তৌহিদি জনতার নামে জামাতী তাণ্ডব।
----------------------------------------
তৌহিদি জনতার নামে যে তাণ্ডব শুরু হয়েছে তা কোনো আকস্মিক জনরোষ নয়, এটি জামায়াতের সুপরিকল্পিত পুনরুত্থান। ধর্মীয় আবেগকে অস্ত্র বানিয়ে তারা আবার রাজপথ দখলের চেষ্টা করছে এবং বিএনপি নীরবে এই বিশৃঙ্খলা উপভোগ করছে। তারা বুঝতে পারছে না যে মৌলবাদকে রাজনৈতিক সুবিধার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা মানেই নিজেদের অস্তিত্ব এবং দেশের স্থিতিশীলতাকে ঝুঁকির মুখে ফেলা। ইতিহাস দেখিয়েছে যে একবার উগ্র ধর্মীয় শক্তি মাঠে নেমে গেলে কোন রাজনৈতিক দলই তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে না। আজ যে আগুনকে বিএনপি দূর থেকে উপভোগ করছে, কাল সেই আগুনই তাদের নিজস্ব রাজনৈতিক ভবন ও ঘর পুড়িয়ে দেবে। দেশের সংখ্যালঘু, সাধারণ নাগরিক এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলোও এই অবস্থা থেকে রেহাই পাবে না। বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেখা যাচ্ছে যে উগ্রবাদকে প্রশ্রয় দেওয়ার ফলে সমাজে অস্থিরতা এবং ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, যা আগামী দিনে রাজনৈতিক সঙ্কট এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার রূপ নিতে পারে। তাই রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত শর্তহীনভাবে এই ধরণের উগ্রবাদী কর্মকাণ্ডকে প্রতিহত করা এবং দেশের সংখ্যালঘু, নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। যারা এখন রাজনীতির স্বল্পমেয়াদি সুবিধার জন্য এই আগুনে ঘি ঢালছে, তাদের জন্যও ভবিষ্যতে এর ফল ভোগ করা অনিবার্য। দেশের শান্তি, সামাজিক সংহতি এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষা করতে না পারলে ভবিষ্যৎ সত্যিই অন্ধকারময় হবে।

সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৫ ভোর ৬:২২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


