আমার ধারনা এমন কোনো বিষয় নেই যেটা নিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবিতা লেখেন নি।
কত-সহস্র কবিতা উনি লিখেছেন!!
কয়েক দিন ধরে চাঁদ নিয়ে ঘাটাঘাটি করার সময় হঠাৎ মাথায় এলো বরিবাবুর কি কি ছড়া-কবিতা-গানে চাঁদের উপস্থিতি আছে তা খুঁজে দেখি।
আমি কবিতা ফ্রেন্ডলি লোক নই, তাই মানুষের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ার মতো ফলাফল দেখে আমার মাথায় চাঁদ ভেঙ্গে পড়েছে।
সেই ভাঙ্গা চাঁদের ১০টি টুকরো আপনাদের জন্য আজকে রইলো এখানে।
১।
যেতে যেতে পথে পূর্ণিমারাতে চাঁদ উঠেছিল গগনে।
দেখা হয়েছিল তোমাতে আমাতে কী জানি কী মহা লগনে।
২।
ও চাঁদ, তোমায় দোলা দেবে কে!
ও চাঁদ, তোমায় দোলা--
কে দেবে কে দেবে তোমায় দোলা--
আপন আলোর স্বপন-মাঝে বিভল ভোলা॥
৩।
ও চাঁদ, চোখের জলের লাগল জোয়ার দুখের পারাবারে,
হল কানায় কানায় কানাকানি এই পারে ওই পারে॥
৪।
জাগি রহে চাঁদ আকাশে যখন
সারাটি রজনী!
শ্রান্ত জগত ঘুমে অচেতন
সারাটি রজনী!
৫।
চির-পুরানো চাঁদ,
চিরদিবস এমনি থেকো আমার এই সাধ।।
৬।
হাতে তুলে দাও আকাশের চাঁদ--
এই হল তার বুলি।
দিবস রজনী যেতেছে বহিয়া,
কাঁদে সে দু হাত তুলি।
৭।
চাঁদ হাসো, হাসো।
হারা হৃদয় দুটি ফিরে এসেছে।
কত দুখে কত দূরে, আঁধার সাগর ঘুরে,
সোনার তরণী দুটি তীরে এসেছে।
৮।
"কদম গাছের ডালে
পূর্ণিমা-চাঁদ আটকা পড়ে
যখন সন্ধেকালে
তখন কি কেউ তারে
ধরে আনতে পারে।'
৯।
ওই তো ছোটো চাঁদ,
দুটি মুঠোয় ওরে
আনতে পারি ধরে।'
১০।
যখন এসেছিলে অন্ধকারে
চাঁদ ওঠে নি সিন্ধুপারে॥
হে অজানা, তোমায় তবে জেনেছিলেম অনুভবে--
গানে তোমার পরশখানি বেজেছিল প্রাণের তারে॥
তুমি গেলে যখন একলা চলে
চাঁদ উঠেছে রাতের কোলে।
তখন দেখি, পথের কাছে মালা তোমার পড়ে আছে--
বুঝেছিলেম অনুমানে এ কণ্ঠহার দিলে কারে॥
আগামী পর্বে আরো ১০টি চন্দ্র পংক্তি থাকবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৬