ক্ষুধার্ত প্যালেষ্টানিদের বিশেষ আবেদন।
আমরা স্রেফ আপনার দোয়াই চাই না আমরা চাই একমুঠো খাবার, একটু পানি, বেঁচে থাকার সুযোগ। আপনার হজ্ব বা কোরবানীর অর্থ আমাদের জন্য হতে পারে বাঁচার শেষ আশার আলো। রাজপথে নয়, আমাদের পাশে দাঁড়ান সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে।
আপনার একটি সিদ্ধান্ত আমাদের শত জীবনে ফিরিয়ে আনতে পারে প্রাণ। আল্লাহর রাহমত তাদের সাথেই থাকেন, যারা আরেক ক্ষুধার্তের ক্ষুধা নিবারণ করে।
মুসলিম ভাই-বোনদের প্রতি অনুরোধ। প্রতি বছর আমরা হজ্বে গিয়ে বিপুল অর্থ ব্যয় করি,কিন্তু আমাদের প্রিয় ফিলিস্তিন আজ ক্ষুধা, দারিদ্র্য আর নিপীড়নে কাতর। দুঃখজনকভাবে মুসলিম দেশ সৌদি আরব এ বিষয়ে প্রায় নীরব। এ বছর যারা হজ্বে যেতে চান, অনুরোধ করব তারা হজ্ব স্থগিত করুন। আপনার হজ্বের অর্থ ফিলিস্তিনের ক্ষুধার্ত মানুষের মুখে আহার তুলে দিক। এতে একদিকে ফিলিস্তিনবাসীর উপকার হবে, অন্যদিকে সৌদির নীরবতায় ধাক্কা লাগবে।
মানবতার এই সংকটে শুধু অর্থ নয় দরকার আমাদের সচেতনতা ও সহমর্মিতা। আসুন, এবার হজ্বের চেয়ে বড় ইবাদত মানবতা রক্ষায় এগিয়ে আসি। এই কাজই হতে পারে আজকের দিনে আল্লাহর নিকট সর্বোত্তম কুরবানি।
আমাদের দেশে ফিলিস্তিনের পক্ষে রাজপথে প্রতিবাদ চোখে পড়ে, কিন্তু অর্থ সাহায্যে দেখা যায় আশ্চর্য নিরবতা। শুধু স্লোগান নয়, এখন দরকার কার্যকর সহায়তা। অন্যদিকে কেউ কেউ মিছিলের নামে লুটপাটে লিপ্ত, যা নিন্দনীয়। ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়াতে হলে উচিতভাবে, সম্মানের সঙ্গে দাঁড়াতে হবে। এই বছর কোরবানীর টাকাও ফিলিস্তিনের ক্ষুধার্ত, নির্যাতিত জনগণের জন্য পাঠানো যেতে পারে।কোরবানীর মূল শিক্ষা হলো ত্যাগ ও সহমর্মিতা আর এখন সেই সহমর্মিতা সত্যিকারের পরীক্ষায়।যে মানুষগুলো দিনের পর দিন না খেয়ে, বোমার আঘাতে, ঘরহীন হয়ে জীবন কাটাচ্ছে,তাদের পাশে দাঁড়ানোই হতে পারে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের এক বড় উপায়। এ বছর যদি আপনি কোরবানী না করে সেই অর্থ খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তায় দেন,তবে হয়তো অনেক শিশুর মুখে আহার, অসহায় পরিবারের চোখে আশার আলো ফিরবে।
আল্লাহর রাহমত কেবল পশু কোরবানীতেই নয়, ক্ষুধার্তকে খাদ্য দেওয়াতেও নিহিত। আসুন, ত্যাগের এই মাহেন্দ্রক্ষণে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কোরবানীর প্রকৃত অর্থ পূর্ণ করি।