বইয়ের নাম : আমার আছে জল
লেখক : হুমায়ূন আহমেদ
লেখার ধরন : সমকালীন উপন্যাস
প্রথম প্রকাশ : ১৯৮৫
প্রকাশক : শিখা প্রকাশনী
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৬৪
সতর্কীকরণ : কাহিনী সংক্ষেপটি স্পয়লার দোষে দুষ্ট
কাহিনী সংক্ষেপ :
দিলু নাইনে পড়া কিশোরী মেয়ে। দিলু আর তার পরিবারের লোকেরা সকলে মিলে এক শীতের ভোরে সোহাগী ষ্টেশনে এসে নেমেছে। তারা যাবে নীলগঞ্জ ডাকবাংলো। দিলুদের সাথে আছে দিলুর বড় বোন নিশাত, নিশাতের পাঁচ বছরের ছেলে বাবু, দিলুর মা রেহানা বেগম, তার দূরসম্পর্কের ভাগিনা সাব্বির, দিলুর বাবা ওসমান সাহেব, আর জামিল।
সোহাগী ষ্টেশন থেকে নীলগঞ্জ অনেকটা দূরের পথ, তাদের নেয়ার জন্য সেখান থেকে একটা জিপ আসার কথা ছিলো। জানা গেলো জিপটি নষ্ট হয়ে গেছে, তাই তাদের নেয়ার জন্য দুটি গরুর গাড়ি আর একটি মহিষের গাড়ি পাঠানো হয়েছে।
খুব বাজে রকম ভাবে শেষ হল নীলগঞ্জ ডাকবাংলোতে দিলুদের প্রথম রাত। কিন্তু দ্বিতীয় দিন শুরু হল চমৎকার ভাবে। এরমধ্যে নিশাত আর সাব্বিরের মধ্যে কিছুটা আলাপ হল। প্রথম আলাপেই সাব্বির তার ভালোলাগার কথা নিশাতকে জানিয়ে দিলো। সাব্বির বিদেশে থাকে কিছুদিনের ছুটিতে এসেছে দেশে বেড়াতে। সে ইঞ্জিনিয়ার, সেই সাথে বড় ফটোগ্রাফার।
নীলগঞ্জের ওসি সাহেবের সাথে পাখি শিকারের আয়োজন হল। ওসমান সাহেব, দিলু, নিশাত আর জামিল বোটে করে রওনা হল শিকারে। ওসমান সাহেব বেশ কয়েকটি বালি হাস শিকার করলেন। রাতে সেই বালি হাস রান্নার আয়োজন করলো সাব্বির। সে বালি হাস ৮ ঘণ্টা টক দইয়ে ডুবিয়ে রেখে কেটলিতে পানি গরম করে কেটলির নাল দিয়ে যে বাষ্প বের হচ্ছে তাতে সেই হাস স্টিম করে হাসের পেটে রসুন ভরে আগুনে ঝলসে বিশেষ এই রান্নাটি করেছে। সেটি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে।
এদিকে জামিলের সাথে দিলুর গল্প করা আর কথা বলাটা নিশাদের ভালো লাগে না। তার ধারনা এতে করে দিলুর জামিলের প্রতি এক ধরনের ভালোলাগা তৈরি হবে, সেটা হবে প্রেমের কাছাকাছি। দিলু আসলেই জামিলের প্রেমে পরে যায়। নাইনে পড়া দিলু তার চেয়ে তিনগুণ বেশী বয়সী জামিলের প্রতি এইযে এক তরফা প্রেম সেটা সাব্বির নিমিষেই ধরে ফেলে।
রাতে নিশাত দিলুকে ডেকে তার পুরনো দিনের কথা বলতে শুরু করে। নিশাত জানায় সে যখন দিলুর বয়সী ছিল সেই সময় জামিল ভাইয়ের সাথে তার সম্পর্ক তৈরি হয়। এমন কি তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে যাবার পরিকল্পনাও করে। কিন্তু পরে তার বিয়ে হয়ে যায় কবিরের সাথে। নিশাত এখনও জামিলকে মনে মনে ভালোবাসে বিষয়টা দিলু বুঝতে পারে। এটা বুঝতে পেরে দিলুর মন ভেঙ্গে যায়। পরদিন সকালে দিলুর লাস ভাসতে দেখা যায় বাংলোর পিছনের বড় পুকুরটিতে।
----- সমাপ্ত -----
=======================================================================
আমার লেখা হুমায়ূন আহমেদের অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ
আমার লেখা অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ:
ভয়ংকর সুন্দর (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
মিশর রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
খালি জাহাজের রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
ভূপাল রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
পাহাড় চূড়ায় আতঙ্ক (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
সবুজ দ্বীপের রাজা (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
তিতাস একটি নদীর নাম - অদ্বৈত মল্লবর্মণ
ফার ফ্রম দ্য ম্যাডিং ক্রাউড - টমাজ হার্ডি
কালো বিড়াল - খসরু চৌধুরী
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৫