্ব হারানোর ব্যথায় কাতর। আর সেই সুযোগটাই নিয়েছিল বর্তমানের ধনী নেতারা। আজো সেই ব্যথা নিয়ে দরিদ্র সীমার নিচে পড়ে আছে সেই মানুষ গুলো। কি পেয়েছে এই মানুষ গুলো? না কিছুই পায়নি। পেয়েছে শুধু নেতাদের মিথ্যে মধুর ভাষণ। আজকে রাস্তার পাশে,রেল লাইনের পাশে বস্তি উচ্ছেদ করা হচ্ছে আর মিডিয়ায় বক্তৃতা দেয়া হচ্ছে, আমরা তাদের পুণঃর্বাসনের করেছি। আর মিডিয়াও তা ফলাও করে প্রচার করলো। ব্যস, এইতো সবার কাজ শেষ। কিন্তু কোন মিডিয়া কি আজ অবধি কোন প্রতিবেদন করেছে যে, বস্তি উচ্ছেদের মানুষের আশ্রয়স্থল খোলা আকাশ! তাহলে কি মিডিয়ার কাজ নেতাকে খুশি করা? সেটাই আজ জাতির প্রশ্ন!