কি লিখবো ঠিক বুঝে উঠতে পারছিনা। কিন্তু কিছুতো একটা লেখা দরকার। যেমন ধর আমি তোমাকে ভালবাসি টাইপ কিছু একটা। কিন্তু তোমারতো তাতে কিছু আসবে যাবে না। হ্যাঁ আমি জানি তুমি বড্ড ক্লান্ত। তোমার ক্লান্তি ঘোচানোর সামর্থ্য আমার নাই।বরং তোমাকে আমি আরও বেশী ক্লান্ত করতে পারি। হেঁটে চলাই যে আমার নেশা। আমি থামবো কি করে?হ্যাঁ আমি ভীষণ স্বার্থপর। এই দুনিয়ার সবাই খুব স্বার্থপর। ধর একজন মহাপুরুষ তার জীবন সে উৎসর্গ করল অন্যের জন্য সেখানে তার স্বার্থ নাই??? আছে সেখানে তার স্বার্থ তার ভাললাগা। তার মানুষের উপকার করতে ভাললাগে তাই সে সেটা করে। সুতরাং তার ভাললাগা থেকেই সে কাজ করছে। না না মহাপুরুষ না!! না তা হওয়ার কোন ইচ্ছা আমার নেই। আমি খুব ভাল করেই জানি সেরকম কোন যোগ্যতা আমার নাই। আমি একজন মিথ্যাবাদী, স্বার্থপর, ভন্ড। আমি মানুষের খুব কাছে গিয়ে তারপর তাকে আঘাত করি। তুমিই বল আমি মহাপুরুষ হব কি করে? I want to be a typical guy. যে মেয়ে দেখলে টিজ করবে, বন্ধুদের সাথে টাকা-পয়সা নিয়ে ঝগড়া করবে, মাসে মাসে গার্লফ্রেন্ড বদলাবে, মেয়েদের নিয়ে আজেবাজে কথা বলবে, যাকে দেখলে মেয়েরা বলবে রাফ এন্ড টাফ ছেলে। Yes! Yes!! I want to be a typical guy. যে কিনা বন্ধুদের টাকা খসানোর চেষ্টা করবে, যে গার্লফ্রেন্ডের কাছ থেকে টাকা নেয়ার ধান্দা করবে, তারপর আবার বন্ধুবান্ধবের কাছে বলবে আমি আমার গার্লফ্রেন্ডের কাছ থেকে এত টাকা খসিয়েছি। দেখ একদিন আমি ঠিকই typical ছেলে হব। আমি জানি আমি খুব অসাধারন কেউ নই। শুধু ভাব ধরে থাকি আমি। Sometimes I talk very big. I know! I know!!. কিন্তু কি করব বল? আমার type টাই এরকম। একটা কবিতা শোন, কবিতাটি কোথায় পড়েছিলাম মনে নেই।
পৃথিবীর কাছে আমি ভয়ংকর বিস্ফোরন।
কেবল তোমার কাছে এলেই দুধের বালক।
কেবল তোমার কাছে এলেই,
ফুটপাতের নুনো ভিখারী একপয়সা
কিংবা একটুকরো পাউরুটির বেশি
আর কিছু চেয়ে নিতে পারিনা।
তুমি জেন আমি একদিন
তোমার সর্বাঙ্গের শাড়ি টান মারব!!
ভিখারীদের কি ডাকাত হতে ইচ্ছে করেনা??
আমার আজকের চিঠি তোমাকে কতটা কি দেবে আমি জানিনা। সুমনের একটা গান শুনেছ?? “বুকের ভেতর বৃষ্টি পড়ে, ঝরছে তোমায় ভাঙ্গার ইচ্ছে, ঝরছে তোমায় পাওয়ার ইচ্ছে। সঙ্গে তুমি নেই বলে বৃষ্টি আমায় দিচ্ছে সঙ্গ।” আমার একাকিত্ত্বতাই আমার সঙ্গী। আমারও বৃষ্টি আছে।আমার বৃষ্টি রঙহীন পানি ছাড়া আর কিছুই না, তবে এর স্বাদ বড় নোনা।এই নোনতা পানির স্বাদ নিতে নিতে আমিও তোমার মত ক্লান্ত। তোমাকে আগের মত হতে বলার কোন অধিকার আমার আছে বলে আমার মনে হয় না। তাই তা হতেও বলছি না। তবে নির্মলেন্দু গুণের একটা কবিতা শোন
আমি বলছিনা ভালোবাসতেই হবে, আমি চাই
কেউ একজন আমার জন্য অপেক্ষা করুক,
শুধু ঘরের ভেতর থেকে দরোজা খুলে দেবার জন্য।
বাইরে থেকে দরজা খুলতে খুলতে আমি এখন ক্লান্ত।
আমি বলছিনা ভালোবাসতেই হবে, আমি চাই
কেউ আমাকে খেতে দিক। আমি হাত পাখা নিয়ে
কাউকে আমার পাশে বসে থাকতে বলছিনা,
আমি জানি এই ইলেকট্রিকের যুগ নারীকে মুক্তি
দিয়েছে স্বামী সেবার দায় থেকে। আমি চাই কেউ
একজন জিজ্ঞাস করুক; আমার জল লাগবে কিনা
নুন লাগবে কিনা। এঁটো বাসন, গেঞ্জি-রুমাল আমি
নিজেই ধুতে পারি।
আমি বলছিনা ভালোবাসতেই হবে, আমি চাই
কেউ একজন ভেতর থেকে আমার ঘরের দরজা
খুলে দিক। কেউ আমাকে কিছু খেতে বলুক।
কাম বাসনার সঙ্গী না হোক, কেউ অন্তত আমাকে
জিজ্ঞেস করুক; তোমার চোখ এত লাল কেন?
তাইতো পলাতক আমি আবার ফিরে গিয়েছি তোমারই দুয়ারে। দরজার ওপাশ থেকে দেখে আমার এই ফিরে যাওয়া তোমাকে অনেক আনন্দ দিচ্ছে আমি তা জানি। তোমার ভালোবাসার কাছে আমি পরাজিত। এই আনন্দে বিভর তোমার আমার দিকে ফিরে তাকানোর সময় নাই।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১০:০৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




