হেফাজত নামক যে ফ্রাঙ্কেনস্টানের দানব আমাদের দেশের জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীত বাঙালি সংস্কৃতির উপর প্রতিনিয়ত আঘাত করছে তার দায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এড়াতে পারেন না। এ জাতি শেখ হাসিনার ভালো কাজের জন্য দীর্ঘদিন মনে রাখবে, পাশাপাশি মোল্লা মোটতাজা করনের যে প্রকল্প হাতে নিয়েছেন সে কথা ও মানে রাখবে দীর্ঘদিন।
যারা শেলী মেরীর ফ্রাঙ্কেনস্টাইন উপন্যাসটা পড়েছেন তারা আজকের প্রেক্ষাপটে আজ হেফাজতিদের অবস্থ্যা দেখে কিছুটা আচ করতে পারবেন ---
এক জার্মান গবেষক, ফ্রাঙ্কেনস্টাইন নিরলস গবেষণার মাধ্যমে একটি বিশেষ ধরনের বিজ্ঞান আয়ত্ত করতে সমর্থ হয়। যার মাধ্যমে মৃত ব্যক্তির মধ্যে প্রাণসঞ্চার করা সম্ভব। সে তার এই পরীক্ষাটি এক মৃত ব্যক্তির উপর করলে মৃত ব্যক্তি ঠিকই বেঁচে উঠে, কিন্তু পরিনত হয় এক ভয়ঙ্কর দানবে। প্রচন্ড শক্তিশালী এই দানবটি দেখতে কুৎসিত। ফ্রাঙ্কেনস্টাইন ভয় পেয়ে এই দানবের প্রতি অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করলে দানবটি হিংস্র হয়ে ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের প্রতি প্রতিশোধ গ্রহণের সংকল্প করে । সে বনে গিয়ে আশ্রয় নেয়। তার প্রতিশোধ সে শুরু করে ফ্রাংকেনস্টাইন এর সহকারী ড. নীল ও একজন আয়া হত্যার মাধ্যমে। এতপর সে হত্যা করে তার সৃষ্টিকর্তার ভাইকে। তখন সে বনে আশ্রয় নেয় এবং শত শত সাধারণ লোক হত্যা করে। সে ফ্রাংকেন এর বিয়ের রাতে আবারো হত্যা করে তার স্ত্রীসহ তার পরিবারের বাকী সদস্যদের। ফ্রাঙ্কেনস্টাইন তাকে হত্যা করার জন্য ধাওয়া করতে থাকে। এক পর্যায়ে সে ক্লান্ত হয়ে মারা যায়। ফ্রাঙ্কেনস্টাইন মারা যাবার পর সে আত্মহত্যার চিন্তা করে হারিয়ে যায়।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:১৯