আজ সেই ১৭ আগষ্ট, মনে পড়ে ২০০৫ সালের এই দিনটির কথা। বাংলাদেশে যে যেখানে অবস্থান করছিলেন, সেখানেই মূহুর্তের মধ্যে স্তব্ধ হয়ে পড়ে পুরো বাংলাদেশ যখন ‘জেএমবি’র’ সদস্যরা 'সিরিজ বোমা হামলা' করে সারা দেশে একযোগে প্রায় ৫০০ বোমা ফাটিয়ে এক ভীতিকর অবস্থা তৈরী করে। একবার ভাবতে পারেন, মানুষ কত অসহায় ছিল এদের মত নরপিশাচদের কাছে, তাদের উদ্দেশ্যই বা কত বড় সবাইকে তারা নত করবে তাদের মত কাপুরষদের সামনে।
পবিত্র ধর্ম ইসলামকে পুজি করে এসব ধর্মান্ধরা ‘আল্লাহর আইন কায়েমের’ দাবি জানিয়ে যে মানুষ হত্যার খেলায় লিপ্ত হয়েছিল তাতে আমাদের দেশ, জাতিকে কলুষিত করেছিল। একজন মুসলমান হয়ে আমার যতটুকু জ্ঞানের প্রয়োজন ছিল হয়তবা আমি তেমন বিশেষ কিছু অর্জন করতে পারিনি কিন্তু এতটুকু সত্য উপলব্ধি করতে পারি ইসলাম কখনো কাউকে কোন কিছুতে চাপিয়ে দেয়নি। কখনো জোরজবরদস্তি করেনা। কিন্তু ধর্মান্ধ কিছু দল, সংগঠন ইসলামের নামে অপপ্রচার চালিয়ে, ইসলামকে ভর করে মানুষের উপর কিছু চাপিয়ে দেবার প্রয়াসে হত্যাযজ্ঞে মেতেছিল। তারই এক সফল অভিযান ছিল আজ থেকে ২বছর আগের এই দিনটি।
হতে পারত, সেদিন বহু প্রাণহানি, কিন্তু তারা তা করেনি, কেন তা করেনি সে কারণ আমাদের জানার কথাও না, তবে যে উদ্দেশ্যে করেছিল সেটাই সবাইকে আগাম সতর্ক করে দেয়া ছাড়া আর কিছুই ছিলনা।
আমাদের এটা ভুললেও চলবেনা ৬ শীর্ষ জঙ্গির ফাসির পর দেশ থেকে জেএমবি বিলীন হয়েছে, অনুধাবন টা তখনই করি যখন মিডিয়াতে প্রায় দেখা যায় অস্ত্র, গোলাবারুদ সমেত জেএমবির সদস্যদের গ্রেফতারের সংবাদ।
দেশ ও জাতির কাছে আমাদের সাধারণদের চাওয়া খুব বেশী নয়, মাত্র মৌলিক অধিকারগুলো পুরণে প্রানন্তকর প্রচেষ্টা, কিন্তু সব সাধ্যির পূরণ ঘটাতে যখন ব্যার্থ তখন কি জাতির কাছে শুধু নিরাপদ বেচেঁ থাকার আশাটুকু করতে পারিনা?
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই আগস্ট, ২০০৭ বিকাল ৪:৪৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


