somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

ক্যামেরার প্রতিবাদ
একটা কথা আমার কাছে ভাল লাগে। কথাটা একজন সাহিত্যিকের। তাকে একবার বলা হয়েছিল আপনি কেন বই এর বা গল্পের শুরুতে মুখবন্ধ লেখেন না যাতে লোকজন অল্পকথায় বুঝতে পারে তিনি বলেছিলেন যারা আমার পুরো গল্প পড়ে ঘটনা বুঝতে পারে না তারা আবার অল্প কথায় কিভাবে বুঝবে? তাই আমি ল

ইন্ডিয়ানদের কাছে বাংলাদেশীরা মানুষ না.........( প্রসঙ্গ সীমান্ত হত্যা)

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

চলতি বছর বিএসএফের হাতে এ পর্যন্ত নিহত ২৮ জন
সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশি হত্যা থামছে না


সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশি হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে ভারতের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে বিভিন্ন সময়ে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। গত জুলাই মাসে নয়াদিল্লিতে দুই প্রতিবেশী দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে রাজনাথ সিং এই আশ্বাস পুনর্ব্যক্ত করেন। এরপরও থামছে না সীমান্তে হত্যা। সর্বশেষ গতকাল রোববার ভোরে কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাহারুল ইসলাম নামে ২৫ বছরের এক তরুণ প্রাণ হারিয়েছেন। এ নিয়ে চলতি মাসে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে অন্তত পাঁচজন বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছেন।
সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সাবেক প্রধান ও কূটনীতিকদের মতে, সীমান্ত হত্যা বন্ধে ভারত প্রতিশ্রুতি দিলেও তাতে আন্তরিকতায় ঘাটতি আছে। কারণ সর্বোচ্চ পর্যায়ের আশ্বাসের উল্টোটা মাঠপর্যায়ে ঘটতে থাকলে সেই প্রতিশ্রুতি নিয়ে সংশয় থেকে যায়।
তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ গতকাল রোববার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আগামী মাসে দিল্লিতে অনুষ্ঠেয় দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রধানদের সম্মেলনে বাংলাদেশের নাগরিক হত্যা বন্ধের বিষয়টি জোরালোভাবে তুলে ধরা হবে। গত কয়েক দিনে সীমান্তে বাংলাদেশের নাগরিক হত্যার প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছি।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে বিজিবি ও বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
সাধারণত সীমান্তে বিএসএফের হাতে বাংলাদেশের নাগরিক হত্যার পর প্রথমে বিজিবি মৌখিকভাবে ও পরে লিখিতভাবে প্রতিবাদ জানিয়ে থাকে। এরপর বিজিবির কাছ থেকে হত্যার বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য পাওয়ার পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়ে হত্যার প্রতিবাদ ও তদন্তের দাবি জানায়।
গত রাতে কূটনৈতিক একটি সূত্র এই প্রতিবেদককে জানায়, সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা (সিবিএমপি) সইয়ের পর দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে সমন্বিত টহল, তথ্য বিনিময়সহ নানা পদক্ষেপের মাধ্যমে আস্থা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। সীমান্ত হত্যা বন্ধে মাঠপর্যায়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের সংবেদনশীল করার চেষ্টাও আছে।
সাবেক পররাষ্ট্রসচিব মো. তৌহিদ হোসেন গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্যি যে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত হচ্ছে পৃথিবীর একমাত্র সীমান্ত, যেখানে দুই দেশের মধ্যে লড়াই হচ্ছে না; অথচ নিরস্ত্র লোকজনকে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। ঘনিষ্ঠ দুই নিকট প্রতিবেশী দেশে সীমান্ত হত্যা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। দুঃখ লাগে, ভারতের মানবাধিকারকর্মীদের এ নিয়ে সোচ্চার হতে দেখা যায় না।
মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ বছরের জানুয়ারি থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিএসএফের হাতে অন্তত ২৮ জন বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছেন।
প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধিদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১ সেপ্টেম্বর লালমনিরহাটের বুড়িরহাট সীমান্তে মহিবুর রহমান (৩৮), ১৮ সেপ্টেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জের তেলকুপি সীমান্তে মো. আবির (২৩), ২৩ সেপ্টেম্বর কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্তে দুখু মিয়া (২৫) ও ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে জসিম উদ্দিন (২৭) এবং গতকাল রৌমারিতে বাহারুল ইসলাম বিএসএফের হাতে প্রাণ হারান।
আসকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিএসএফের হাতে ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে নিহত বাংলাদেশির সংখ্যা যথাক্রমে ২৬ (গুলিতে ১২), ৩৩ (গুলিতে ১৬) ও ৪৬ (গুলিতে ৩২) জন।
গত ১৬ মে ঢাকায় বিজিবি ও বিএসএফের মহাপরিচালকদের বৈঠকে সীমান্ত হত্যার প্রতিটি বিষয়ে যৌথ তদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। গতকাল এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, অতীতে সীমান্তে বাংলাদেশের নাগরিক হত্যার পর ভারতের পক্ষ একতরফাভাবে বলা হতো, বিএসএফ আত্মরক্ষার্থে গুলি ছোড়ার কারণে বাংলাদেশের নাগরিক নিহত হয়েছেন। মে মাসের বৈঠকের পর সীমান্তে কোনো হত্যাকাণ্ড ঘটলে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর লোকজন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন। কাজেই যৌথ তদন্তের সিদ্ধান্তের পর পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।
বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) আজিজুর রহমান গতকাল মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, সীমান্তে হত্যা বন্ধে ভারতের পক্ষ থেকে বারবার যে আশ্বাস দেওয়া হয়, তা পূরণে তাদের সদিচ্ছার অভাব আছে। এ কারণেই এ ধরনের বিয়োগান্ত হত্যা অব্যাহত আছে।

আজকের প্রথম আলো থেকে নেওয়া
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৩০
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×