somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একজন বাঙালী আর কয়েকটি আত্মকথা।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

২০১৫ সালের আই সি সি ক্রিকেট
বিশ্বকাপের বাংলাদেশ- ভারত
বিতর্কিত ম্যাচের পর ভারতের অনেক
ক্রিকেট বোদ্ধারা বাংলাদেশী
বাঙালিদের"সস্তা আবেগী উপমায়
উপমিত করেছেন।আমি কিন্তু
উপমাটিকে খুব সাদরে গ্রহণ করে
নিয়েছিলাম।আমার মনে হয় তারা
কিন্তু খুব একটা ভুল বলেন নি।আমাদের
ক্রিকেট দলের প্রতিটি হারে
আমাদের প্রতিটি সত্ত্বা যেমন হেরে
যায়,তেমনি আবার আমাদের প্রতিটি
জেতায় প্রতিটি প্রাণ যেন নতুন করে
জিতে যায়।একজন মাশরাফি,একজন
মুশফিক,একজন সাকিব একজন নাসিরের
কান্না যেন আমাদের ১৬ কোটি
বাঙালির একেক ফোঁটা অশ্রুর
প্রিতিনিধিত্ব করে।তাদের এক
ফোঁটা চোখের জল যেন আমাদের সমস্ত
দেহখন্ডে কষ্টের বন্যা নামায়।আমরা
তো "সস্তা আবেগী ই।আমাদের দলের
একটি হারের পর কিংবা একটি
জিতের পর আমাদের ধারাভাষ্যকার
যখন সগর্বে মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে
বলেন" I am pleasure to call mash to say
something about this match"তখন শামীম খান
না যত আনন্দের সহিত ডাকেন আমরা ১৬
কোটি বাঙালী যেন তার চেয়ে
বেশী আনন্দিত হই।ক্রিকেটের প্রতিটি
প্রাপ্তি যেন বাঙালীর একএকটি
রক্তগাঁথা ইতিহাস,এক পরম পাওয়া।
কিছুদিন আগে ভারত যখন
বাংলাদেশে সিরিজ খেলতে
এসেছিল তখন একটি ম্যাচ শেষে ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয় এর একজন ছাত্র কমেন্ট
করতে গিয়ে প্রায় কেঁদে দিয়েছিল।
ছেলেটি বলেছিল"আমি ৭১ এর
মুক্তিযুদ্ধ দেখি নি,৭১ এর কোন
মুক্তিযোদ্ধা দেখি নি,কিন্তু একজন
মাশরাফি কে দেখেছি।ছেলেটার
উচ্ছ্বাস আর কান্না দেখে আমার
চোখে ও পানি চলে এসেছিল।আসলেই
আমরা সস্তা আবেগী।আসলেই তো ৭১
এর মুক্তিযুদ্ধ দেখি নি।কি হয়েছে
তাতে?এখনকার যুদ্ধ তো দেখছি।
ক্রিকেট যুদ্ধ।আমাদের প্রাণের যুদ্ধ।
কিছুদিন আগে ক্রাউন সিমেন্টের
একটা টিভিসি দেখেছিলাম।বিজ্ঞ
াপন টির নির্মাতা যথাসম্ভব মোস্তফা
সারোয়ার ফারুকী।নাও হতে পারে।
তবে যেই বানাক বিজ্ঞাপন টির
প্রতিটি কথা যেন আমার কথা।ষোল
কোটি বাঙালীর প্রাণের কথা।
বিজ্ঞাপনটিতে এমন কিছু কথা
আছে।"বিদেশে আসছি ভাই টাকা
কামাইতে।কিন্তু টাকার ক্ষুদার চেয়ে
বড় কোন ক্ষুদা আছে জানা ছিল না।
সেই ক্ষুদা হল গৌরবের ক্ষুদা।ঐশ্বর্য আর
অর্জনের গল্প দেখে যখন হাহাকার
লাগে তখন ওয়েব সাইটে আমরা খুঁজি
কোন পজটিভ নিউজ আছে কিনা।কেউ
নোবেল জিতলে কিংবা কারো
সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ জিতলে
আমরা রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে যাই।"
তাই তো আমরা সস্তা আবেগীর
উপাধি পেয়েছি।
এই আবেগকে,এই গৌরবকে ছুঁতে চাই
বলেই তো আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করে
যাচ্ছি,করে যাবো।
সস্তা আবেগী ই তো আমরা,সস্তা
আবেগই যে আমাদের প্রাণশক্তি। এই
সস্তা আবেগ দিয়েই লড়ে গেছি
আমরা,ভবিষ্যতেও লড়ে
যাবো,ইনশাআল্লাহ।।
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মুসলিম নেতৃত্বের ক্ষেত্রে আব্বাসীয় কুরাইশ বেশি যোগ্য

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১০ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:২৫




সূরাঃ ২ বাকারা, ১২৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২৪। আর যখন তোমার প্রতিপালক ইব্রাহীমকে কয়েকটি বাক্য (কালিমাত) দ্বারা পরীক্ষা করেছিলেন, পরে সে তা পূর্ণ করেছিল; তিনি বললেন নিশ্চয়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুসলমানদের বিভিন্ন রকম ফতোয়া দিতেছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১০ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩


আপন খালাতো, মামাতো, চাচাতো, ফুফাতো বোনের বা ছেলের, মেয়েকে বিবাহ করা যায়, এ সম্পর্কে আমি জানতে ইউটিউবে সার্চ দিলাম, দেখলাম শায়খ আব্দুল্লাহ, তারপর এই মামুনুল হক ( জেল থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জুমার নামাজে এক অভূতপূর্ব ঘটনা

লিখেছেন সাব্বির আহমেদ সাকিল, ১০ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০



মসজিদের ভেতর জায়গা সংকুলান না হওয়ায় বাহিরে বিছিয়ে দেয়া চটে বসে আছি । রোদের প্রখরতা বেশ কড়া । গা ঘেমে ভিজে ওঠার অবস্থা । মুয়াজ্জিন ইকামাত দিলেন, নামাজ শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। হরিন কিনবেন ??

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৯



শখ করে বন্য প্রাণী পুষতে পছন্দ করেন অনেকেই। সেসকল পশু-পাখি প্রেমী সৌখিন মানুষদের শখ পূরণে বিশেষ আরো এক নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এবার মাত্র ৫০ হাজার টাকাতেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধখানা ভ্রমন গল্প!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:৩৯


২০০২ সাল বান্দারবানের রিগ্রিখ্যাং-এর এই রিসোর্ট আজ সকালেই আমরা আবিস্কার করলাম! পাহাড়ের এত উপরে এই মোড়টাতে একেবারে প্রকৃতির মাঝে এমন একটা রিসোর্ট থাকতে পারে তা আমরা সপ্নেও কল্পনা করিনি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×