ইহা একটি বিশিষ্ট উদ্ভিদ। ভেষজ গুল্ম।
ইহাকে বিবিধ প্রক্রিয়ায় উপভোগ করা হয়।
ইহার ধূম্রসেবনে কৈবল্যপ্রাপ্তির কাছাকাছি অনুভব হইয়া থাকে।
অতীতে পায়েস, চা, বড়া ইত্যাদি বিবিধরূপে ইহা আস্বাদনের অভিজ্ঞতা হইয়াছিল।
কিন্তু শুনিয়াছিলাম যে ইহার সরবত অতিশয় ভাবজাগানিয়া।
তরুণ বয়সে আমার বন্ধু রবিন আর আমি দুগ্ধে শুষ্কপত্র জ্বাল দিয়া ও তাহার সহিত শর্করা ও মশলাদি যোগ করিয়া সরবত বানাইবার প্রয়াস পাইয়াছিলাম।
কিন্তু তাহা যথাফল উৎপাদন করে নাই।
পরবর্তীকালে আমার জয়পুরহাট-নিবাসী হিতৈষীগণ শিবচতুর্দশীতে এক শিবমন্দিরে উহা পাওয়া যায় বলিয়া জানাইয়া নিমন্ত্রণ করিয়াছিলেন।
দিন-ক্ষণ মিলাইয়া সুদূর জয়পুরহাটে যাওয়াও সম্ভব হইয়া ওঠে নাই।
অবশেষে সুদীর্ঘকাল অতিক্রম হইবার পর, এই মরজীবন সমাপ্ত হইবার আগেই, দূরের এক গাঁয়ে কোনো এক আত্মার ভ্রাতাকে এই আগ্রহ জানাইতেই তিনি অবিলম্বে এই মহার্ঘ্য ফুল-পত্রালি সংগ্রহ করিয়া সরবত বানাইয়া আস্বাদনের জন্য নিবেদন করিলেন।
চাখিয়া লইবার কিছু সময় পর যে তুরীয় ভাবানন্দ অনুভূত হইল তাহাতে নিশ্চিত হইলাম, মহাদেবের এই অমিয় প্রসাদ আস্বাদন না করিয়াই যদি মরিতাম তবে নিশ্চিতই এই সামান্য জীবনে এক প্রগাঢ় ঊনতা থাকিয়া যাইত।
এখন প্রশান্তচিত্তে কৈবল্যধামের উদ্দেশে যাত্রা করিতে পারিব।
ওম নমঃ শিবায়।
(এই বিবরণ জানিয়া কেহ উহা আস্বাদনে উদ্গ্রীব হইবেন না। এই উদ্ভিদ উৎপাদন, সেবন, সংগ্রহ কিংবা সরবরাহে আইনের নিষেধাজ্ঞা রহিয়াছে।)
ঘোষণা : লেখাটি সৈয়দ তারিক ভাইয়ের ফেসবু ওয়াল থেকে হুবহু কপি-পেষ্ট করা।
উপরের লেখাটুকুর সাহিত্যরস নিতে না পেরে কারো যদি এটিকে ফেসবুকিয় গার্বেজ মনে হয় তবে সম্পূর্ণ দোষ আমার। মূল লেখকের নয়।
ফেসবুকের পোস্টিতে আমার মন্তব্য ও তারিক ভাইয়ের প্রতি উত্তর নিচে সংযোজিত হলো।
আমি
এই মহার্ঘ শরবত সেবন করিয়া ভাব আস্বাদনের খায়েস আমারও রহিয়াছে।
পূরণ হইবে কিনা জানা নাই!
Syed Tarik
প্রকাশ্যে এমনতর অভিপ্রায় ব্যক্ত না করাই শ্রেয়। ইহা অবৈধ অভিলাষ।
আমার সুরে সুর মিলিয়ে মরতুজা ভাই আমার মন্তুরে ঘরেই লিখেছেন -
Khan Ali Mortuja
গোপনে হইলেও কিঞ্চিৎ এই মহার্ঘ শরবৎ সেবনের ইচ্ছা প্রকাশ করিতেছি।
Syed Tarik
যদি থাকে নসিবে, আপনাআপনি আসিবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১১:৫৬