তোমার চোখের স্বপ্ন দেখা! আমার আধভোতা অনুভুতি। দিনগুলো সব ফেলে আসা। আমি দু চোখ অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেই।
আমি যখন বসে আছি তখন আমার সামনে কোন আয়না নেই। চেহারার মধ্যে কালো কালি জন্মেছে নাকি আমি আগের মত আছি সেকথা জানার সুযোগটা তাই কম।
আমার ভাষা গুলো এখন আরো অস্পষ্ট। আমি কবে সেই নারকেল পাতার ফাঁকগলে নামা জ্যোস্না দেখেছি তা আর মনে নেই। সেই কৃষ্ণচুড়াটা; যার কেন কাজ ছিল না আমার অকাট গল্প শোনা আর মাঝে মাঝে বাতাসের সাথে দুলে ওঠা ছাড়া ; সেও আজ আমার সাথে নেই। বলতে পারো ও আমাকে ছেড়ে অভিমান করে চলে গেছে। অনেক বেশি দুরে। আমার দৃষ্টি এখন তার দিকে ফেরালে মনে হয় কোটরের মাঝথেকে যেমন কোন বৃদ্ধ তার আধ বোজা চোখ দিয়ে আমাকে অভিশাপ দিচ্ছে।
সময় ফুরিয়ে যাবার মত হয়েছে। আর বুঝিবা বাকি নেই ।আকাশটা ফর্সা হবে। আবার সেই ব্যস্ত কোলাহল। জানি এর মাঝে আমি আবার হারিয়ে যাবো। আমার পাশে হয়তো থাকবে কোন আশা ভাঙা যুবকের জীর্ন বুক। বেঁচে থাকবার প্রয়াসে অনন্ত যুদ্ধ করে চলা একটা প্রত্যয়ী হাত। হয়তবা কোন শয়তানের দেহাবশেষ যা শুষে নেয় এই শহরের কানা গলির শেষ মাথার চাঁদের আলো।
আমি কি নিষ্ঠুর নাকি জীবন থেকে পালিয়ে বেড়ানো ভিতু তেলাপোকা? নিজের কাছে প্রশ্ন করে উত্তর খুঁজি। প্রশ্নগুলোর প্রতিধ্বনি আমার কানে বাজে।