আমাদের বন্ধু হারুন পাঠিয়েছে ম্যাসেঞ্জারে এই খবর।
বেরাতে নয়, কাজে। বলা চলে আশ্রম প্রায় বন্যা কবলিত হবার উপক্রম হয়ে গেছে। পানি থৈ থৈ করছে, প্রতি মুহূর্তেই জলের উচ্চতা বাড়ছে। আশ্রমে যাওযার আগে যে মন্দিরটির উপর দিয়ে যেতে হয় সেই পথ টুকুর মাঝের অংশে এখন হাঁটুজলে নিমজ্জিত। সম্ভবতো আর ৩-৪ দিনের মধ্যে পুরো পথ টুকু তলিয়ে যাবে বন্যার জলে। তাই যে ছেলেটি আশ্রমে থাকে তার চলাচলের জন্য একটি নৌকা কিনতে হয়েছে।
হাঁসগুলি খোলাপানিতে চলে যাচ্ছে, রাতেও ফিরছে না। তাই চারপাশে জালের ব্যবস্থ করতে হয়ে।
সাবমার্সিবল পাম্পটি নষ্ট হওয়াতে নতুন আরেকটি কিনতে হয়েছে।
সাপ-ব্যাঙ-পিপড়া-পোকামাকড়ের আশ্রয় স্থল কমে গেছে বলে সবাই আশ্রমের দিকে আকৃষ্ট হয়েছে। তাই পর্যপ্ত আলোর ব্যবস্থা করতে হয়েছে।
বেশ বাতাস ছাড়ে এখন, জলে উঠে ঢেউ। সেই ঢেউ এসে আঘাত করছে আশ্রমের ভিটার কাচা মাটিতে। বন্যার পানি বাড়ার লক্ষণে বুঝা যাচ্ছে আরো অনেক বাড়বে। হয়তো আশ্রমের উঠান এমনকি ঘরেও ঢুকে যেতে পারে বন্যার জল। তাই ঘরের চারপাশের টিনের ভিতরে নতুন করে মাটি ফেলতে হয়েছে।
এই সব করতে গত ২ রাত দুই দিন আমরা ৩ বন্ধু ছিলাম আশ্রমে। কাজ এখনো শেষ হয়নি। আমি চলে এসেছি, বাকি দুজন কালকে কাজ শেষ করে ফিরে আসবে। এই দুই দিন ফেসবুকে বেশ কিছু ছবি (খবর) দেখে সেগুলি ডাউনলো করেছি বা স্কিনসট রেখেছি। দেখেন সেগুলি কি কি।
১
২
৩
৪
৫
৬
৭
৮
৯
১০
১১
১২
১৩
১৪
১৫
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৫:১৬