আমি খুব ভোজন রসিক একজন মানুষ।পেটে ক্ষিদে থাকলে আমি এক মিনিট ও সহ্য করতে পারি না।আর পেট শান্তি থাকলেই তো দুনিয়া শান্তি।কথায় আছে না "পেটে খেলে পিঠে সয়"।আমার ও ঐ একই অবস্থা।পেট শান্তি থাকলে কেউ আমাকে দু চার কথা শোনালেও কিছু মনে করি না,হাসিমুখ করে বরণ করে নি।কিন্তু পেটে ক্ষিদে থাকলে শালার মাথায় রক্ত চেপে যায়।তখন কার যেন একটা কবিতা আছে না"পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি"আমার ও সেই রকম লাগে।তাই মাগার আর যাই হোক আমার পেট সমুদ্র শান্ত থাকা লাগে তাহলে অগ্নুৎপাত এর লাভা কেও অপরাজিতা ফুল মনে হয়।
খাওয়া নিয়ে আমার ফ্যান্টাসির শেষ নেই।অনেকে বলে না আমার এই খাবার টা প্রিয়, ওই খাবার টা প্রিয়।আমার এরকম কোন প্রিয় ট্রিয় নেই বাপু।মজা হলে সব খাবার ই আমার প্রিয় লাগে।মাগার মজা না হলে বেহেশতের অমৃত হইলেও আমার মুখে রোচে না।তাহলে একটা ঘটনা বলি শুনুনঃ
আমার খুব পছন্দের একটা খাবার আইটেম হল চা এর ভিতর দিয়ে কেক ভিজিয়ে খাওয়া।একদম ছোট বেলা থেকেই।তো আব্বার সাথে তার এক কলিগের বাসায় গিয়েছিলাম আমি,আব্বা আর আমার মেজো বোন।আব্বা যেহেতু অডিট অফিসার ছিলেন তাই তার বন্ধু ও অডিট অফিসার।আমরা গরিব হলেও উনিরা খুব বড়লোক ছিলেন। বাসায় গিয়ে দেখি সেখানে এলাহী কান্ড। আমরা একটু বসতেই উনিরা আমাদের জন্য এক টেবিল নাস্তার ব্যাবস্থা করে ফেললেন।আর তার মধ্যে আমার প্রিয় চা কেক ও ছিল। কেক টাও বেশ মজার ছিল।কিন্তু এতো বড়লোকের বাসায় গিয়ে কেক দিয়ে চা কেমন যেন লাগতে লাগল।লজ্জা শরম ভেঙে অতঃপর আমি খেতেই লাগলাম।কিন্তু খাওয়ার এক পর্যায়ে কেক টা একটু বেশী ভিজে টুপ করে চা এর ভিতর পড়ে গেল।আমি ও নাছোড়বান্দা, ওই পড়ে যাওয়া কেক আমি খাবোই।ওই আংকেল টা কি কারণে যেন ভেতরে গেল আর আমি সাথে সাথেই চা টুকু শেষ করে তর্জনী দিয়ে কেক টা উঠিয়ে খাবো এমন সময় ওই আঙ্কেল টা চলে আসে।তাতে কি আমার।হুজ কেয়ার?আমি খেয়েই ফেলে এমন একটা রাজকীয় হাসি দিলাম যে সবাই হেসে উঠল।ঘটনাটি মনে করে আমি আর আমার ভাগিনা ভাগ্নি এখনো হাসি।
আরো আছে।
আমাদের বাসায় যেদিন তরকারী মজা হয়,তা যেকোন তরকারি হোক না কেন আমি সেদিন দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত অন্তত ৩-৪বার ভাত খেয়ে ফেলি।ভাত খেয়ে খেয়ে মাশাআল্লাহ্ আমার স্বাস্থ্যটা ও বেশ হয়েছে।
আর আমার সবচেয়ে পছন্দের খাবার হল মিষ্টি জাতীয় কিছু।তা চমচম,রসগোল্লা, দই,পায়েস কিংবা রসমালাই যাই হোক না কেন।আমার খালি খাইতে মন চায়।মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে এগুলীকে সারা শরীরে মাখিয়ে নিই।ইচ্ছে হলে যেকোন সময় টুপ করে খেয়ে নিতে পারব।এটা যখন আমার কাজিন দের বলছিলাম তারা আমাকে নিয়ে কি পরিমাণ হেসেছিল তা বলাবাহুল্য।
এগুলা তো আমার খাওয়া নিয়ে ঘটনার বিন্দু মাত্র।কিন্তু আজ আর বলব না।
আজ আসছি।অন্য কোন দিন আরো হবে।