
আমাদের আশ্রম এর কথা আপনারা অনেকেই জানেন। আশ্রমের লালু-ভুলুর কথা মনে আছে তো আপনাদের! সেইযে শীতের শুরুর দিকে কেউ একজন লালুকে তার ভাই-বোনদের সাথে বস্তায় ভরে এনে আশ্রমের পাশে ফেলে দিয়ে গিয়েছিলো। সেখান থেকে শুধু লালুই বেঁচে গিয়েছিলো কোনো রকমে। পরে লালুর খেলার সাথী হিসেবে আনা হয়েছিলো ভুলুকে। ভুলু লালুর চেয়ে কিছুটা ছোটো ছিলো। দুজনের মাঝে খুবই ভাব ছিল। সারাদিন দুজনে খেলা ধুলায় মত্ত থাকতো আশ্রমে। আশ্রমের কেয়ারটেকার দম্পতি লালু-ভুলুকে খুবই ভালোবাসতেন। শীতের এই সময়টিতে উনারা লালু-ভুলুকে ঘরের ভিতরেই রাতে থাকতে দিতেন। ফোমের গদিতে কাথা মুরি দিয়ে ঘুমাতো লালু-ভুল। আমার ছোট কন্য নুয়াইরা লালু-ভুলুর জন্য গলার কলার বেল্ট কিনে এনে ছিলো। কিছুদিন আগে গিয়ে সেই বেল্ট ভুলুর গলায় বেঁধে দেয়া হয়ে ছিলো। সেই ছবিগুলি নানান ব্যস্ততার কারণে এখনো শেয়ার করা হয়নি।
গতকাল বিকেলে হঠাত করেই চলে গিয়েছিলাম আশ্রমে। সন্ধ্যার আগে যখন আশ্রমে পৌছেছি তখন শুনতে পাই দুপুর থকে ভুলুকে পাওয়া যাচ্ছে না। ভুলু ছোট বলে এখনো যেকোনো লোকের সাথেই খেলতে পছন্দ করে। নতুন লোক এলে তার পিছন পিছন খেলতে খেলতে চলে যায় অনেক দূর। আমরা সন্দেহ করছি এমনিকরেই কারো পিছনে চেলে যাওয়ার পরে কেউ ভুলুকে বেঁধে রেখেছে। বেঁধে না রাখলে ভুলু ঠিক ঠিক আশ্রমে চলে আসতো। গতকাল আশপাশে খুঁজে ভুলুকে পাওয়া যায়নি। আজকে আবার ভুলুকে উদ্ধারের জন্য একটি রেসকিউ সার্চিং অপারেশন করা হবে পাশের গ্রামে। দেখা যাক ভুলুকে উদ্ধার করা যায় কিনা।
ভুলু হারিয়ে যাওয়াতে কেয়ারটেকার দম্পতি মন বেশ খারাপ। উনাদের চেয়েও বেশী মন খারাপ লালুর। বেচারার চঞ্চলতা কমে গেছে। বেশ বুঝা যায় লালু তার সঙ্গী ভুলুর অভাব বেশ বুঝতে পারছে।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৫৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




