এক তরুণী। যেমন রূপবতী, তেমনি মেয়েটির বাবা অনেক পয়সাওয়ালা। মেয়েটির ছেলেবন্ধুর কোন অভাব ছিল না। থাকার কথাও না, মেয়েটিকে বিয়ে করতে পারলে, রাজত্ব এবং রাজকন্যা দুটোই পাওয়া যাবে। মেয়েটির বিয়ের বয়স হয়ে গেছে। মেয়েটির বাবা একদিন মেয়েকে ডেকে বললেন, "দেখ মা, তোমার তো বিয়ের বয়েস হয়েছে, তুমি যাকে পছন্দ কর তার সাথেই আমি তোমাকে বিয়ে দেব।" মেয়েটি বলল, "বাবা আমি তো কাউকে সিলেক্ট করতে পারতেছি না। আমার অনেক বন্ধু, সবাই আমাকে বিয়ে করতে চায়। আমাকে না পেলে নাকি ওরা ওদের জীবন দিয়ে দেবে। এখন বলো আমি কাকে সিলেক্ট করবো আর কার মৃত্যুর কারন হবো।"
মেয়েটির বাবা একটি নির্দিষ্ট দিন সিলেক্ট করলেন এবং মেয়েটির সব ছেলেবন্ধুদেরকে নিমন্ত্রন করলেন। দেখা গেল নির্দিষ্ট দিনে শ'খানেক যুবক খুব পরিপাটি হয়ে মেয়েটির বাড়িতে হাজির। মেয়েটির বাবা সবাইকে নিয়ে বাড়ির সুইমিং পুলে গেলেন। সবার উদ্দেশ্যে বললেন, "তোমাদের একটা ছোট প্রতিযোগিতা হবে। সাঁতার প্রতিযোগীতা, যে প্রথম হবে তাঁর সাথেই আমার মেয়েকে বিয়ে দেব। কিন্তু সুইমিং পুলে নামার আগে সাবধান, ভাল করে তাকিয়ে দেখ, সুইমিং পুলে অনেকগুলো কুমির রয়েছে এবং এগুলোকে গত এক মাস যাবত কোন খাবার দেয়া হয়নি।" ভদ্রলোকের কথা শেষ হতে না হতেই দেখা গেল এক যুবক পানিতে পড়ে সাঁতার কাটছে এবং কুমিরগুলো কিছু বুঝে ওঠার আগেই সুইমিং পুলের ওপাশে চলে গেল। সবাইতো হতবাক। এ যুগেও এমন প্রেমিক আছে, যে প্রেমিকার জন্য জীবন দিতে পারে। মেয়েটি দৌড়ে গিয়ে ছেলেটিকে জড়িয়ে ধরল এবং বললো, "তুমি আমাকে এত ভালবাস? আমার জন্য নিজের জীবন বিসর্জন দিতে চাচ্ছিলে, তুমি সত্যিই হিরো।" ছেলেটি রাগে মেয়েটিকে ধাক্বা দিয়ে সরিয়ে দিল এবং গর্জন করে ওঠলো, "রাখ! তোমার ভালবাসা, কোন হারামজাদা আমাকে ধাক্কা দিল, তাকে আগে দেখে নেই।" ব্যস এক কথাতেই হিরো থেকে জিরো, রাজত্ব এবং রাজকন্যা হাতছাড়া। আমাদের বাঙ্গালীর অবস্থাও তাই। আমরা মাথা ঠান্ডা রাখতে পারি না। অল্পতেই ভাঙচোর এবং জ্বালাও পুড়াও শুরু করে দিই। অথচ ভাবি না আমরা আমাদের দেশের সম্পদকেই নষ্ট করছি।