
হাওরে সড়কের ছবি। এভাবে বুকচিরে সড়ক করায় যে ক্ষতির মুখে পড়েছে হাওরবাসী কৃষক ও জেলেরা (লাভবান বাক্তিও আছে )
[একইসঙ্গে বাধা সৃষ্টি করেছে বিলের স্বাভাবিক প্রবাহে ও পানি ধারণ ক্ষমতা]
..............
আমি যতদূর জানি -আমাদের রাষ্ট্রস্বামী একজন ভালো ও নিরহংকারী মানুষ। কোনো মানুষই ভুল ত্রুটির বাইরে নয়। তিনিও তাই। তার এলাকার উন্নয়নে তিনি যে রাস্তা বা সড়ক নির্মাণ করেছেন (হাওর এলাকায় ) তা একপ্রকার অপরাধ। তিনি ব্যাক্তিগত লেভার জন্য রাস্তাগুলি তৈরী করেননি ,করেছিলেন সাধারণ মানুষের উন্নয়নের জন্য। এবং বড় ভুলগুলি করেছেন পরিকল্পনায়। তার ভুলের মাশুল দিচ্ছে হাওরের চারপাশের কৃষক ও মৎসজীবীরা। এর সাথে তিনি পরিবেশের ভারসাম্য ক্ষতি করেছেন। দুইটা বিষয় বলি ;-
প্রথমত -হাওরের মাঝ বরাবর সড়ক তৈরী করাতে (কিলো: র পর কিলো : )
বর্ষার অতিরিক্ত পানি ধরনের জায়গা সড়ক দখল করার ফলে ফসল ঢুবে নষ্ট হচ্ছে। বন্যাও হচ্ছে
দ্বিতীয়ত-
উন্মুক্ত হাওরের মৎস সম্পদ ,দখলকৃত সড়কের ফলে ,পানির ধারণ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় ,মৎস বিচরণ ও প্রজনন কমে যাচ্ছে। একইসঙ্গে বাধা সৃষ্টি করেছে বিলের স্বাভাবিক প্রবাহে। অর্থাৎ শুকনো ও বর্ষা উভয় কালেই ক্ষতি।
.................
কিশোরগঞ্জের হাওর ও সড়কের কিছু তথ্য
বাংলাদেশের মোট
৪২৩টি হাওর নিয়ে গঠিত হাওরাঞ্চলের ১২২টি হাওর কিশোরগঞ্জ জেলায় অবস্থিত। জেলার সম্পূর্ণ হাওর অধ্যুষিত উপজেলাগুলো হচ্ছে- ইটনা, অষ্টগ্রাম, মিঠামইন ও নিকলী। এছাড়া করিমগঞ্জ, কটিয়াদী, বাজিতপুর, তাড়াইল, ভৈরব ও কুলিয়ারচর উপজেলার অংশবিশেষ হাওর এলাকায় অবস্থিত। এখানকার সব জমি এক ফসলি হলেও খুবই উর্বর।
হাওর অধ্যুষিত এই জেলায় গড়ে প্রতিবছর ১ লক্ষ ৭৫ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়। আবাদী এই জমি থেকে প্রায় ৭ লক্ষ মেট্রিক টন চাউল উৎপন্ন হয়। অথচ কিশোরগঞ্জ জেলার মোট খাদ্য চাহিদা পাঁচ লক্ষ মেট্রিক টন চাউল। ফলে আউশ, আমন ছাড়া কেবল বোরো থেকেই জেলার মোট খাদ্য চাহিদার থেকে প্রায় ২ লক্ষ মেট্রিক টন বেশি চাউল আসে।আগাম বন্যায় ঢুবে যাচ্ছে ফসল। ক্ষতির মুখে কৃষক। উন্নয়ন দেখতে গিয়ে অনাহারে থাকতে হবে
এছাড়া এখানকার হাওর-বিলে পাওয়া যায় অন্তত ১৫০ প্রজাতির দেশী জাত। মাছ ধরাটা পূর্বে একটি সম্প্রদায়ভূক্ত পেশা থাকলেও এলাকার সাধারণ কৃষকও বর্ষার বেকার সময়ে মাছ ধরা পেশায় যুক্ত হয়। ঘোলা মাছের খনি হিসেবে পরিচিত এখানকার হাওর ও জলাভূমিগুলোর মাছ দেশের বিভিন্ন জেলা ছাড়াও দেশের বাইরে রপ্তানি হয়। ক্ষতির মুখে জেলে । উন্নয়ন দেখতে গিয়ে অনাহারে থাকতে হবে
...................
রাষ্ট্রপতি ২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম প্রকল্পের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। গত ২০ জুলাই গাড়িতে চড়ে তিনি কিশোরগঞ্জের ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম অলওয়েদার সড়ক পরিদর্শন করেন।
[[পানি বাড়ার সাথে সাথে ফসলের ক্ষতির সংবাদ বাড়তে থাকবে ]]
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




