
- ১ -
আল্লাহ সমস্ত মহাবিশ্ব তৈরি করলেন।
- ২ -
সূর্য-পৃথিবী-চাঁদ-জান্নাত-জাহান্নাম-জ্বীন-ফেরেস্তা-পৃথিবীতে বিচরন করা প্রাণীকুল-গাছ ইত্যাদি তৈরি করলেন।
- ৩ -
হাজার হাজার বছর আল্লাহর ইবাদত বন্দেগি করে ধোয়াবিহীন নীল আগুণের তৈরি এক জ্বীন হযরত আজাজীল আল্লাহর প্রিয় হয়ে তারই অনুগ্রহে নূরের তৈরি ফেরেস্তাদের সরদার হলেন।
- ৪ -
আল্লাহ চাইলেন তার গুনোগান করার জন্য, তারই ইবাদত করার জন্য মানুষ তৈরি করবেন।
ফেরেস্তার এই কথা শুনে বিষয়টি ঠিক পছন্দ করতে পারলো না।
আল্লাহ তখন বললেন- আমি যা জানি তোমরা তা জানো না।
- ৫ -
আল্লাহ মাটি দিয়ে আদমের দেহ তৈরি করলেন, এবং তার ভিতরে ফুতকার করলেন।
আল্লাহ আদমকে দুনিয়ায় যত ভাষা আসবে সব শিখিয়ে দিলেন, দুনিয়ায় যত ফল-ফসল-গাছ-মাছ-প্রাণী আসবে সব কিছুর নাম শিখিয়ে দিলেন।
আদমকে ফেরেস্তাদের সামনে হাজির করে আল্লাহ দুনিয়ার ফল-ফসলাদি উপস্থিত করে ফেরেস্তাদের কাছে সেগুলির নাম জানতে চাইলেন। ফেরেস্তারা সেগুলি কখনো দেখেনি বলে নাম বলতে পারলো না। কিন্তু আদম সব কিছুর নাম বলে দিলেন। (পরীক্ষার আগেই প্রশ্নফাঁস হয়ে গেছে সেটা ফেরেস্তারা জানতে পারলো না।)
এবার আল্লাহ ঘোষণা দিলেন- "আদমকে সেজদা করো"। (আল্লাহ ব্যতিতো অন্য কাউকে সেজদা করার হুকুম আল্লাহ নিজেই দিলেন)
- ৬ -
আল্লাহর হুকুম পাওয়ার সাথে সাথে সমস্ত ফেরেস্তা আদমকে সেজদা করলেও ফেরেস্তাদের সরদার জ্বীন আজাজীল সেজদা না করে সটান দাঁড়িয়ে রইলেন।
আল্লাহ আজাজীলকে প্রশ্ন করলেন- কি তোমাকে সেজদা করা থেকে বিরতো রাখলো?
আজাজীল বললো- আদম মাটির তৈরি, আর আমি ধোয়াহীন নীল আগুনের তৈরি। আমি আদমের চেয়ে উত্তম। তাই আমি সেজদা করি নাই।
- ৭ -
আল্লাহ বললেন দূর হ অহংকারী।
দূর হওয়ার আগে আজাজীল আল্লাহর কাছে কয়েকটি জিনিস চেয়ে নিলেন। কেয়ামত পর্যন্ত হায়াত এবং আদম সন্তানদের রগে রগে চলার ক্ষমতা।
আল্লাহ আজাজীলকে এতোটাই পছন্দ করতেন যে এই বিশাল ক্ষমতাগুলিও তিনি তাঁকে দিয়ে দিলেন।

- ৮ -
আদম বেহেস্তে একা একা থাকতে লাগলেন। জান্নাতের বিভিন্ন ফল ফলাদি ঘুরে ঘুরে খেতে লাগলেন। মাঝে মাঝে আল্লাহর সাক্ষাৎ পেতেন। একদা আল্লাহ আদমকে মন মরা দেখে বুঝতে পারলেন আদম একা একা জান্নাতে বোর হচ্ছে। তাই তিনি আদমকে অজ্ঞান করে তার বাম পাজর থেকে একটি হাড় খুলে নিয়ে একটি নারী তৈরি করলেন, যার নাম বিবি হাওয়া।
আদম ঘুম থেকে উঠে পাশেই বিবি হাওয়াকে দেখে অবাক হয়ে গেলেন।
আল্লাহ তখন তাদের দুজনকে বললেন তোমরা দুজন জান্নাতে ঘুরে বেরাও, আনন্দ করো, খাওয়া দাওয়া করো। কিন্তু গন্দম খেও না। গন্দম খেলে তোমরা জান্নাতে থাকতে পারবে না।
(যতক্ষণ পর্যন্ত হাওয়া জান্নাতে অনুপুস্থিত ছিলো ততোক্ষণ আদমের গন্দম খাওয়ার নিষেধ ছিলো না। যেইনা হাওয়া আসলো অমনি গন্দমও আসলো জান্নাতে!!)

- ৯ -
শয়তান নানান কৌশলে ভুলি ভালিয়ে আদম ও হাওয়াকে গন্দম খাওয়ায়ে ফেললো।
(যেহেতু আদম ছিলেন নবী এবং শয়তান কখনোই নবীদের ধোকা দিতে পারে না, তাই অবশ্যই আদম নিজ ইচ্ছায় গন্দম খয়েছেন। কারণ আদম জানেন আল্লাহ পৃথিবী তৈরি করেছে, জান্নাত-জাহান্নাম তৈরি করেছেন। আদম আল্লাহর নিষেধ অমান্য না করলে এই সব সৃষ্টি বৃথা যাবে। এবং এই একই কারণে আজাজিলও সেজদার হুকুম অমান্য করেছিল।)

- ১০ -
গন্দম খাওয়ার পরেই আদম ও হাওয়ার জ্ঞানচক্ষু উন্মচিত হলো। তারা আল্লাহর সামনে হাজির হতে লজ্জাবোধ করলেন।
উনারা নিজেদের ভুলের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলেন। আল্লাহ তাদের ক্ষমা করলেন এবং পৃথিবীতে পাঠিয়ে দিলেন।
চলবে.....
বিশেষ ঘোষণা : ইহা নিতান্তই গল্প, ধর্মীয় পোস্ট ভাবিয়া ভুল করিবেন না।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১২:০৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




