somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

"বিষাক্ত মানুষেরা"। যাদের এড়িয়ে চলে সরল একটি জীবন যাপন সম্ভব।

২১ শে জুন, ২০২১ সকাল ৯:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আপনাকে নিজের জন্যই বেছে চলতে হবে। নতুবা আপনি বারবার আঘাতপ্রাপ্ত হবেন এসব মানুষের দ্বারা। যদি বেছে চলতে গিয়ে নিজেকে পথে একা পেয়ে যান তবে বুঝতে হবে আপনি ভাগ্যবান। আপনাকে অভিনন্দন একটি ঝুট ঝামেলা হীন নির্মল জীবন যাপনের জন্য। কিছু বিষাক্ত মানুষের ঘাড়ের উপর নেয়া নিশ্বাসের চেয়ে একা একটি কুকুরের সাথে বসে থেকে বৃস্টি উপভোগ করা খুবই ভালো। আপনার মনের উপর প্রভাব ফেলে এমন ক্ষতিকর মানুষদের যথা সম্ভব এড়িয়ে চলার চেস্টা করুন। আমি অন্তত তাই করার চেস্টা করি। সমাজের কিছু বিষাক্ত বৃথাজন্ম মানুষের সাথে পরিচিত হওয়া যাক-

The Narcissist (স্বকামী ব্যাক্তি)ঃ শুধুমাত্র নিজেদের গুরুত্ব দিবে। এই প্রজাতির বিষাক্তগণের অন্যের প্রতি কোন সহানুভূতি থাকেনা। কার্য উদ্ধারে আপনার পায়ে পড়ে যাবে কিন্তু নিজে কোন সাহায্যে আসবে না। সবসময় নিজেকে অন্যের চেয়ে অধিকতর ভাল ভেবে স্বানন্দে থেকে থাকেন। অথচ কত বেটার মানুষেরা কত কম পায় পৃথিবীতে। পাগলের সুখ মনে মনে তাদের।

The Controller (নিয়ন্ত্রক)ঃ সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ করতে চেস্টা করেন এবং ছড়ি ঘোরাতে পছন্দ করেন।আপনাকে ভাবতে বাধ্য করাবেন যে আপনি কিছুই ঠিকমত করতে পারেন না। অদ্ভুত বিকৃত বিষাক্ত।

The Drama Magnet (নাটুকে)ঃ গাঁজাখুরি গল্প ফাঁদবেন, তাদেরকে অনুসরণ করতে বাধ্য করাবেন। যেমন "আমি লাফাইয়া হাত ভাঙিয়াছি তুমিও লাফ দেও" কিংবা " আমি অমুকের পায়ে চুমু খেতে যাচ্ছি তুমি আমার পেছনে আসছোনা কেন?" ইত্যাদি। এরা আপনাকে খুব সচেতন ভাবে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলবেন। কোন একক বিষয়ে অন্ধ বিষাক্ত।

The Energy Vampire (আত্মশক্তি চোষা পিশাচ)ঃ আমার মতে সবচেয়ে ভয়ংকর প্রজাতি হচ্ছেন এ ধরনের বিষাক্তরা। তাদের থেকে দূরে না থাকলে আপনার অগ্রগতি থেমে যাবে চিরতরে। তারা আপনার পুরো পজেটিভ এনার্জি শুষে নেবে এবং আপনাকে অমূলক ভয় দেখিয়ে আচ্ছন্ন করে দিবে যাতে আপনি সহজে সামনে এগুতে না পারেন। বিভিন্ন ধরনের সমস্যার কথা বলবে নেগেটিভিটি প্র‍্যাক্টিস করবে এবং আপনি কেন এই কাজ করতে পারবেন না বা আপনার দ্বারা হবেনা তার হাজারটা কারন সযতনে পেশ করবে। আপনার কাজের প্রশংসা ভুলেও করবেনা যাতে করে আপনি উতসাহ পেয়ে সামনে বাড়তে থাকেন বা তার চেয়ে আপনাকে বড় দেখায়। আপনাকে ছোট দেখানোর চেস্টা করে আপনার আত্মবিশ্বাস ধসিয়ে দিতে চাইবে। এই কেঁচো প্রজাতির বিষাক্তরা জানে যে তাদের নিজের কোন ক্ষমতা নেই কিছু করার পাছে আপনি কিছু ভাল করে ফেলেন তাই সবসময় আপনাকে নিম্নমানের সমালোচনা করবে। যেমন-"ধুর এ আর এমন কি কাজ" বা "এভাবে করলে হবেনা" "তুমি পারবা না এটা, আমি বিধায় পেরেছি,তোমার হবেনা,ছেড়ে দাও" ইত্যাদি। এদের কোন কথাই শুনবেন না। পারলে তাদেরকেও ডিমরালাইজ করতে থাকুন বা তাকে মনে করিয়ে দিন যে সে না জন্মালে পৃথিবীর ভালই হতো বৈ কি।

The Compulsive Liar ( অমোঘ মিথ্যুক)ঃ তাদেরকে খুব কিউট লাগে কারণ তারা জানেনা যে তাদের এই অনবরত মিথ্যা কেউ বিশ্বাসই করছেনা। ভাল বাংলায় "চাপাবাজ"। অসাধারণ নৈপুণ্য নিয়ে মিথ্যা বলতে থাকেন। যেমন- "ভাই কইলে বিশ্বাস করতানা,,,,,এই বড়,,,আমার দৈনিক,,,,,, টাকা খরচ হয়,,,,আমার মামার,,,,,,,কইতে দেরি,,,,,লাগলে বইল্লো" ইত্যাদি। এরা রোগি। অনেক বড় বাতেলা তৈরি কারী সৃজনশীল বিষাক্ত। বিশ্বাস করলে ধরা খাবেন। আমি বিরক্ত হলেও "তাই নাকি?" ফেস নিয়ে অনেক সময় কাটিয়েছি। অর্জন কম তাই একটু মিথ্যেয় বেচে থাকা।কিউট লাগে।

The Green Eyed (ঈর্ষান্বিত)ঃ এই প্রজাতি কতটা ভয়ংকর হতে পারে তা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। হয়তো কিছুক্ষেত্রে আপনার ক্ষতির কারন হতে পারে কিন্তু বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে এই বিষাক্তরা নিজেরাই বিষে কালচে সবুজ হয়ে যায়। কোনদিন আপনার ভাল চাইতে পারবেনা এবং আপনার ভাল দেখলেই তাদের মনে অসুখ করবে। নিজেরাই কস্টে নীল হবে। সবসময় "তোমার তো এটা আছে আমার তো নাই" প্লে করবে। নিজেকে সবসময় ভিক্টিম হিসেবে উপস্থাপন করবে। ধরুন আপনার অর্জন তার সাথে শেয়ার করতে চাইলেন কিন্তু সে আপনাকে আপনার এই উচ্ছাস অনুভব করা থেকে বিরত রাখার চেস্টা করবে। এই বিষাক্তরা পৃথিবীর বিখ্যাত বিষ "ব্যালেডোনা" র চেয়েও বিষাক্ত। মাঝে মাঝে আপনি বুঝেও যেতে পারেন যে আপনার অর্জনে সে খুশি তো ননই উপরন্তু তার ভেতরটা ফেটে যাচ্ছে। দুর্ভাগ্য হলেও সত্যি সকল রকমের ভালবাসা দিয়েও এই বিষ মানুষের মন থেকে উধাও করা যায়না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সবচেয়ে বড় এই প্লাটফর্ম Facebook এই বিষাক্তগনের জন্মদাতা। These brutes always think that the grass is always greener on the other side of the fence. তাই ফেসবুকে আপনার রঙ ঢংের ছবি বা ঘটনার বর্ণনা দেবার আগে ভাববেন আসলে যারা লাইক দিচ্ছেন, বাহবা দিচ্ছেন তাদের মধ্যে কতজন এই প্রজাতির বিষাক্ত হতে পারেন কিন্তু হাসিমাখা মুখ করে বাহবা দিতে এসেছেন। সবাই শুভাকাঙ্ক্ষী নন এখানে।

আমার থেকে আপাতত The Energy Vampire রা দূরে থাকলে বাচি। আত্মবিশ্বাস খুব কম। কেউ যদি একটু ভূয়া মোটিভেশন ও দেয় আমার খুব ভালো লাগে। হোক না মেকি, কাজে দেয়, তাই নয় কি?

ছবি: Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুন, ২০২১ রাত ১১:৪৬
৬টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদী নামের এই ছেলেটিকে কি আমরা সহযোগীতা করতে পারি?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:০৪


আজ সন্ধ্যায় ইফতার শেষ করে অফিসের কাজ নিয়ে বসেছি। হঠাৎ করেই গিন্নি আমার রুমে এসে একটি ভিডিও দেখালো। খুলনার একটি পরিবার, ভ্যান চালক বাবা তার সন্তানের চিকিৎসা করাতে গিয়ে হিমশিম... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্য অরিজিনস অফ পলিটিক্যাল জোকস

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৯


রাজনৈতিক আলোচনা - এমন কিছু যা অনেকেই আন্তরিকভাবে ঘৃণা করেন বা এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। ধর্ম, যৌন, পড়াশুনা, যুদ্ধ, রোগ বালাই, বাজার দর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভালোবাসা নয় খাবার চাই ------

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:০৬


ভালোবাসা নয় স্নেহ নয় আদর নয় একটু খাবার চাই । এত ক্ষুধা পেটে যে কাঁদতেও কষ্ট হচ্ছে , ইফতারিতে যে খাবার ফেলে দেবে তাই ই দাও , ওতেই হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতীয় ইউনিভার্সিটি শেষ করার পর, ৮০ ভাগই চাকুরী পায় না।

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৭



জাতীয় ইউনিভার্সিটি থেকে পড়ালেখা শেষ করে, ২/৩ বছর গড়াগড়ি দিয়ে শতকরা ২০/৩০ ভাগ চাকুরী পেয়ে থাকেন; এরা পরিচিত লোকদের মাধ্যমে কিংবা ঘুষ দিয়ে চাকুরী পেয়ে থাকেন। এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×