somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যৌন নির্যাতনের নাটক ও পহেলা বৈশাখ

১৭ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আসাদ্জ্জুামান নূর (বাকের ভাই) সাংস্কৃতিক মন্ত্রী হওয়ার পর আমাদের পুরো দেশটাকেই তিনি নাটকের মঞ্চে রুপান্তরিত করেছেন। তিনি বোধহয় অতি শীঘ্রই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সাংস্কৃতিক মন্ত্রী হিসেবে নবেল প্রাইজ পেতে যাচ্ছেন। নিদেন পক্ষে অস্কার কিংবা তারচেয়ে ছোট ভারতের আনন্দ পুরস্কার।

একটা কিছু উনার পাওয়াটা একেবারে মাষ্ট হয়ে গিয়েছে। জানতে চাইতে পারেন কি কারণে তার এত পুরস্কার পেতে হবে? এবার আসুন এক এক করে উনার আমলে আমাদের সংস্কৃতিতে যে নুতন নুতন ধারার প্রচলন হচ্ছে তা যাচাই বাছাই করি। প্রথমেই ধরা যাক সর্বশেষ যে বিষয়টি, ১লা বৈশাখের নারী নির্যাতন। ঐ নির্যাতনকে নারী নির্যাতন না বলে বলা হচ্ছে যৌন নির্যাতন বিষয়টাকে আরো বেশী সেনসেটিভ কিংবা স্পর্শকাতর করার নিমিত্তে।
গত বৎসর ১লা বৈশাখে তিনি আয়োজন করেছেন বাংলাদেশের মাটিতে পুলিশি নিরাপত্তার মাধ্যমে সমকামীদের দ্বারা প্রথম শোভাযাত্রা (Click This Link)
এ বছর বই মেলার সময় অভিজিৎ হত্যা কান্ড (Click This Link)

এহেন আরো অনেক ভালো ঘটনা যা ঘটার সাথে সাথে একদল সমমনা মিডিয়া পক্ষে বিপক্ষে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে তবে পরিষ্কার অনুধাবন করা যায় যে ঐ সব ঘটনার তদন্তের কোন সুরাহা কষ্মিনকালেও দিনের আলোতে প্রকাশ পাবে না। যেমন ইলিয়াস আলীর গুম, সাগর রুনীর হত্যাকান্ড, হরতালের সময় জীবিত মানুষ পুড়িয়ে মারা, ৫৭ জন অফিসারের নির্মম হত্যাকান্ড, বইমেলায় অভিজিতের হত্যা, ১লা বৈশাখের নারী নির্যাতন। এ সব ঘটনার কোন ফলাফল জনগণ কখনোই জানতে পারবে না। যেমন বিশ্ববাসীকে কখনোই টুইন টাওয়ার ধবংসের মূল নায়কদের পরিচয় জানানো হবে না।কারণ হচ্ছে তদন্তকারী কর্তৃপক্ষই হচ্ছে ঐ সমস্ত কর্মকান্ডের নির্দেশদাতা। জনগণকে ধোকা দিয়ে রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জন হচ্ছে ঐ সকল কর্মকান্ডের মূল উদ্দেশ্য। এ এক ভয়ঙ্কর প্রবণতা, এ থেকে জনগণের মুক্ত হতে হবে যে কোন মূল্যে।

যে সব ঘটনা যেমন খুন/গুম, নারী নির্যাতন এ সবের ভিডিও ক্লিপ কিংবা এধরণের প্রচুর প্রমান থাকার পরেও তদন্তে কিছুই পাওয়া যায় না তখন বুঝে নিতে হবে ঐ সকল ঘটনার সূত্রপাতকারী কারা!!!

রাজনৈতিক স্বার্থ উদ্ধারের জন্য ঐ সকল ঘটনাকে বেশীরকম ভয়ংকর এবং মর্মান্তিক ভাবে সাজানো হয় এবং নিয়ন্ত্রিত মিডিয়াতে তা ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয়। যেমন অভিজিৎ হত্যা, ১লা বৈশাখের নারী নির্যাতন দুটোই ঘটানো হয়েছে পরিকল্পিতভাবে দিনের আলোয় প্রচুর সিসিটিভি ক্যামেরা ও নিরাপত্তা বেষ্টনির মধ্যে। প্রচুর ভিডিও ফুটেজ থাকা স্বত্তেও ঐ সকল ঘাতক/সন্ত্রাসীদের ধরা যাচ্ছে না, বাকীটুকু জনগণের বুঝে নিতে হবে ঐ সকল মর্মান্তিক ঘটনা সমূহ ঘটানো হয়েছেই দেশে তথাকথিত ইসলামী সন্ত্রাসীদের উপস্থিতি প্রমান দিতে।
বর্তমান দল গতবার ক্ষমতায় থাকার সময়ও রমনার বটমূলে বোমা বিষ্ফোরণ ও যশোরে উদীচীর অনুষ্ঠানে বোমা ফাটানোর মত ঘটনা হয় (Click This Link)। তখন দেখা যেতো যে হাসান ইমাম (ঘাদানিক) সকল বোমা বিষ্ফোরণের ঘটনার সময় উপস্থিত কিন্তু প্রতিবারই সে অল্পের জন্য বেচে যায়। কি আশ্চর্য ঐ সব ঘটনার তদন্ত ও কোনদিন দিনের আলো দেখতে পায়নি। এবার ১লা বৈশাখের নারী নির্যাতন বা যৌন নির্যাতনের ঘটনা বিশ্লেষণ করলে ঘটনাটি যে সম্পূর্ণ সাজানো তার হাজারটি প্রমাণ পাওয়া যায়। তার কয়েকটি প্রমান আপনাদের অবগতির জন্য উপস্থাপন করছি।

১. পরিস্কার ভিডিও ফুটেজ কিন্তু পুলিশ তাদেরকে কোন দিনও স্পর্শ করতে পারবে না।

২. প্রচন্ড ভীড়ে ছোটখাটো ঠেলা/ধাক্কা কিছু দুষ্টু ছেলে বা পুরুষ করতে পারে তবে দল বেধে নারীর উপর চড়াও হওয়া এদেশের ৯৮ ভাগ মুসলমানদের দেশে অসম্ভব। এটা হতে পারে কামসূত্রের দেশ ভারতে। বিষয়টি নিশ্চিতভাবেই পরিকল্পিত।

৩. আমরা যদি প্রশ্ন করি ঐ নারী নির্যাতকরা এত ভীড়ের মধ্যে একজন অবলা নারীকে বিবস্ত্র করে কি অর্জন করেছে? এদেশে ৯৮ ভাগ মুসলমানদের মান/শান ও মর্যাদার উপর কালিমা লেপন ছাড়া? টুইন টাওয়ার ধবংস করে ১৯ জন সৌদী ওয়াহাবী সন্ত্রাসী কি অর্জন করেছে,৭/৮ টি মুসলমান দেশ ধংশ করা ছাড়া? তবে বর্তমান বিশ্বের অধিকাংশ বিবেকবান মানুষ বুঝতে সক্ষম যে, মোসাদ, সি আই এবং সৌদী রাজবংশ, ঐ তিন চক্রই ঐ ঘটনার নায়ক ।উদ্দেশ্য পৃথিবী থেকে ইসলাম নামের ধর্মকে সমূলে উৎপাটন করা।

৪. বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ন্যাক্কারজনক ভাবে হিন্দুদের ক্ষমতায়ন করছে, দেশের অর্থনীতির নীতি নির্ধারকরা আজ হিন্দু, পুলিশ বিভাগে, প্রশাসনে এবং শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে তাদের উপস্থিতি ধারণাতীতভাবে বেশী। বর্তমান আমলে এদেশের স্কুল কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে হিন্দু শিক্ষক কর্তৃক মুসলমান মেয়ে নির্গৃহিত হয়েছে ব্যাপক হারে। অথচ ১লা বৈশাখের ঘটনা প্রমান করে মুসলমানেরা নারীদের নির্যাতন করে আর তিনজন সনাতন ধর্মের( মালু) ছেলে জানবাজী রেখে তাদেরকে রক্ষা করে। এ যেন এক পাগলের পাগলামী “র” পরিচালিত এহেন বাজে নাটক ও আমাদের বিশ্বাস করতে হবে? বাঙ্গালী মুসলমানদের এত মূর্খ ভাবাটা তাদের বোধহয় ঠিক হয়নি।

৫. তাদের উদ্দেশ্য কি তা আমরা পরিস্কার বুঝে নিয়েছি। চোখের আড়ালে এদেশের সকল গুরুত্বপূর্ণ পদ সমূহ হিন্দুদের দখলে চলে যাচ্ছে। আর তাদের দ্বারা অবিরত মুসলমান নারী নির্যাতনের কারণে জনগণের অন্তরে যে ঘৃণার সৃষ্টি হয়েছে তা থেকে মুক্ত হওয়া এবং এদেশের হিন্দুদের ভাবমূর্তি উন্নয়নের জন্যই এই নাটক সাজানো হয়েছে।

৬. যে এই ঘটনার হিরো / নাটের গুরু তার নাম হচ্ছে লিটন নন্দি সে এবং তার দল সংঘবদ্ধভাবে এই নারী নির্যাতনের নাটক সাজিয়েছে। ঘটনা পরবর্তী তার (বক্তব্য) ভিডিও মনযোগ দিয়ে ২/৩ বার দেখলেই বুঝা যায় যে সে কত বড় শয়তান। ( https://www.youtube.com/watch?v=2I0Q4D1Hv4M )

৭. টি এস সির ঘটনার ভিডিও দেখলে বুঝা যায় যে ঐ লিটন নন্দীকে এদেশের নারীদের ত্রানকর্তা হিসেবে পরিচয় দেওয়ার চেষ্টা চলছে। আর এক মুসলমান অবলা নারীকে উলঙ্গ করে ছবি তুলে ইসলামকে হেয় করা হয়নি বরং বাংলদেশের সব ধর্মের মানুষদেরকে বেঈজ্জতি করা হয়েছে। এই ভিডিও আপলোডকারীকে চরম শাস্তি দেওয়া প্রয়োজন। কোন মুসলমান মা বোনের এহেন ছবি ইন্টারনেটে আপলোড করতে পারে না।

৮. ভিডিওটি লিটনকে হিরো বানাতে সচেষ্ট অথচ আফসুস একদল কুলাঙ্গার ভিড় করে ওর সাজানো বক্তৃতা শুনতে থাকে। তাদের মধ্যে থেকে কেউ অথবা লিটনই নিজেই হয়তো সেই ভিডিওটি আপলোড করেছে।

৯. ২টি হিন্দু মেয়েকে দিয়ে তৈরী করা হয় অপর একটি ভিডিও, যার মাধ্যমে তারা চেষ্টা করেছে ঘটনাতে বাস্তবতা আনতে ।অথচ সবই সাজানো, সবই মিথ্যা। দুই মালু মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই জানা যাবে তাদেরকে কে নির্দেশ দিয়েছে ঐ ভিডিও করতে। [ লিংক: https://www.youtube.com/watch?v=1nRf5HVPd2I ]

উপসংহারে এই দেশের ৯৮ ভাগ মুসলমানদেরকে অনুরোধ করবো যে এই দেশের মুসলমানরা অতি দ্রুত এক ভয়ংকর দূর্গতির দিকে ধাবমান, প্রতিবাদ স্বরুপ অন্তত লিখাটা যতবেশী শেয়ার করা সম্ভব, তা করুন। আমাদের মাবোনদের ইজ্জত আমাদেরকেই রক্ষা করতে হবে। ঐ লিটন নন্দী , কিংবা তার মত শিবলিংগ পুজারীরা কখনোই মুসলমান নারীদের ইজ্জতের রক্ষক হতে পারে না। মহান আল্লাহ পাক এদেশের মুসলমানদের অন্তরে সত্য মিথ্যা যাচাই করার তৌফিক দান করুন। আমিন।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মে, ২০১৫ রাত ১০:৪৯
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইল বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ০৩ রা মে, ২০২৪ সকাল ৮:০২

গাজায় হামাস উচ্ছেদ অতি সন্নিকটে হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক ও লসএঞ্জেলসে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছিল। আস্তে আস্তে নিউ ইয়র্ক ও অন্যান্ন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভকারীরা রীতিমত তাঁবু টানিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল।


... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯


মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×