somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দেশের অবস্থাটা ভালো ঠেকতাছে না।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি এজন্য যে, আমি দেশের সামগ্রিক অবস্থা নিয়ে লিখলাম। কোন ব্যক্তি বা দলের পক্ষে না লেখার জন্য। এবং এটা এজন্যই যে, কোন দল বা ব্যক্তির প্রতি অন্যায় হয়ে থাকলেও আমি মনে করছি সামগ্রিকভাবে দেশের অবস্থা নিয়েই এখন সবার লেখা উচিত। নইলে ব্যক্তি বা দলকে বাচাতে বা রক্ষা করতে গিয়ে দেশের বারোটা বেজে যাবে। এটা হতে দেয়া যাবেনা।

মুলত সামগ্রিকভাবে কে বা কারা আজকের অবস্থা নিয়ে দায়ী সেটা নিয়ে সবার লেখা উচিত। এবং যে বা যারা দায়ী তাদেরকেই নমনীয় হতে বাধ্য করতে লেখা উচিত। নইলে আখেরে কোন পক্ষেরই মঙ্গলজনক কিছু হবেনা ভাবীকালে। এটা সবাইকে উপলব্ধি করতে হবে। অনেকে ইতোমধ্যে লিখেছে কিন্তু এখন থেমে গেছে, চলছে দোষাদোষি। এটা বাদ দিয়ে সত্য বলে বরং দোষিকে দোষ স্বীকারে বাধ্য করে সামনে এগুনো উচিত। এজন্য করনীয় সকল কিছু করবো এই অঙ্গীকারে আসা উচিত সকল ব্লগারকে।

দেশ এমন একটা অবস্থায় উপনীত হয়েছে যে, কেউই পিছিয়ে গিয়ে একটু ছাড় দিতে চাইছে না। এটা দেশের জন্য অমঙ্গলজনক। দুই পক্ষকেই ছাড় দিতে হবে। সে বিষয়ে অন্যদিন লিখবো।

আজকে অবস্থাটা একটু ঘুরেফিরে দেখি। পাঠকদের বলে রাখি, আমি নিয়মিত দুরের কথা ন্যুনতম মানের ব্লগারও নই। সেই যে সামু আমকে প্রথম পাতায় পোষ্টের অনুমতি দিলো তারপরে আর লিখিনা। আমার কখনোই লিখতে ভাল্লাগেনা, যতটা লাগে পড়তে।
কিন্তু এমন এক সময়ে দেশ যে, দুই একটি কথা না লিখে পারলাম না। তাই লেখা।

ইতিহাসের কোন ব্যাখ্যাই এর সমাধান দিতে পারছে না। একমাত্র সমঝোতা মনে হয় অনিবার্য।

সরকার আগে গনজাগরনের পক্ষে ছিল, এখন কৌশলী অবস্থান নিয়েছে। অবশ্য রাজনৈতিক দল হিসেবে তারা তাদের স্বিদ্ধান্ত নিতেই পারে। উপরন্তু তারা ক্ষমতায়। ফলে তাদেরকে সকল পক্ষের নিরাপত্তা এবং সাধারন মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তার কথা ভেবেই স্বিদ্ধান্ত নিতে হবে।

এখন আবার হেফাজতকে নিয়ন্ত্রনে মাঠে নেমেছে। যদিও এটা সময়ের দাবী। নিয়ন্ত্রিত হওয়া জরুরি। নইলে সংকট বাড়বে। পাশাপাশি ব্লগারদের গ্রেফতার চলছে। এদেরকেও নিয়ন্ত্রন প্রক্রিয়া চলছে বলে মনে হচ্ছে।

সরকার ঠান্ডা মাথায় খেলছে। তবে খেলার সুফল ও কুফল কখন কোথায় যাবে সেটা আল্লাহ ছাড়া কেউ বলতে পারবে বলে আমার মনে হয় না।

আওয়ামী লিগের মহাজোট, বিএনপির ১৮দলীয় জোট, হেফাজতে ইসলাম ও গনজাগর এই চারপক্ষের চারমুখি খেলায় সরকার হলো সবার। অবশ্যই তারা আওয়ামী লীগের জোটের সরকার। তাদের দুইদিকের নজর আওয়ামী জোটের অবস্থান এবং সরকারের অবস্থান। ফলে দাড়িয়েছে পাচ মুখি খেলা।

কারো কোটেই স্থায়ীভাবে বল থাকছে না। একেক সময় একেক পক্ষের হাতে বল চলে যাচ্ছে। সরকার বাহাদুর যার পায়ে যখন বল সেদিকেই দৌড়াচ্ছে।

এতে কী যে হবে বলা মুশকিল।

ইতিহাসের কোন ব্যাখ্যাই এর সমাধান দিতে পারছে না। একমাত্র সমঝোতা মনে হয় অনিবার্য।

সরকার আগে গনজাগরনের পক্ষে ছিল, এখন কৌশলী অবস্থান নিয়েছে। অবশ্য রাজনৈতিক দল হিসেবে তারা তাদের স্বিদ্ধান্ত নিতেই পারে। উপরন্তু তারা ক্ষমতায়। ফলে তাদেরকে সকল পক্ষের নিরাপত্তা এবং সাধারন মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তার কথা ভেবেই স্বিদ্ধান্ত নিতে হবে।

এখন আবার হেফাজতকে নিয়ন্ত্রনে মাঠে নেমেছে। যদিও এটা সময়ের দাবী। নিয়ন্ত্রিত হওয়া জরুরি। নইলে সংকট বাড়বে। পাশাপাশি ব্লগারদের গ্রেফতার চলছে। এদেরকেও নিয়ন্ত্রন প্রক্রিয়া চলছে বলে মনে হচ্ছে।

সরকার ঠান্ডা মাথায় খেলছে। তবে খেলার সুফল ও কুফল কখন কোথায় যাবে সেটা আল্লাহ ছাড়া কেউ বলতে পারবে বলে আমার মনে হয় না।

আওয়ামী লিগের মহাজোট, বিএনপির ১৮দলীয় জোট, হেফাজতে ইসলাম ও গনজাগর এই চারপক্ষের চারমুখি খেলায় সরকার হলো সবার। অবশ্যই তারা আওয়ামী লীগের জোটের সরকার। তাদের দুইদিকের নজর আওয়ামী জোটের অবস্থান এবং সরকারের অবস্থান। ফলে দাড়িয়েছে পাচ মুখি খেলা।

কারো কোটেই স্থায়ীভাবে বল থাকছে না। একেক সময় একেক পক্ষের হাতে বল চলে যাচ্ছে। সরকার বাহাদুর যার পায়ে যখন বল সেদিকেই দৌড়াচ্ছে।

এতে কী যে হবে বলা মুশকিল।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামাত কি দেশটাকে আবার পূর্ব পাকিস্তান বানাতে চায়? পারবে?

লিখেছেন ঋণাত্মক শূণ্য, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২৮

অন্য যে কোন সময়ে জামাতকে নিয়ে মানুষ যতটা চিন্তিত ছিলো, বর্তমানে তার থেকে অনেক বেশী চিন্তিত বলেই মনে করি।



১৯৭১ এ জামাতের যে অবস্থান, তা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬


যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?

যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!

যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×