বইয়ের নাম : একি কান্ড!
লেখক : হুমায়ূন আহমেদ
লেখার ধরন : কিশোর উপন্যাস
প্রথম প্রকাশ : ফেব্রুয়ারি ১৯৯৩
প্রকাশক : সুবর্ণ
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৪৮
সতর্কীকরণ : কাহিনী সংক্ষেপটি স্পয়লার দোষে দুষ্ট
কাহিনী সংক্ষেপ :
টুকুনের বয়স আট বছর। সে খুবই ভালো ছাত্র, পড়া শুনায় ভালো। তবে তার সমস্যা হচ্ছে সে খুব দেয়ালে ছবি আঁকে, আর এরচেয়েও বড় সমস্যা হচ্ছে টুকুন একটা কাকের সাথে কথা বলে। সেযে কাকের সাথে কথা বলতে পারে এই কথা কেউ বিশ্বাস করে না।
টুকুনের অষ্টম জন্মদিনে কাকটি টুকুনকে একটি ঝেং এর বাচ্চা উপহার দেয়। ঝেং এর বাচ্চাদের চোখে দেখা যায় না, তাদের কোন ওজন নেই, তারা শুধু কাগজ খায়। কেউ তাদের দিকে তাকিয়ে থাকলে তারা কাগজ খায় না। যে দেখে কেউ তাদের দিকে তাকিয়ে নেই তখনই তারা কাগজ খায়। টুকুন তার জন্মদিনের কেকের আটটি মোববাতি এক ফুতে নিভিয়ে চোখ বন্ধ করে মনে মনে উইশ করে যে যেনো অদৃশ্য ঝেং এর বাচ্চাটিকে দেখতে পায়। চোখ মেলে সে সত্যি সত্যি ঝেং এর বাচ্চাটিকে দেখতে পায়। অথচো ঝেং এর বাচ্চাটি এখনো অন্য সকলের কাছে অদৃশ্যই রয়ে গেছে।
প্রথমে কাকের সাথে কথা বলা, পরে এখন অদৃশ্য ঝেং এর বাচ্চার কথায় অতিষ্ট হয়ে টুকুরনের বাবা মা টুকুনকে নিয়ে একজন ডাক্তারের কাছে যান। সেখানে ডাক্তার একটি ৫০০ টাকার নোট ঝং এর বাচ্চাকে খেতে দেয়। টুকুন তাকে জানায় কেউ তাকিয়ে থাকলে ঝেং এর বাচ্চারা কিছু খায় না। ডাক্তার যখন টুকুনের বাবার সাথে কথা বলছেন তখন দেখেন টেবিলে ৫০০ টাকার নোটটি নেই। অনেক খুঁজেও সেটি কোথাও পাওয়া গেল না। টুকুনরা চলে আসার পরে ডাক্তার দেখলেন তার ডায়রির বেশ কয়েকটি পাতা নেই।
এদিকে টুকুনের ছোট ফুপী ঝেং এর বাচ্চাকে নিয়ে নানান পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন। দেখাযায় ঝেং এর বাচ্চার কোনো ওজন নেই, তার নিশ্বাস নিতে অক্সিজেন লাগেনা, পানি নিচে চুবিয়ে রাখলেও তার কোনো সমস্যা হয় না। পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে ফুপী প্রতিবেদন লিখে টুকুনকে বুঝিয়ে দিলেন ঝেং এর বাচ্চা বলে কিছু নেই। সবই টুকুনের কল্পনা। এইসব কথা টুকুন যখন কাকটি জানালো তখন কাকটি টুকুনকে বললো তার ছোট ফুপী মাথা মোটা মেয়ে। টুকুন যখন ফোন করে তার ছোট ফুপীকে বললো কাক তাকে মাথা মোটা বলেছে তখন ফুপী মনে করলো টুকুনই তাকে মাথা মোটা বলছে। এদিকে ঝেং এর বাচ্চাটি টুকুনের বাবার ড্রায়ার থেকে টুকুনকে রং তুলি এনে দেয়। টুকুন দেয়াল জুড়ে বিশাল একটা ছবি আঁকে ঝেং এর বাচ্চার।
ফুপীকে মাথা মোটা বলা, না বলে ড্রয়ার খুলে রং তুলি নেয়া, দেয়ালে ছবি আঁকা ইত্যাদি অপরাধের কারণে টুকুনের বাবা টুকুনকে রাগ করে বাথরুমে আটকে রাখে। তখন ঝেং এর বাচ্চাটা টুকুনের কষ্টে রাগ করে টুকুনদের বাড়ির সব কাগজ খেয়ে ফেলে। দেয়ালের ছবি, আলমারির বই, বাড়ির দলিল, ড্রয়ারের টাকা, সব খেয়ে ফেলে। টুকুনের বাবা হঠাৎ করেই দেখেন আলমাড়িতে কোন বই নেই, দেয়ালে ছবি নেই, বাড়িতে কোন কাগছ নেই। তখন তারা বুঝতে পারেন টুকুনের ঝেং এর বাচ্চা আসলেই আছে।
পরে ঝেং এর বাচ্চা টুকুনকে বলে যেহেতু ঝেং এর বাচ্চার কারণে টুকুনের সমস্যা হচ্ছে তাই সে চলে যাবে, আর যাওয়ার আগে তাদের বাড়িরর সব কাগজ আবার ফিরিয়ে দিয়ে যাবে। তখন কাকটিও এসে টুকুনকে বলে সেও আর টুকুনের কাছে আসবে না। ঝেং এর বাচ্চা চলে যাওয়ার আগে বাড়ির কাগছ ফিরিয়ে দিয়ে যায় শুধু একটা ছবি উলটো করে দিয়ে যায়।
----- সমাপ্ত -----
=======================================================================
আমার লেখা হুমায়ূন আহমেদের অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ
আমার লেখা অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ:
ভয়ংকর সুন্দর (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
মিশর রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
খালি জাহাজের রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
ভূপাল রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
পাহাড় চূড়ায় আতঙ্ক (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
সবুজ দ্বীপের রাজা (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
তিতাস একটি নদীর নাম - অদ্বৈত মল্লবর্মণ
ফার ফ্রম দ্য ম্যাডিং ক্রাউড - টমাজ হার্ডি
কালো বিড়াল - খসরু চৌধুরী