Octopus Tree এই গাছটির বাংলায় কোনো আভিধানিক নাম আছে কিনা আমার জানে নেই। তবে ইংরেজি নাম গুলির বাংলা করলে অক্টোপাস গাছ, ছাতা গাছ, কুইন্সল্যান্ড ছাতা গাছ, ইত্যাদি নামে ডাকা যায়।
Octopus Tree নামকরণ করা হয়েছে এর ফুলের গুচ্ছগুলি অক্টোপাসের বাহুর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ বলে।
অক্টোপাস গাছের অনেকগুলি Common Name রয়েছে, যেমন -
Octopus Tree, Australia Umbrella Tree, Queensland Umbrella Tree, Umbrella Tree, Australian ivy palm, Brassaia, Schefflera, Amate ইত্যাদি।
Scientific Name : Heptapleurum actinophyllum
অক্টোপাস গাছ উত্তর অস্ট্রেলিয়া, নিউ-গিনির, জাভার স্থানীয় উদ্ভিদ। হাওয়াইয়ের মতো কিছু অঞ্চলে এদেরকে আক্রমণাত্মক আগ্রাসী প্রজাতি হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
এটি একটি চিরসবুজ ঝোপালো শোভাময় বৃক্ষ যার উচ্চতা ৫০ ফুট পর্যন্ত হতে পারে। এরা বহু-কাণ্ডযুক্ত গাছ। প্রতিটি কাণ্ডের উপরে বড় বড় উজ্জ্বল সবুজ যৌগিক পাতা গুলি ৭ থেকে ১৬টি করে এক-একটি দল তৈরি করে। এমন কয়েকটি দল মিলে কাণ্ডের উপরে একটি করে ছাতা আকৃতির ঝোপ তৈরি হয়। তাই এই গাছের আরেক নাম Umbrella Tree বা ছাতা গাছ।
গাছের নাম যেমন বিচিত্র এর ফুল তার চেয়েও বেশি আশ্চর্যজনক। গাছের উপরের দিকের কাণ্ডের চূড়ায় বেশ লম্বা লম্বা লাঠির মতো ১০ থেকে ১৫ টি পুষ্পদণ্ড বের হয়। ফুলের কলিগুলি প্রথমে সবুজাভ থাকলেও ফুল ফোটার সময় সেগুলি উজ্জ্বল লাল রং ধারন করে। শোভাময় ফুল গুলি দিনে ফোটা সুগন্ধি যুক্ত ফুল। প্রতিটি পুষ্পদণ্ডে ১ হাজারেরও বেশি ছোট-ছোট লাল ফুল থাকতে পারে।
গ্রীষ্মের শুরুতে গাছে ফুল ফুটতে শুরু করে এবং সেগুলি বেশ কয়েক মাস ধরে ফোটে। প্রতিটি পুষ্পদণ্ডের হাজার খানেক ফুলে প্রচুর পরিমাণে মধু থাকে। নানান ধরনের পাখি, প্রজাপতি, মৌমাছি এইসব মধুর লোভে ফুলে ফুলে ঘুরে বেরায়। এভাবেই তাদের পরাগায়ন ঘটে।
ফুলের পরে বেরির মতো দেখতে গোলাকার ফল ধরে। নানার প্রজাতির পাখি ও ছোট ছোট প্রাণী যেমন ইঁদুর, বাদুরেরা সেগুলি খায়। তবে অক্টোপাস গাছ মানুষ, বিড়াল এবং কুকুরের জন্য বিষাক্ত, যার ফলে ত্বকে জ্বালা, বমি বমি ভাব এবং অন্যান্য উপসর্গ দেখা দেয়।
ছবি তোলার স্থান : বলধা গার্ডেন, ঢাকা, বাংলাদেশ।
ছবি তোলার তারিখ : ১৬/০৩/২০১৭ ইং
তথ্য সূত্র : উইকিপিডিয়া, অন্তর্জাল।
ছবি ও বর্ণনা : মরুভূমির জলদস্যু।