বিপ্লব নাকি প্রহসন? বাংলাদেশের পথে আফ্রিকার ছায়া।
বাংলাদেশে গত বছর যারা নিজেদেরকে "বিপ্লবী" দাবি করে রাজপথ দখল করল, তারা জনগণকে স্বপ্ন দেখিয়েছিল একটি নতুন দেশ গড়া হবে। দুর্নীতি, স্বৈরাচার, অন্যায় থেকে মুক্তি মিলবে। কিন্তু এক বছরের মাথায় সেই কথিত বিপ্লব আজ প্রমাণিত হয়েছে নিছক ক্ষমতার পালাবদল।
শেখ হাসিনার পতনের পর যারা "নায়ক" সেজে উঠে এল, তাদের কর্মকাণ্ডে আজ দেশের মানুষ ভীত ও অসহায়। ঢাকার অলিতে-গলিতে, গ্রামে-গঞ্জে চলছে ছাত্রদল-যুবদল আর জামাত-শিবিরের দখলবাজি, চাঁদাবাজি আর খুন-ধর্ষণের মহোৎসব। রাজনীতির নামে তারা টেন্ডারবাজি করছে, ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করছে। এই চিত্র কি কোনো বিপ্লবের চিত্র? নাকি এটি কেবল আরেকটি দস্যুবাহিনীর উত্থান?
বিপ্লব মানে সমাজে মৌলিক পরিবর্তন। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সুবিচার প্রতিষ্ঠা করা, সুশাসন আনা। কিন্তু বিএনপি-জামাতের নেতৃত্বে আজ যা ঘটছে, তাতে দেশে আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। থানায় সাধারণ মানুষ ন্যায়বিচার পাচ্ছে না। থানার ভিতরে ঢুকে পুলিশের হাত কেটে নিয়ে যাচ্ছে। থানার ভিতরে পুলিশের অস্র কেড়ে নিয়ে যাচ্ছে। উল্টো পুলিশরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।
আমরা দেখেছি, আফ্রিকার লিবিয়ায় গাদ্দাফির পতনের পর গণতান্ত্রিক সরকার আসেনি বরং মিলিশিয়া গোষ্ঠীর দখলযুদ্ধ শুরু হয়। সোমালিয়ায় সিয়াদ বারীর পতনের পর গণতন্ত্র নয় বরং গোষ্ঠীগত সংঘর্ষ ও নৈরাজ্য নেমে আসে। বাংলাদেশ কি আজ সেই একই পথেই হাঁটছে?
তারেক রহমান কি সত্যিই জনগণের নায়ক, নাকি বিদেশের নিরাপদ আশ্রয়ে বসে দেশের মানুষকে অস্থিরতার দিকে ঠেলে দেওয়া একজন সুবিধাবাদী? মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কি সত্যিই গণতন্ত্রের রক্ষক, নাকি কেবল বিএনপির ক্ষমতার স্বপ্নপূরণের দালাল? আর জামাত-শিবিরের নেতৃত্ব কি সত্যিই মানুষের মুক্তির আন্দোলন করছে, নাকি তারা আবারও এই দেশে পাকিস্তানি প্রেতাত্মা ফিরিয়ে আনার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত?
বাংলাদেশের জনগণের প্রতি প্রশ্ন এই প্রহসনকে কি আমরা বিপ্লব বলব? যারা লুটপাট, খুন আর ধর্ষণের রাজনীতি চালাচ্ছে, তাদের কি আমরা মুক্তির নায়ক বলব? নাকি তারা কেবল পুরনো স্বৈরাচারের নতুন রূপ?
আজ সময় এসেছে নাগরিক সমাজের জোরালো প্রতিবাদের। নচেৎ বাংলাদেশকে আফ্রিকার ব্যর্থ রাষ্ট্রগুলোর কাতারে ঠেলে দেওয়া হবে, যেখানে থাকবে কেবল দুঃশাসন, অরাজকতা আর মানুষের অসহায় কান্না।


অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



