somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমাদের শাদা বাড়ি – হুমায়ূন আহমেদ (কাহিনী সংক্ষেপ)

১১ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বইয়ের নাম : আমাদের শাদা বাড়ি
লেখক : হুমায়ূন আহমেদ
লেখার ধরন : সমকালীন উপন্যাস
প্রথম প্রকাশ : ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬
প্রকাশক : সময় প্রকাশন
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৪৮



সতর্কীকরণ : কাহিনী সংক্ষেপটি স্পয়লার দোষে দুষ্ট

কাহিনী সংক্ষেপ :
রঞ্জুরা ৫ ভাই বোন পাঁচ রকমের হয়েছে। বড় আপা প্রচন্ড সন্দেহপ্রবণ আর ছিঁচকাঁদুনে। তার বিয়ে হয়ে গেছে, দুটি প্রচন্ড দুষ্ট মেয়ে আছে, তারা সারাক্ষণ হই চই চিৎকার চেচামেচি করে কাটায়। তার স্বামী কি একটা কাজে ৬ মাসের জন্য বিদেশে গিয়েছে বলে সে মেয়েদের নিয়ে বাপের বাড়িতে বেড়াতে এসেছে।

বুনো চার বছর আগে পড়ালেখা শেষ করে বাড়িতে বেকার বসে আছে। সে কোন চাকরি করবে না। চুপচাপ ধরনের মানুষ, কোন কিছুতেই কোন অভিযোগ নেই।

মেজ ভাই ইঞ্জেনিয়ারিং পড়ছে, খুবই বাস্তববাদি লোক। তার প্রতিটা কাজই হিসাব করা।

সবার ছোট বোন নীতু খুবই আদুরে, সবাই তাকে আদর করে। এবার ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছে। এখনো ছেলে মানুষী ভাব কাটেনি।
রঞ্জুর মার অকারণেই রাগারাগী করার স্বভাব। আর বাবা নিরিহ টাইপ চাকুরে মানুষ।

রঞ্জুরা ঢাকা শহরে সাদা যে দোতলা বাড়িতে থাকে সেটা তাদের নিজের না। রঞ্জুর বাবার কলেজের বন্ধু মইনুদ্দিন চাচার। রঞ্জুর বাবা যখন পড়াশুনার পাট চুকিয়ে চাকরি পেয়ে গেছে, বিয়ে করেছে, তখন মইনুদ্দিন কিছুই করতে পারেনি। রঞ্জুদের বাড়িতেই ড্রইং রুমে সে তখন থাকে। পরে হঠাৎ করেই ব্যবসা করে ধনী হয়ে যায়, এই বাড়িটা কেনে। বাড়ি কেনার পরে একসময় সে বিদেশে চলে যায় আর রঞ্জুরা উঠে আসে এই বাড়িতে।

কিছুদিন আগে তিনি চিঠি লিখে জানিয়েছেন যে তিনি দেশে আসছেন। চিঠি পাওয়ার পর তেকেই রঞ্জুর বাবা কেমন যেন হয়ে য়ায়। এই বাড়ি ছেড়ে কোথায় যাবে? পরে অবশ্য মইনুদ্দিনের মেয়ে তানিয়া চিঠি লিখে জানায় যে তার বাবা অসুস্থ হয়ে পড়ায় এবার দেশে আসছেন না, তাকে চিকিৎসার জন্য আমেরিকা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এক মাস পরে তার মৃত্যু সংবাদ আসে। তারও দুই মাস পরে তানিয়ার চিঠি আসে যে মৃত্যুর আগে তার বাবা সাদা বাড়িটি রঞ্জুদের দিয়ে দিয়েছেন। তিনি বাড়িটি রঞ্জুর মার নামে দিয়েছেন।

এদিকে খুব দ্রুত রঞ্জুর বাবার মধ্যে পরিবর্তন দেখা দিতে লাগলো। তিনি হঠাৎ করেই কাউকে চিনতে পারেন না, একটু পরেই অবশ্য স্বাভাবিক হয়ে আবার সবাইকে চিনতে পারেন। তাছাড়া তিনি তার মৃত বন্ধুকে দেখতে শুরু করেন। অন্যদিকে তার চেয়েও দ্রুত রঞ্জুর মা অসুস্থ হতে থাকে, শরীর ভেঙ্গে পরে। বাড়িটি তার নামে হওয়াতে মনে হয় অশান্তিটা আরো বেশী হচ্ছে।

তানিয়া একদিন রঞ্জুদের বাড়িতে বেরাতে এসে নানা কথা বলে, তখনই ওরা জানতে পারে এই বাড়িটা তৈরি করা হয়েছে রঞ্জুদের জন্যই। মইনুদ্দিন যখন ব্যবসা শুরু করবেন তখন রঞ্জুর মা তার গলার হার বেঁচে তাকে ব্যবসার টাকা দিয়ে ছিল। সেখান থেকেই মইনুদ্দিনের উত্থান।

কিন্তু বাড়ি পেয়ে রঞ্জুদের সাদা বাড়িতে অশান্তি শুরু হয়ে যায়। দুই বোন মনে করে এই বাড়িটা ছেড়ে দেয়া উচিত। একদিন তাদের মা দুজন উকিল ডেকে এনে বদ্ধ ঘরে বসে কি যেন লেখা লেখি করেন।
এভাবেই শেষ হয় সাদা বাড়ির কাহিনী।

----- সমাপ্ত -----

=======================================================================

আমার লেখা হুমায়ূন আহমেদের সমস্ত কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ

আমার লেখা অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ:
ভয়ংকর সুন্দর (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
মিশর রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
খালি জাহাজের রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
ভূপাল রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
পাহাড় চূড়ায় আতঙ্ক (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
সবুজ দ্বীপের রাজা (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

তিতাস একটি নদীর নাম - অদ্বৈত মল্লবর্মণ

ফার ফ্রম দ্য ম্যাডিং ক্রাউড - টমাজ হার্ডি
কালো বিড়াল - খসরু চৌধুরী
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:৫০
১৩টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; ভাবতে ভালই লাগে

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩


বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক। একই বছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা

লিখেছেন এমজেডএফ, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১১



সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×