ধর্ম ও মানবতার প্রকৃত প্রশ্ন।
ধর্মের নামে যারা মুখে ফেনা তোলেন, তাদের উদ্দেশ্যে আমার সরল প্রশ্ন
আমি যদি ধর্ম পালন না করি, কিংবা ধর্মে বিশ্বাস না করি, তবে শাস্তি ভোগ করবেন আমি, নাকি আপনি?
যদি উত্তর হয় হ্যাঁ, আমি শাস্তি ভোগ করব, তবে পবিত্র বেদ, গীতা, বাইবেল কিংবা কোরআনের কোথায় লেখা আছে যে আপনার শাস্তি আমার অবিশ্বাসের কারণে নির্ধারিত হবে?
আর যদি উত্তর হয় না, আমার কারণে আপনি শাস্তি ভোগ করবেন না, তবে কেন বারবার ধর্মের নামে নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে?
অন্যকে খুন করার আগে কি একবারও ভেবে দেখেছেন আপনি নিজে আপনার ধর্মকে কতটা বিশ্বাস করেন? আপনার বিশ্বাস কি এতই ঠুনকো যে, কেউ বলে দিল “আপনার ধর্ম মিথ্যা”, আর সঙ্গে সঙ্গে আপনার ধর্মই মিথ্যা হয়ে গেল? বিশ্বাস কি এতই দুর্বল যে তা অন্যের কথায় ভেঙে পড়ে?
ধর্ম মানে দৃশ্যমান কিছু নয়। ধর্ম চোখে দেখা যায় না, হাতে ছোঁয়া যায় না। দাড়ি, টুপি, পৈতা বা ধুতি কোনো ধর্মবিশ্বাসের নিশ্চয়তা দেয় না। ধর্ম মূলত অন্তরের বিষয় অদৃশ্য এক বিশ্বাস, যা মানুষকে নৈতিক করে তোলে, সহনশীল করে তোলে, মানবিক করে তোলে।
ধর্ম পালনের যেমন আপনার অধিকার আছে, তেমনি ধর্ম না পালনের অধিকারও একজন মানুষের আছে। কেউ যদি গাছকে পূজা করে তাতেই প্রশান্তি পায়, তবে তাকে তার মতো করে বিশ্বাস করতে দেওয়া উচিত। কেউ যদি মসজিদ, মন্দির বা গির্জায় গিয়ে শান্তি খুঁজে পায়, তবে তারও স্বাধীনভাবে তা করার অধিকার থাকা উচিত। আবার কেউ যদি কোনো ধর্মে বিশ্বাস না করে, তবুও তার সেই অবিশ্বাসের অধিকারকে সম্মান জানাতে হবে।
তবে মনে রাখতে হবে ধর্মীয় স্বাধীনতার নামে অন্য ধর্মকে হেয় করা, অকারণে বিদ্বেষ ছড়ানো বা বিশ্বাসীদের আঘাত করা কখনো কাম্য নয়।
ধর্ম যদি সত্যিই মহান হয়, তবে তা অবশ্যই সহনশীল হবে। আর সহনশীলতা ছাড়া কোনো বিশ্বাস টেকসই হয় না।
আমরা কবে এমন সমাজ গড়ে তুলতে পারব
যেদিন হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান আর কোনো জাতি-গোত্রভেদ থাকবে না,
যেদিন সবাই কেবল মানুষ হিসেবেই গর্ব করবে।
-- সালাউদ্দিন রাব্বী
সংখ্যালঘু বাচাও আন্দোলন।
বাংলাদেশ

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



