মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘তোমরা নেকী ও পরহেযগারীতে সহায়তা করো।’ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, ‘ছবি আঁকনেওয়ালা ও আঁকানেওয়ালা, তুলনেওয়ালা ও তোলানেওয়ালা প্রত্যেকেই জাহান্নামী।’ বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহার করে পাসপোর্ট, আই ডি কার্ড তৈরি হচ্ছে। ছবি ছাড়া সহজেই বিশ্বমানের কার্যকরী শরীয়তসম্মত পাসপোর্ট, আই ডি কার্ড তৈরি করা সম্ভব। মুসলিম শাসকগণের উচিত ছবি পরিহার করে ফিঙ্গার প্রিন্ট সম্বলিত পাসপোর্ট , আই ডি কার্ড তৈরি এবং তা সমগ্র মুসলিম বিশ্বে প্রচলনে সহায়তা করা।
কাফিররা কল্যাণকর সকল কিছুই গ্রহণ করেছে, করছে মুসলমানগণদের কাছ থেকে। কিন্তু তারা মুসলমানগণের গৌরবমাখা বিষয়গুলো পরিকল্পিতভাবে চুপিয়ে রাখে।
মুসলমান খলীফাগণ পূর্বে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে ফিঙ্গারপ্রিন্ট পদ্ধতি ব্যবহার করতেন।
এমনকি এই ভারত উপমহাদেশেও প্রথম ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশারদ ছিলেন একজন মুসলিম। বর্তমানে এই নিয়ে উল্লেখযোগ্য গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে- অপরাধ সনাক্ত করার ক্ষেত্রে ফিঙ্গারপ্রিন্টের কোনো বিকল্প নেই। দিন দিন ছবির ব্যবহারের উপর একটি নেতিবাচক অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে। ছবি ডিজিটাল পদ্ধতিতে পরিবর্তন করা, ছবি প্রতিস্থাপন করা এসব একটি সাধারণ বিষয়ে পরিণত হয়েছে।
উল্লেখ্য সরকার ছবিযুক্ত ভোটার কার্ড বানানোর জন্য তোড়জোড় শুরু করলেও বাস্তবিকপক্ষে ছবিযুক্ত ভোটার কার্ডের কোনই গুরুত্ব নেই। যদি ফিঙ্গার প্রিন্টযুক্ত আইডি কার্ড করা হয় তাহলে সব কাজেই ব্যবহৃত হতে পারে। যারা ভোটার আই ডি কার্ড করবে সরকার তাদেরকে নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দেবে। কিন্তু ১৮ বছরের পূর্বে তো ভোটার আই ডি সরকার করেনা। তাহলে যাদের বয়স ১৮ বছর এর নিচে তারা কি এদেশের নাগরিক নয়? ফিঙ্গার প্রিন্টযুক্ত আইডি কার্ড হলে এ সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। মূলত: সরকারের ভোটার আই কার্ড তত্ত্ব যে অন্ত:সারশূন্য এবং অযৌক্তিক তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। তাই জনগনকে অযৌক্তিক , শরীয়ত বিরোধী একটা বিষয় ছাপিয়ে দেয়ার কোন মানে হয় না।
ছবির ব্যবহারে কোনো উপকার থাকলেও তা পরিহার করতে হবে যেহেতু সকল প্রকার ছবি তোলা, আঁকা, রাখা শরীয়তে হারাম। সুতরাং ৯৭ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এই বাংলাদেশসহ সকল মুসলিম দেশে ছবি ব্যতীত শুধু ফিঙ্গারপ্রিন্ট সম্বলিত পাসপোর্ট, আই ডি কার্ড ব্যবহার চালু হওয়া আশু প্রয়োজন।