somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গ্রাম নিয়ে কিছু কথা...!

০৭ ই মার্চ, ২০১১ রাত ২:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


মানুষ ও মানুষের জীবন একটি নির্দিষ্ট তরীর মধ্যে সীমাবদ্ধ।মৃত্যু অবধি এ তরী থামার নয়।অনেকে অনেক সময় ভূল কিংবা অনিয়মের বসবর্তী হয়ে “জীবনের বিরতি” শব্দটা ব্যবহার করে থাকেন।যা কখনো,কোন অবস্থাতেই গ্রহনযোগ্য নয়।তবে জীবনের স্মৃতি কথাটি চিরন্তন সত্য এবং বাস্তব।তার পরও দেখি না কিছুটা অবাস্তব আর অনিয়মের বসবর্তী হয়ে জীবন যুদ্ধে একটু জিরিয়ে দেখি না ফেলে আসা সে সব স্মৃতি কতটুকু যুক্তিযুক্ত ও ফলপ্রসু ছিল।জীবনটাকে দুভাবে সংজ্ঞায়িত করা যায়।একটা স্মৃতি আর সময় বৃত্তিক।আপনি যদি জীবনটাকে স্মৃতি বৃত্তিক সংজ্ঞায়িত করেন দেখবেন জীবনটা অনেক দীর্ঘ।আর যখন সমকে প্রাধান্য দিয়ে যখন সংজ্ঞায়িত করবেন দেখবেন জীবন কত সংক্ষিপ্ত।আমি একথা হলপ করে বলতে পারি এই দীর্ঘ কিংবা সংক্ষিপ্ত জীবনটা সেই মজার মজার স্মৃতিতে পরিপুর্ণ করতে পেরেছে যে কিনা গ্রামের সবুজ প্রাকৃতিক পরিবেশে তার শৈশব অতিবাহিত করেছে।গ্রাম আর শহরের মধ্যে প্রধান পার্থক্যই হল প্রকৃতি।এই ধরুন আমাদের দেশের বিখ্যাত কবি কিংবা লেখকেরা গ্রাম এবং গ্রামের সবুজ প্রাকৃতিক পরিবেশকে তাদের লেখনি সিনহভাগ প্রাধান্য দিয়েছেন।আবার অন্যভাবে বিশ্লেষণ করলে এই গ্রাম ছাড়া কিন্তু সাহিত্যের অস্থিত্ব খুজে পাওয়া যাবে না।ধরুন,সাহিত্য এবং সষ্কৃতি একটি গানিতিক রাশি।তাহলে দেখবেন সাহিতা + সষ্কৃতি = অসীম।কিন্তু এই অসীম মান থেকে যদি আপনি একটা ছোট্ট শব্দ গ্রাম বাদ দেন তাহলে দেখবেন রাশির মান শূন্যে নেমে এসেছে।

আমি আমার নিজের শৈশব সম্পর্কে এটুকূ গর্ব করে বলতে পারি বেশ মজার ছিল আমার শৈশব।কারণ আমি আমার শৈশব কাটিয়েছি গ্রামের পথে-প্রান্তরে,মাঠে-ঘাটে,গাছে-বাশে।আমার বাড়ীর এমন কোন গাছ ছিল না যেটাতে আমি উঠিনি।আর আমাদের গ্রামের একটা মজার ব্যপার ছিল সব কিছুতেই ভিন্ন ভিন্ন খেলা।সব কিছু মিলে বেশ হৈ-হুল্লুড করে শৈশব কাটিয়েছি।সেখানে কোন অপ্রাপ্তি কিংবা অপরিপূর্ণতা ছিল না।কানায় কানায় পরিপূর্ণতা আর অসীম প্রাপ্তির সমন্বয়ে আমার শৈশব।তখন যদিও এসবের তেমন মূল্যবোধ বুঝতাম না।কিন্তু জীবনের এই সময়টাতে এসে পেছনে ফেলে আসা স্মৃতি মনে করতেই অকপটে ভেসে উঠে শৈশবের সময়টা।শৈশবের স্মৃতির কাছে বাকী সব।

গ্রামের সবুজ পল্লীতে যার শৈশব কাটিয়েছেন সেই ব্যক্তি যত বড়ই হোক না কেন,তার অবস্থান যেখানেই হোক সে বারেবারে চাইবে তার গ্রামের সবুজ প্রকৃতিতে ফিরে সাতে।তাইতো বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তি কবিরা তাদের কবিতায় প্রকাশ করেছেন গ্রামের প্রতি তাদের আকর্ষণ-
কবি মাইকেল মধুসুদন দত্ত সুদূর ফ্রান্সে গিয়েও শৈশবের সেই মধুর স্মৃতি মনে করে লিখেছেন
“সতত, হে নদ তুমি পড় মোর মনে!
সতত,তোমার কথা ভাবি এ বিরলে?”

জীবনান্দ দাশ লিখেছেন-
“আবার আসিব ফিরে,
ধানসিড়িটির তীরে,
এই বাংলায়।“


কবি আলমাহমুদের তিতাস কবিতার এই অংশটুকু প্রকাশ করে গ্রামের প্রতি তার মায়া-
জনপদে কী অধীর কোলাহল মায়াবী এ নদী
এনেছে স্রোতের মতো,আমি তার খুঁজিনি কিছুই।
কিছুই খুঁজিনি আমি,যতবার এসেছে এতীরে
নীরব তৃপ্তির জন্য আনমনে বসে থেকে পাড়ে
নির্মল বাতাস টেনে বহুক্ষণ ভরেছি এ বুক।“


আমাদের ব্যাক্তগত কিংবা জাতীয় জীবনে গ্রামের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি।এই গ্রামের প্রাকৃতিক কোন অংশের পরিবর্তন যুক্তিযুক্ত নয়।তাই আসুন আমদের স্ব স্ব অবস্থান হতে গ্রামের প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় সচেষ্ট হই।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মার্চ, ২০১১ রাত ২:৩৭
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×