somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এই মেয়ে তুমি এত দুঃসাহসী হলে কিভাবে?!

২১ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

চাচীর ছোট বোনের বাচ্চা হবে। আগে থেকেই বলে দিয়েছিল যেন থাকি। বাসার নিকটে ছোট একটি ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছে। পরীক্ষা করে দেখা গেল সময় লাগবে। তাই ক্লিনিকেই অপেক্ষা করছিলাম। ক্লিনিকের এক সিনিয়র ডাক্তার ভাইয়া বলল একজন রোগী এসেছে তুমি একটু দেখে দিবে?

বয়স ১৬/১৭ বছরের মতো। সাথে একটি ছেলে। মেয়েটিকে কোথায় যেন দেখেছি বলে মনে হলো। কিন্তু মনে পড়ছে না। সবকিছু জেনে বুঝা গেল পাঁচ মাসের প্রেগনেন্ট। শারীরিক অবস্থা ভাল। ওজন একটু কম।

কিছু পরামর্শ দিতে যাচ্ছিলাম, ওই সময় মেয়েটি বলে উঠল, বাচ্চা রাখতে চাইনা।

বলে কি?! জিজ্ঞেস করলাম, তোমাকে আগে দেখেছি মনে হয়। কোথায় বলতে পার?

না, দেখা হয়নি।

কিন্তু মনে পড়ছে বছর দেড়েক আগে এই মেয়েটিই একবার এসেছিল একই রকম সমস্যা নিয়ে। তখন কিছু পরীক্ষা করতে দিয়েছিলাম। রিপোর্ট দেখানোর পর আর আসেনি। জিজ্ঞেস করলাম। চুপ করে আছে।

ছেলেটিকে ডাকলাম। ধমক দিয়ে বললাম, তোমাদের তো সাহস অনেক! স্পষ্ট মনে পড়ছে আগেও একই রকম সমস্যা হয়েছিল এবং নিশ্চয় তোমরা সেই বাচ্চা নষ্ট করেছিলে। এখন পাঁচমাসের প্রেগনেন্সি নিয়ে এসেছ আবার নষ্ট করতে। তোমাদের অভিভাবক কোথায়?

আর এই মেয়ে তুমিও কি রকম? কি হয়েছে তোমার? তুমি কোন সাহসে বারবার এ কাজ করছ? এখন এই স্টেজে এসে কিছু করতে গেলে বাচ্চা তো নষ্ট হবে, সাথে তোমার জীবনেরও সমস্যা হবে এবং ভবিষ্যতে আরো অনেক সমস্যা সৃষ্টি হবে। তোমাদের কি এখনো বিয়ে হয়নি?

হয়েছে। কিন্তু তুলে নেয়া হয়নি।

তাহলে তো কোন সমস্যা নেই। এখনি গিয়ে অভিভাবকদের জানাও। তুলে নেয়ার ব্যবস্থা করো। বাচ্চা নষ্ট করা যাবেনা।

কিন্তু মেয়েটির এক কথা। এ বাচ্চা রাখবে না।

ছেলেটিকে বললাম, শোন, নিশ্চিত তোমাদের বিয়ে হয়নি। বিয়ে হয়ে থাকলে বাড়িতে নিয়ে যাও। না হয়ে থাকলে সপ্তাহের ভিতর বিয়ের ব্যবস্থা করো। বাচ্চা নষ্ট করতে গেলে মেয়েটির শারিরীক যে সমস্যা হতে পারে তা বললাম। আরো কিছু ভয় দেখালাম। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও পরামর্শ দিলাম।

তবে মনে হয়না ওরা পরামর্শ গুলো শুনবে। কোথাও না কোথাও গিয়ে তারা বাচ্চা নষ্ট করবে। ছেলে-মেয়ে দু'জনের ভিতর টেনশনের কোন লক্ষণ দেখা গেল না। কিন্তু এ স্টেজে এসে বাচ্চা নষ্ট করার মতো কোন কিছু করতে গেলে মেয়েটি নিজের জীবনকেও ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিবে।

চিন্তা করছিলাম, এধরনের যুবক-যুবতীদের অভিভাবকরা কোথায়? তারা কি কোন খোঁজখবর রাখেনা? ছেলে-মেয়েগুলোও এত বেপরোয়া ও নির্লজ্জ হয়ে গেল কিভাবে? মাসের পর মাস তারা অবাধে মেলামেশা করছে কিন্তু তাদের অভিভাবকরা কোন খোঁজই রাখেনা?! অভিভাবকরা এত দায়িত্বহীন হয় কেন? প্রথম আলো, সারা যাকেরদের মতো কথিত সুশীলদের প্রচারণার ফসল কি এসব? সর্বস্তরে নৈতিক শিক্ষার প্রচলন ও অভিভাবকদের সচেতন হওয়া ছাড়া উপায় নেই। ভয়ংকর এক পরিবেশ ধেয়ে আসছে...

রিলেটেড পোস্ট- ওহ, অবাধ যত্রতত্র যৌনতা তাহলে স্বাভাবিক বিষয়?!
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:৩০
৮টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×