স্বাধীনতার চেতনা ও সাহসী কণ্ঠস্বর
বাংলাদেশের ইতিহাসে বারবার দেখা গেছে সুসময়ে, ক্ষমতার অনুকূলে থেকে অনেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার কথা উচ্চারণ করেছেন। কিন্তু যখন অন্ধকার নেমে আসে, যখন সত্য বলাটা জীবনকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেয়, তখন হাতে গোনা কয়েকজন মানুষই সাহস করে এগিয়ে আসেন। আজও সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটছে।
ফজলুর রহমানসহ অল্প কিছু মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতার কথা সাহসের সাথে বলছেন। তাঁদের কণ্ঠস্বর নিঃসন্দেহে জাতিকে আবারও স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে, স্বাধীনতা শুধু ১৯৭১ সালের বিজয় নয় এটা এক চলমান সংগ্রাম, যা সত্য, ন্যায় ও মানুষের অধিকারের জন্য আজও জারি রয়েছে।
আজ রুমিন ফারহানা, গোলাম মাওলা রনি, সাংবাদিক পান্না, লতিফ ছিদ্দিকি ও তাঁদের মতো আরও অনেকে কণ্ঠ উঁচু করেছেন। সত্য বলার কারণে তাঁরা জেল, জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। এমনকি অনেকে জীবনও দিয়েছেন। তবুও তাঁদের সাহস থেমে যায়নি। এঁরা প্রমাণ করেছেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোই প্রকৃত মুক্তিযুদ্ধের উত্তরাধিকার বহন করা।
গোপালগঞ্জসহ সারাদেশে আজ যে আন্দোলন চলছে, তা নিছক প্রতিবাদ নয় এটা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও স্বাধীনতার প্রকৃত চেতনাকে ধারণ করার লড়াই। নিপীড়নের ভেতর থেকেও যে আগুন জ্বলে উঠেছে, তা নিঃসন্দেহে আগামী দিনের আলোকবর্তিকা।
আমরা এই সাহসী কণ্ঠগুলোকে অভিনন্দন জানাই। তাঁদের অদম্য মনোবল আমাদের নতুন শক্তি যোগায়। তাঁদের সংগ্রাম প্রমাণ করে, জেল-জুলুম, নির্যাতন কিংবা মৃত্যু কখনোই সত্যকে দমন করতে পারে না। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতার পক্ষে যারা দাঁড়ায়, তাঁরাই শেষ পর্যন্ত বিজয়ী হয়।
আজকের এ আন্দোলন শুধু রাজনৈতিক প্রতিবাদ নয়, এটা বাংলাদেশের আত্মার লড়াই। আর সেই লড়াইয়ে যারা নিজের জীবন বাজি রেখে এগিয়ে আসছেন, তাঁদের প্রতি জাতির চিরকৃতজ্ঞতা থাকবে। আজ আমরা যারা বাংলাদেশে অনলাইন অফলাইন যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছি তাদের প্রেরণা দেয়ার মতো কেউ নাই। আজ ফজলুর রহমানসহ কয়েকজনই আমাদের দুঃসময়ে সাহস যোগাচ্ছেন। জয়বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।


অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



