শেখ হাসিনা ফিরে আসবেন: ইতিহাস যেভাবে ফিরে ফিরে আসে বার বার।
--------------------------------------------------------------------------
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। এক রক্তাক্ত, হৃদয়বিদারক দিন। সেদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারকে নির্মমভাবে হত্যা করে একটি ঘৃণ্য সামরিকচক্র। ইতিহাসের অন্যতম কলঙ্কময় এই দিনে ৩২ নম্বর ধানমন্ডির সেই বাড়িটি শুধু একটি ঠিকানা ছিল না, ছিল একটি রাষ্ট্রের স্বপ্নের জন্মভূমি। কিন্তু যারা বিশ্বাস করেছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে তাঁর আদর্শ ও দলকে নিশ্চিহ্ন করা যাবে, তারা বুঝতেই পারেনি ইতিহাস কখনো হত্যা করা যায় না। আদর্শকে বন্দী করা যায় না। এবং শেখ হাসিনাকে থামিয়ে রাখা যায় না।
১৯৭৫: ধ্বংসের প্রতিজ্ঞা, কিন্তু ফিনিক্স পাখির উত্থান
সেদিনের হত্যাকাণ্ডের পর কেবল একটি পরিবার নয়, গোটা একটি রাজনৈতিক আদর্শকে নির্মূল করার ষড়যন্ত্র হয়েছিল। চিৎকার করে প্রচার করা হয়েছিল "আওয়ামী লীগ শেষ!" তারা বলেছিল "শেখ পরিবার শেষ!"। শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা তখন প্রবাসে, প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন। কিন্তু বিশ্ববাস্তবতা বলছে, শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র।
১৯৮১ সালে দেশে ফিরে এসেছিলেন শেখ হাসিনা একজন নারী, একজন মেয়ে, একজন কন্যা যিনি তখনও বঙ্গবন্ধুর রক্তাক্ত স্মৃতি বহন করছিলেন, অথচ সাহসে একটুও ভাটা পড়েনি। তিনি রাজনীতিতে ফিরে এসে বারবার হত্যাচেষ্টার মুখে পড়েছেন ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তার সবচেয়ে জঘন্য উদাহরণ। কিন্তু তিনি পিছিয়ে যাননি।
২০২৪: আবারো এক ষড়যন্ত্র, কিন্তু ইতিহাস ফিরে আসবেই
২০২৪ সাল দেশ আবার এক ষড়যন্ত্রের মুখোমুখি। গণতন্ত্র, নির্বাচন ও সাংবিধানিক ধারাকে পাশ কাটিয়ে একটি স্বৈরতান্ত্রিক গোষ্ঠী ক্ষমতা দখল করে। শেখ হাসিনাকে দেশের বাইরে পাঠিয়ে তারা ভেবেছে এবার শেষ! আবার প্রচার শুরু হয় "আওয়ামী লীগ শেষ!" আবার সেই পুরোনো আওয়াজ "শেখ হাসিনা আর ফিরবেন না!"
কিন্তু তারা ইতিহাস ভুলে গেছে। ১৯৭৫-এ যেমন বঙ্গবন্ধুর রক্তের উপর দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগ আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছিল, তেমনি ২০২৪-এ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দলটি আবার ফিরবে আরও সংগঠিতভাবে, আরও শক্তিশালী হয়ে। ইতিহাস বারবার প্রমাণ করেছে বাংলাদেশের মাটি শেখ মুজিবের মাটি, শেখ হাসিনার আদর্শের মাটি। কোনো ষড়যন্ত্র এ মাটিকে হটিয়ে দিতে পারেনি, পারবেও না।
শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন অনিবার্য কারণ তিনি একক ব্যক্তি নন, তিনি ইতিহাসের প্রতিনিধি
শেখ হাসিনা কেবল একজন রাজনীতিক নন, তিনি হচ্ছেন বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত স্বপ্নের উত্তরসূরি। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০০৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত যে উন্নয়নযাত্রা দেখেছে তাতে দেশের সুনাম ও আত্মবিশ্বাস উভয়ই অনেকগুণ বেড়েছে। বিদ্যুৎ, অবকাঠামো, নারীর ক্ষমতায়ন, তথ্য প্রযুক্তি, শিক্ষায় অভাবনীয় সাফল্য এসেছে।
শেখ হাসিনা মানেই প্রত্যাবর্তনের গল্প। একবার নয়, বারবার তিনি ফিরে এসেছেন। যারা তাঁকে দূরে সরিয়েছে, তারাই একসময় মুখ লুকিয়েছে।
দাতভাঙ্গা জবাব আসবেই
যারা আজ গণতন্ত্র হরণ করেছে, মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে, যারা আজ শেখ হাসিনাকে জোর করে নির্বাসনে পাঠিয়েছে তাদের জন্য ইতিহাসের রায় স্পষ্ট: মানুষ কখনো চিরকাল অন্যায়ের পক্ষে থাকে না। অন্ধকার যতই দীর্ঘ হোক, আলো আসবেই। শেখ হাসিনা ফিরবেন, এবং ফিরবেন গণমানুষের ভালোবাসায়।
তার প্রত্যাবর্তন হবে গণতন্ত্রের বিজয়। তাঁর ফিরে আসা হবে ইতিহাসের পায়ের শব্দ। আর সেই প্রত্যাবর্তনে যারা ষড়যন্ত্র করেছিল, তারা মুখ লুকাতে বাধ্য হবে। কারণ শেখ হাসিনা ফিরে এলে, শুধু একটি মানুষ নয় ফিরে আসে একটি আদর্শ, একটি দল, একটি জাতির স্বপ্ন।


অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


