somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইন্টারেস্টিং ইতিহাসঃ কতিপয় হাস্যরস

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

(লেখায় মৃদু হাসির ট্যাগ প্রযোজ্য)

খোশমেজাজে আছি। লিখতে বসেছিলাম। কিন্তু বিটকেল প্রকৃতির খোশমেজাজে থাকায় গল্প লেখা যাচ্ছে না। তাই বিখ্যাত কিছু রসময় ঘটনা তুলে আনলাম আরকি। সম্ভবত কমন পড়বে না।

১. জুলিয়াস সিজার কৈশোরে জলদস্যুদের হাতে বন্দি হয়েছিলেন। তারা মুক্তিপণ চেয়ে তাঁকে আটকিয়ে রাখে। মজার ব্যাপার হল, তাঁদের চাওয়া মুক্তিপণের পরিমান শুনে সিজার অপমানিত হয়েছিলেন। তিনি তাঁদের অনুরোধ করেন টাকার পরিমান আরও বাড়াতে।

জলদস্যুরা তার কথা রেখেছিল।

বন্দিত্বের সময়ে সিজার দস্যুদলের সাথে তলোয়ার যুদ্ধ করে, কুস্তি লড়ে একসাথে সময় কাটাতেন। তাঁদের সাথে তাঁর কথার অন্যতম টপিক ছিল - যখন সিজারের বন্ধুরা টাকা নিয়ে আসবে আর দস্যুরা তাঁকে ছেড়ে দেবে, কিভাবে তখন তিনি নৌবহর নিয়ে আবার ফিরে আসবেন, আর দস্যুদের সবকটাকে মেরে ফেলবেন, তাঁদের মাথা বর্শায় গেঁথে দেশে নিয়ে যাবেন ইত্যাদি ইত্যাদি। দস্যুদের হাস্যরসের অন্যতম উৎস ছিল তাঁর এসব দাম্ভিক উক্তি।

আর হ্যাঁ, তিনি তার কথা রেখেছিলেন।

রাঝাস অফ দ্য স্টোরিঃ যারা কথা দিয়ে কথা রাখে, তারা বিপদজনক ব্যক্তি। এদের থেকে দূরে থাকাই উত্তম!


২. আর্নেস্ট এডওয়ার্ড কামার (১৮১০-১৮৯৩) একজন জার্মান বীজগণিতবিদ ছিলেন। তাঁর পাটিগণিত জ্ঞান ছিল শোচনীয় পর্যায়ের। যখনি সামান্য পাটিগণিত করার দরকার হত, তিনি ছাত্রদের কাছ থেকে সাহায্য নিতেন।

তো একবার ৭ গুণ ৯ কত হয় তা বের করতে গিয়ে কামার সমস্যায় পড়ে গেলেন। আশেপাশে কোন ছাত্রও নেই।

'সাত গুনন নয়...আম...ইয়ে, মানে এটা হল...আচ্ছা, ফল তো ৬০ থেকে ৭০ এর মাঝে হবে। ৬১ হবে না, কারণ এটা প্রাইম, ৬৫ পাঁচের গুনিতক-তাই এটাও না, ৬৭ প্রাইম, ৬৯ বেশি বড়, হুমম...কেবল ৬৩ বাদ থাকে!


৩.একবার কয়েকজন চোর থিওডর রুজভেল্টের নৌকা চুরি করে। তখন শীতকালের শেষের দিক। রুজভেল্ট চোরদের পেছন পেছন তাড়া করলেন। তার সঙ্গী ছিল একটা উইনচেষ্টার রাইফেল আর একটা বই- 'আনা কারেনিনা'। নদীপথে কদিন ফলো করে তিনি তাঁদের বন্দুকের মুখে আটক করতে সক্ষম হন। কিন্তু সমস্যা হোল, সবচে কাছের কোর্টটাও ৪০ মাইল দূরে, তাও আবার স্থলপথে।

সুতরাং রুজভেল্ট কাছের বন্দরে নৌকা ভিড়ালেন, চোরগুলোকে একটা ওয়াগনে বসিয়ে স্ট্রেট ৪০ মাইল তাদেরকে পাহারা দিয়ে দিয়ে নিয়ে গেলেন আদালতে। এখানে বুঝতে হবে, তার একমাত্র ক্ষমতা ছিল বন্দুক। চোরেরা ছিল ৪ জন। একটু সুযোগ পেলে রুজভেল্টকে মেরে পালিয়ে যেতে তাঁদের সামান্যমাত্র দ্বিধা হত না। কি সাহস আর দৃঢ়তা!

কিন্তু সেটাও কথা না। এই সময়টুকুতে রুজভেল্ট সাথে যে বইটি এনেছিলেন, 'আনা কারেনিনা', তা সম্পূর্ণ পড়ে শেষ করেন। দু বার।

রাঝাস অফ দ্য স্টোরিঃ স্বাভাবিক জীবনে আনা কারেনিনা পড়ে শেষ করা সম্ভব না। ইট নিডস কমপ্লেক্স এনভায়রনমেন্ট।


৪. বক্তৃতায় অতিরিক্ত কথা বললে শ্রোতার মনোভাব কি হতে পারে সেটা মার্ক টোয়েনের এই কাহিনি থেকে বোঝা যায়ঃ

মার্ক টোয়েন গির্জায় গেছেন। সেখানে ফাদারের ধর্মোপদেশ তিনি মনোযোগ দিয়ে পাঁচ মিনিট শুনলেন। কথাগুলো তাঁকে এতই মোটিভেট করল যে, টোয়েন কাঁদোকাঁদো হয়ে গেলেন, ঠিক করলেন পকেটের পুরো ৫০ ডলার তিনি গির্জায় দেবেন।

দশ মিনিট পর, তার মনে হতে লাগল পাদ্রীর কথা কেমন জড়ানো জড়ানো। বিরক্ত হয়ে তিনি ঠিক করলেন, না, এই ব্যাটাকে এত দেয়া যায় না, ২৫ ডলার দেব।

আধ ঘণ্টা পরে, পাদ্রীর একঘেয়ে কণ্ঠস্বর তার মাথাব্যথা ধরিয়ে দিল। তিনি অস্থির হয়ে আশেপাশে এদিক ওদিক তাকালেন, নিঃশব্দে শিস দেবার জন্য ঠোঁট গোল করতে গিয়ে এক বৃদ্ধার কাছে উরুতে চিমটি খেলেন। ঊরু ঘষতে ঘষতে ভুরূ কুঁচকে টোয়েন অঙ্কটা ৫ ডলারে নামিয়ে আনলেন।

এক ঘণ্টা পর, পাদ্রীর নসিহত শেষ হলে হাতে হাতে ঘুরে যখন দানপাত্র টোয়েনের হাতে এলো, তখন টোয়েন কি করলেন?

উল্টো চুপিসারে পাত্র থেকে ২ ডলার মেরে দিলেন।


৫. শৈশবে মুসোলিনিকে বোর্ডিং স্কুলে পাঠানো হয়েছিল। তিন মাস পর তাঁকে এক্সপেল করে দেয়া হয়।

অপরাধ?

আরেকজন ছাত্র তাঁর গ্লাসের পানি ফেলে দেওয়ায় এই মহান ব্যক্তি তাঁর হাতে ছুরি বিঁধিয়ে দিয়েছিলেন।

রাঝাস অফ দ্য স্টোরিঃ হোস্টেল লাইফ চোষে।


৬. একদিন সকালে লন্ডন মেডিকেল কলেজের বিখ্যাত ডাক্তার, ডঃ জেনিংস খবর পেলেন তাঁকে রাজার ব্যক্তিগত চিকিৎসকের পদে নির্বাচন করা হয়েছে। তিনি গর্বের সাথে তার ক্লাসরুমের ব্ল্যাকবোর্ডে লিখলেন,

'প্রোফেসর জেনিংস আনন্দের সাথে তার ছাত্রদের জানাচ্ছেন যে, তাঁকে মহামান্য রাজা জর্জের ব্যক্তিগত চিকিৎসকের পদের সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে।'

বিকালে ক্লাসরুমে এসে তিনি তার লেখার নিচে আরেকটা কথা বড় বড় করে লেখা দেখতে পেলেন,

'গড সেভ দ্য কিং'!


৭. বিটলস ব্যান্ডের নাম তো সবার পরিচিত। তো এই বিটলস ব্যান্ড প্রথমদিকে জার্মান ভাষায় কিছু গান বের করেছিল। পরবর্তীতে, খ্যাতি লাভের পরে জন লেননকে যখন প্রশ্ন করা হল- কেন তারা জার্মান ভাষায় গান লিখেছিলেন, তাঁর উত্তর-

"Because we thought only the Germans were stupid enough to buy our shit."

রাঝাস অফ দ্য স্টোরিঃ শিট শব্দের একাধিক অর্থ বিদ্যমান।


৮. দার্শনিক হল্যান্ডার বউয়ের বকা খেয়ে অত্যন্ত হতাশ মনে তার কুকুরকে বলেছিলেন (রস বাঁচিয়ে রাখতে তার ভাষাতেই দিলাম)

"You vas only a dog, but I vish I vas you. Ven you go your bed in, you shust turn round dree times and lie down; ven I go de bed in, I haf to lock up the blace, and vind up de clock, and put out de cat, and undress myself, and my vife vakes up and scolds, and den de baby vakes and cries and I haf to valk him de house around, and den maybe I get myself to bed in time to get up again.

"Ven you get up you shust stretch yourself, dig your neck a little, and you vas up. I haf to light de fire, put on de kiddle, scrap some vit my vife, and get myself breakfast. You be lays round all day and haf blenty of fun. I haf to vork all day and have blenty of drubble. Ven you die, you vas dead; ven I die, I haf to go somewhere again."


৯. উইনস্টন চার্চিল মোটামুটি একজন ঘাড়ত্যাড়া লোক ছিলেন। আর তৎকালীন মহিলা সমাজে তিনি যে নামে পরিচিত ছিলেন তাঁর ভালো বাংলা হয় - বুড়ো ভাম!(বি.দ্রঃ কেউ বলতে পারেন এই 'ভাম' শব্দটার উৎপত্তি কোথায়?)

তো একবার চার্চিল ট্রেনে উঠেছেন। এক মহিলা ঢুকলেন তাঁর ক্যারেজে। ঢুকেই দেখেন চার্চিলের পোস্টঅফিস হা করে খোলা, আর পোস্টমাস্টার উঁকিঝুঁকি মারছে। মহিলা আঁতকে উঠে বললেন, মিঃ চার্চিল! আপনার ইয়ে তো বেরিয়ে আছে!

চার্চিল আধঘুম থেকে জেগে উঠে প্রথমে ওখানে তাকালেন, তারপর একটা হাই তুলে বললেন, ম্যাডাম, মাফ করবেন। আমারটা তো স্রেফ কোনোমতে ঝুলে আছে!

আরেকবার চার্চিল রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন, যথারীতি চেন খোলা। এক পথচারী তাঁকে বলল, সার, আপনার চেন অর্ধেক খোলা। লাগিয়ে নিন। চার্চিল বললেন, 'হুমম, কিংবা হয়ত চেনটা অর্ধেক বন্ধ? আশাবাদী হও বন্ধু, আশাবাদী।' এই বলে চেন না লাগিয়েই আবার হাঁটা দিলেন।

রাঝাস অফ দ্য স্টোরিঃ চার্চিলের যুগে সুন্দরী মেয়ের অভাব ছিল।


১০. প্লেটো আরেকজন দার্শনিক ডায়োজেনিসের সাথে তার 'থিওরি অফ আইডিয়াস' নিয়ে আলোচনা করছিলেন। টেবিলের ওপরে রাখা কাপগুলোকে দেখিয়ে তিনি বলছিলেন, 'যদিও পৃথিবীতে বহু কাপ আছে, কিন্তু কাপের আইডিয়া বা 'কাপ'ত্ব একটাই। সেটা নির্দিষ্ট এবং সকল কাপের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য,তাই...'

ডায়োজেনিস বাধা দিয়ে বললেন, 'আমি কাপ তো দেখছি, কিন্তু কাপত্ব কই? সেটা তো দেখতে পাচ্ছি না?'

প্লেটো হাসলেন, 'কারণ কাপ দেখার জন্য তোমার চোখ আছে, কিন্তু (আঙ্গুল দিয়ে নিজের মাথা দেখিয়ে) কাপত্ব অনুভবের জন্য যে বুদ্ধি প্রয়োজন, তা তোমার নেই।'

ডায়োজেনিস কিছুমাত্র দমে না গিয়ে টেবিলের কাছে গেলেন, একটা কাপ হাতে তুলে কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণ করলেন, তারপর প্লেটোকে জিজ্ঞেস করলেন, 'কাপটা খালি, তাই না?'

প্লেটো সম্মতিসূচক মাথা নাড়লেন।

'তাহলে কাপের এই খালি থাকার আইডিয়া বা খালিত্ব কোথায়?', ডায়োজেনিসের প্রশ্ন।

প্লেটো মাথা নিচু করে ভাবতে লাগলেন, কিন্তু ডায়োজেনিস, বিন্দুমাত্র দেরি না করে প্লেটোর মাথায় টোকা দিয়ে বললেন, 'হ্যাঁ, এর অনুধাবনের জন্য প্রয়োজনীয় 'খালিত্ব' টা এইখানে, বুড়ো বাঁদর!'

রাঝাস অফ দ্য স্টোরিঃ দর্শন ভুয়া।


১১. পল ইরাডেস (হাঙ্গেরিয়ান গণিতবিদ, ১৯১৩-১৯৯৬) নিজের আবিষ্কৃত ভাষা দিয়ে কথা চালাতেন।

যা বলতেন ----------যা বোঝাতেন

* সুপ্রিম ফ্যাসিস্ট = স্রষ্টা (সংক্ষিপ্ত করে কখনো SF-ও বলতেন)
(সেই ব্যক্তি যে ইরাডেসের মোজা, চশমা, হাঙ্গেরিয়ান পাসপোর্ট লুকিয়ে রাখেন এবং ইচ্ছে করে গণিতের সমাধানগুলোতে ভুল ঢুকিয়ে দেন।)

*সরাসরি বই থেকে মেরে দেয়া = কোন থিওরেমের সুন্দর বা রাজকীয় প্রমাণ করা
(বই বলতে SF এর বই )

*বস = নারী

*দাস = পুরুষ

*স্বাধীনতা = ডিভোর্স

*স্বাধীনতা খোয়ান = আবার বিয়ে করা।

*এপসিলন = বাচ্চা পোলাপান, অপ্রাপ্তবয়স্ক।
(গানিতিক ভাষায় এপসিলন এর মানে 'খুব ছোট')

*ধর্ম প্রচারণা করা = কোন সেমিনারে ম্যাথ লেকচার দেয়া।

*বেঁচে থাকা = গণিত করা।

*মরে যাওয়া = গণিত না করা।

*আদিম মানব = যে গণিত করে না।

*ল্যাব ছাড়া = মরে যাওয়া।

*ল্যাবে ঢোকা = জন্মগ্রহণ করা।

*জো = USSR (জোসেফ স্তালিনের নামে )

*স্যাম = USA (আঙ্কল স্যামের নামে)

*স্যাম অ্যান্ড জো Show = আন্তর্জাতিক খবর

*নেড = অস্ট্রেলিয়া (নেড কেলি-র নামে, ঊনবিংশ শতাব্দীর বিখ্যাত অস্ট্রেলিয়ান ডাকাত)

*জেইনোস = হাঙ্গেরি (হাঙ্গেরির শাসকের নামে, ১৯৫৬-১৯৮৮)

*বৃহত্তম তরঙ্গদৈর্ঘ্য = কমিউনিস্ট (লাল বলে)

*ক্ষুদ্রতম তরঙ্গদৈর্ঘ্য = ফ্যাসিস্ট (লালের বিপরীত বলে)

*হৈচৈ = সঙ্গীত

*বিষ = মদ

*মাথা খুলে বসে আছি = গণিত করার জন্য প্রস্তুত হয়েছি।

*এটা জীবন্ত অবস্থায় কি ছিল? = এটা কিসের মাংস?

তাঁর অন্যতম অভ্যাস ছিল সারা বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কলিগদের কাছে যখন ইচ্ছা তখন কল করা। তিনি সবার ফোন নাম্বার মুখস্ত রাখতেন, কিন্তু কারো নাম মনে রাখতে পারতেন না। একমাত্র টম ট্রটার নামে এক ব্যক্তিকে তিনি নাম ধরে ডাকতেন, তাও ডাকতেন ভুল নামে, বিল বলে!

রাঝাস অফ দ্য স্টোরিঃ এনার মাথায় সিরিয়াস সমস্যা ছিল।


১২. হাঙ্গেরিয়ান গণিতবিদ ফ্রিজেস রাইৎস লেকচারের সময় দুজন অ্যাসিস্ট্যান্টের সাহায্য নিতেন।

প্রথমজন জোরে জোরে রাইৎসের বই রিডিং পড়ত।

দ্বিতীয়জন তা শুনে শুনে ব্ল্যাকবোর্ডে লিখত।

আর রাইৎস বোর্ডের পাশে দাঁড়িয়ে সমঝদারের মত মাথা নাড়তেন!

রাঝাস অফ দ্য স্টোরিঃ এই কাহিনিতে কোন রাঝাস নাই। ফাঁকিবাজ শালা।


১৩. ''যে ব্যক্তি এক বছরের মাঝে এই সমস্যাটি, x^2 - 92y^2 = 1 সমাধান করতে পারে, সে একজন গণিতবিদ।''

গণিতবিদের সংজ্ঞা কি, এক ছাত্র এই প্রশ্ন করায় ভাস্করাচার্যের (প্রাচীন ভারতের শ্রেষ্ঠ গণিতবিদ) উত্তর।

রাঝাস অফ দ্য স্টোরিঃ আমি গণিতবিদ না।


১৪. পিচ্চি নিউটন তার মায়ের সাথে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গেছেন। চারপাশের অপরিচিত পরিবেশে নিউটন ভড়কে গিয়ে কান্না শুরু করে দিলেন। সান্ত্বনা দিয়ে তার মা বললেন, ভয় পাবে না বাবা, মনে রাখবে, সবসময় এঞ্জেলরা তোমার চারপাশে থাকে, ঠিক আছে? এই বলে তাঁকে শান্ত করে তিনি পাশের ঘরে গেলেন।

দুই মিনিট পার হতে না হতেই আবার কান্না! নিউটনের মা তাড়াহুড়ো করে নিউটনের কাছে গেলেন।

কি হল বাবা?

''হু, ফাজিল এঞ্জেলগুলা চারদিকে ভনভন করে, একটা দেখো আমার হাতে কামড়ও দিল!''

রাঝাস অফ দ্য স্টোরিঃ সব জাঙ্গিয়াই পূতিগন্ধময়*

*(লিখতে চাইছিলাম সব ঘরই মশাময়, কিন্তু বিজ্ঞ পাঠকের জন্য উপমাই যথেষ্ট)
** আর যারা রাঝাস এর অর্থ জানেন না, তাদের জন্য - রাঝাস মানে রাজহাঁস, যার শুদ্ধ বাংলা 'মরাল'। কবিতা পড়েননি,

'মরাল মরালী বসিয়া কাঁদিছে গাছেরও তলে
ক্রন্দসী রাই পুড়িয়া মরিছে আকুল বিরহানলে।'

(হু হু হা হা হা অট্টহাসির ইমো হইবেক)
৩৪টি মন্তব্য ৩৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×