প্রযুক্তি নির্ভর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ শ্লোগান, নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ তথা বর্তমান সরকারের প্রশংশনীয় একটি উদ্যোগ।কিত্নু শুধু শ্লোগান নয়, এটাকে বাস্তবরুপ দেয়ার জন্য প্রয়োজন আই.টি শিক্ষায় শিক্ষিত, দক্ষ এবং মেধাবী কর্মী বাহিনী। প্রতিযোগীতামুলক বি.সি.এস এর মাধ্যমে যে ক্যাডার নেয়া হয়, তারা নিঃসন্দেহে বাংলার শ্রেষ্ঠ মেধাবী সন্তান এবং রাষ্ট্র পরিচালনার দক্ষ হাতিয়ার। কিন্তু ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ মুখে বলা হলেও আজ অবধি এই বি.সি.এস এর মাধ্যমে আই.টি শিক্ষায় শিক্ষিত ‘আইটি ক্যাডার’ নেয়ার কোনো রকম উদ্যোগ নেয়া হয় নি।৩০ তম বি.সি.এস এ আই.টি গ্রাজুয়েটদের ‘টেকনিক্যাল ক্যাডার’ এ তো সুযোগ নেই ই এমনকি ‘প্রফেশনাল ক্যাডার’(কলেজের শিক্ষক) হিসেবেও নেই তাদের ঠাঁয়-অথচ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় কলেজেই ‘কম্পিউটার সায়েন্স’ বিষয়ের উপর ডিগ্রি দেওয়া হয়।ডিজিটাল,ডিজিটাল বলে গলা ফাটিয়ে কাজের সময় গতানুগতিক ধারার এনালগ পদ্ধতির অনুসরণ করলে দেশ স্বংক্রিয়ভাবে ডিজিটাল হবে না।আইটি শিক্ষিত যুব সমাজেকে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার সরাসরি কাজে নিয়োজিত না করলে, সাবমেরিন কেবলের সিংহভাগ ব্যান্ডউইথ অব্যাবহুত পড়ে থাকা কিম্বা ভিওআইপির মত লাভজনক উন্নত প্রযুক্তি বন্ধের মত অপরিপক্ক সিদ্ধান্ত আমরা নিতেই থাকব। তাই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে ‘আইটি ক্যাডার’ সূষ্টি এখন সময়ের দাবী।
আব্ধুল্লাহ-আল-মামুন
এ্যসিস্টেন্ট অফিসার, ডাচ-বাংলা ব্যাঙ্ক লিঃ
** কেউ যদি লেখাটি কোনো জাতীয় দৈনিকে প্রকাশের ব্যবস্থা করেন তাহলে সহ-লেখক হিসেবে তার নাম লেখার সুযোগ থাকবে। লেখার বিষয়টি আমার মতে অতি জন গুরুত্বপুর্ন, তাই কেঊ যেকোনো জাতীয় দৈনিকে প্রকাশের ব্যবস্থা করলে অন্ততঃ নিতীনির্ধারকদের দূষ্টি আকর্ষণ সম্ভব হতে পারে।